০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

বেক্সিমকোর সুকুকরে শেয়ারে রূপান্তরের শর্ত শিথিল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৪৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৩৬৩ বার দেখা হয়েছে

বেক্সিমকো লিমিটেডের ইস্যুকৃত সুকুক বা ইসলামি  শরীয়াহসম্মত বন্ড বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিনার শেয়ারে রূপান্তরের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে আর এই রূপান্তরের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর আগাম অনুমোদন নিতে হবে না। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সুকুক আল ইসতিনার প্রসপেক্টাস অনুসারে, একাধিক  ধাপে এই সুকুকের বিভিন্ন অংশ সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করার কথা। অন্যদিকে সুকুক ইস্যুতে দেওয়া বিএসইসির সম্মতিপত্রে (কনসেন্ট লেটার) শর্ত ছিল, প্রতিবার শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে আগাম অনুমোদন নিতে হবে। তবে সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেক্সিমকো লিমিটেডকে এ শর্ত পরিপালন থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএসইসি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুকুক ইস্যুকারী কোম্পানি হিসেবে বেক্সিমকো লিমিটেডকে এখন থেকে সুকুককে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সম্মতিপত্রে শর্তানুসারে বিএসইসির অনুমোদন নিতে হবে না। তবে শেয়ার ইস্যুর পর পরই এ বিষয়ে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। কমিশন ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সের ২৯নং ধারার ক্ষমতাবলে এ বিধান থেকে বেক্সিমকো লিমিটেডকে অব্যাহতি দিয়েছে। এ অব্যাহতি শুধু সুকুককে শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ সুকুক ছাড়া অন্যা কোনো কারণে কোম্পানিটি শেয়ার ইস্যু করতে চাইলে কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘‌তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিএসইসির পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু বেক্সিমকো লিমিটেডের সুকুকের ক্ষেত্রে প্রতি বছরই শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ রয়েছে। এজন্য কমিশন শুধু সুকুককে শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সম্মতিপত্রের সংশ্লিষ্ট শর্ত পরিপালন থেকে কোম্পানিটিকে অব্যাহতি দিয়েছে।’

আরও পড়ুন: সিসিবিএলের পর্ষদ পুনর্গঠন

উল্লেখ্য, এ সুকুক বন্ডের বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা সুকুকের শতভাগ বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে। গুণিতক হারে অর্থাৎ ৫, ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ হারে রূপান্তরের সুযোগ রয়েছে।

এরই মধ্যে প্রথম বছরে বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনার ৫ শতাংশ সুকুক শেয়ারে রূপান্তর করেছেন বিনিয়োগকারীরা। রূপান্তরিত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্সেও (বিও) পাঠানো হয়েছে। তথ্যানুসারে, মোট ৩২৫ জন সুকুকধারী প্রথম বছরে তাদের কাছে থাকা সুকুকের ২০ শতাংশ শেয়ারে রূপান্তরের জন্য ট্রাস্টির কাছে আবেদন করেছিলেন। তাদের কাছে থাকা সুকুকের পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৫০ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৫। এর মধ্যে ১ কোটি ৭০ লাখ ১২ হাজার ৯৩৬টি সুকুকের বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের নামে বেক্সিমকো লিমিটেডের ১ কোটি ৯৬ লাখ ২২ হাজার ৬৩৫টি শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

বেক্সিমকোর সুকুকরে শেয়ারে রূপান্তরের শর্ত শিথিল

আপডেট: ১০:৪৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩

বেক্সিমকো লিমিটেডের ইস্যুকৃত সুকুক বা ইসলামি  শরীয়াহসম্মত বন্ড বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিনার শেয়ারে রূপান্তরের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে আর এই রূপান্তরের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর আগাম অনুমোদন নিতে হবে না। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সুকুক আল ইসতিনার প্রসপেক্টাস অনুসারে, একাধিক  ধাপে এই সুকুকের বিভিন্ন অংশ সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করার কথা। অন্যদিকে সুকুক ইস্যুতে দেওয়া বিএসইসির সম্মতিপত্রে (কনসেন্ট লেটার) শর্ত ছিল, প্রতিবার শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে আগাম অনুমোদন নিতে হবে। তবে সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেক্সিমকো লিমিটেডকে এ শর্ত পরিপালন থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএসইসি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুকুক ইস্যুকারী কোম্পানি হিসেবে বেক্সিমকো লিমিটেডকে এখন থেকে সুকুককে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সম্মতিপত্রে শর্তানুসারে বিএসইসির অনুমোদন নিতে হবে না। তবে শেয়ার ইস্যুর পর পরই এ বিষয়ে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। কমিশন ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সের ২৯নং ধারার ক্ষমতাবলে এ বিধান থেকে বেক্সিমকো লিমিটেডকে অব্যাহতি দিয়েছে। এ অব্যাহতি শুধু সুকুককে শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ সুকুক ছাড়া অন্যা কোনো কারণে কোম্পানিটি শেয়ার ইস্যু করতে চাইলে কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘‌তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিএসইসির পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু বেক্সিমকো লিমিটেডের সুকুকের ক্ষেত্রে প্রতি বছরই শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ রয়েছে। এজন্য কমিশন শুধু সুকুককে শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সম্মতিপত্রের সংশ্লিষ্ট শর্ত পরিপালন থেকে কোম্পানিটিকে অব্যাহতি দিয়েছে।’

আরও পড়ুন: সিসিবিএলের পর্ষদ পুনর্গঠন

উল্লেখ্য, এ সুকুক বন্ডের বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা সুকুকের শতভাগ বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে সুকুককে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে। গুণিতক হারে অর্থাৎ ৫, ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ হারে রূপান্তরের সুযোগ রয়েছে।

এরই মধ্যে প্রথম বছরে বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনার ৫ শতাংশ সুকুক শেয়ারে রূপান্তর করেছেন বিনিয়োগকারীরা। রূপান্তরিত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্সেও (বিও) পাঠানো হয়েছে। তথ্যানুসারে, মোট ৩২৫ জন সুকুকধারী প্রথম বছরে তাদের কাছে থাকা সুকুকের ২০ শতাংশ শেয়ারে রূপান্তরের জন্য ট্রাস্টির কাছে আবেদন করেছিলেন। তাদের কাছে থাকা সুকুকের পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৫০ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৫। এর মধ্যে ১ কোটি ৭০ লাখ ১২ হাজার ৯৩৬টি সুকুকের বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের নামে বেক্সিমকো লিমিটেডের ১ কোটি ৯৬ লাখ ২২ হাজার ৬৩৫টি শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএ