০৩:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

বেক্সিমকোর সুকুকঃ রাইটের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৫২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
  • / ১০৭৪৭ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বেক্সিমকো লিমিটেড) সুকুক বা ইসলামী শরীয়াহসম্মত বন্ড (Secured Convertible Asset Backed Beximco Green Sukuk Al Istisna) কেনায় অগ্রাধিকার সুবিধা পাবেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। আগামী ১৯ জুলাই যাদের কাছে শেয়ার থাকবে, তারা এই সুবিধা পাবেন।

সুকুক কেনার অগ্রাধিকার সুবিধা (Right) এর জন্য আগামী ১৯ জুলাইকে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করেছে কোম্পানিটি। আজ সোমবার (১২ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় রেকর্ড তারিখ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ, গত ২৩ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৭৯তম কমিশন বেক্সিমকোর সুকুক ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অ্যাসেট ব্যাকড গ্রিন সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে বেক্সিমকো ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এই বন্ডের মেয়াদ হবে ৫ বছর। এটি কনভার্টেবল অথবা রিডিমেবল হতে পারে। অর্থাৎ বন্ডের একটি অংশ সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকতে পারে; আবার মেয়াদ শেষ সম্পূর্ণ অবসায়নের বিকল্পও থাকতে পারে এতে।

বন্ডের ৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে এবং ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা শেয়ারহোল্ডার ব্যতিত অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। বাকী ৭৫০ কোটি টাকার বন্ড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

সুকুকের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা। আর ৫০ টি ইউনিট নিয়ে এর ন্যুনতম লট। এ হিসেবে এ লটের দাম ৫ হাজার টাকা। বন্ডের মেয়াদী পরিশোধের ন্যুনতম হার হবে ৯ শতাংশ।

সুকুকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ বেক্সিমকোর দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হবে। কোম্পানি দুটি হচ্ছে তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেড। এই দুটি কোম্পানি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং এর মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে।

বেক্সিমকোর এই সুকুকের ইস্যু ম্যানেজার, অ্যারেঞ্জার ও অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড এবং অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর ট্রাস্টি হিসেবে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বেক্সিমকোর সুকুকঃ রাইটের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ

আপডেট: ০৭:৫২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বেক্সিমকো লিমিটেড) সুকুক বা ইসলামী শরীয়াহসম্মত বন্ড (Secured Convertible Asset Backed Beximco Green Sukuk Al Istisna) কেনায় অগ্রাধিকার সুবিধা পাবেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। আগামী ১৯ জুলাই যাদের কাছে শেয়ার থাকবে, তারা এই সুবিধা পাবেন।

সুকুক কেনার অগ্রাধিকার সুবিধা (Right) এর জন্য আগামী ১৯ জুলাইকে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করেছে কোম্পানিটি। আজ সোমবার (১২ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় রেকর্ড তারিখ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ, গত ২৩ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৭৯তম কমিশন বেক্সিমকোর সুকুক ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অ্যাসেট ব্যাকড গ্রিন সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে বেক্সিমকো ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এই বন্ডের মেয়াদ হবে ৫ বছর। এটি কনভার্টেবল অথবা রিডিমেবল হতে পারে। অর্থাৎ বন্ডের একটি অংশ সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকতে পারে; আবার মেয়াদ শেষ সম্পূর্ণ অবসায়নের বিকল্পও থাকতে পারে এতে।

বন্ডের ৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে এবং ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা শেয়ারহোল্ডার ব্যতিত অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। বাকী ৭৫০ কোটি টাকার বন্ড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

সুকুকের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা। আর ৫০ টি ইউনিট নিয়ে এর ন্যুনতম লট। এ হিসেবে এ লটের দাম ৫ হাজার টাকা। বন্ডের মেয়াদী পরিশোধের ন্যুনতম হার হবে ৯ শতাংশ।

সুকুকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ বেক্সিমকোর দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হবে। কোম্পানি দুটি হচ্ছে তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেড। এই দুটি কোম্পানি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং এর মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে।

বেক্সিমকোর এই সুকুকের ইস্যু ম্যানেজার, অ্যারেঞ্জার ও অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড এবং অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর ট্রাস্টি হিসেবে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: