০৩:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

বেনাপোল দিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় ২ হাজার ট্রাক, চরম ক্ষতির মুখে আমদানিকারকরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • / ১০৩৪০ বার দেখা হয়েছে

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবোঝাই প্রায় দুই হাজার ট্রাক। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল সীমান্তের সিডব্লিউসি পার্কিং ও বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে আটকে আছে এসব ট্রাক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ভারতের সাথে কিছুদিন ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে পেট্রাপোলে এই পণ্যজট তৈরি হয়েছে। ফলে ১০ চাকার ট্রাকে দেড় হাজার ও ৬ চাকার ট্রাকে ১ হাজার রুপি মাশুল গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারকেরা।

এ  প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কারফিউ চলাকালে আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলে না। তাই ওপারে পণ্যবোঝাই ট্রাকের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। দুটি পার্কিংয়ে প্রায় দুই হাজার ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকে রয়েছে। যে কারণে প্রতি ট্রাকের জন্য প্রতিদিন এক হাজার থেকে দেড় হাজার ভারতীয় রুপি মাশুল গুনতে হচ্ছে। এত মাশুল দিলে আমদানিকারকেরা লাভ করবেন কিভাবে?’

বেনাপোলভিত্তিক ব্যবসায়ীরা জানান, পেট্রাপোল বন্দরের শ্রমিকেরা কলকাতাসহ দূরদূরান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজ করতে আসেন। তাঁদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলো সন্ধ্যার পর বন্দরে কাজ করতে চাইছে না। এ বিষয়ে সে দেশের সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

আরও পড়ুন: অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহারকারীরা বলেন, এখন প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং ৫০ থেকে ১০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এর আগে প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক আমদানি ও ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হতো। এ কারণে ওপারে পেট্রাপোল সীমান্তের সিডব্লিউসি পার্কিং ও বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে পণ্যবাহী ট্রাকের তীব্র জট সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা জানান, আটকে থাকা পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগই হচ্ছে শিল্পের কাঁচামাল ও মেশিনারিজ বা যন্ত্রপাতি। পচনশীল পণ্যও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ।

বেনাপোল ও পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সপ্তাহে ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা পণ্য আমদানি-রপ্তানির অনুমোদন রয়েছে দুই দেশের সরকারের। কিন্তু ১০ দিন ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। এতে পশ্চিমবঙ্গের সিডব্লিউসি পার্কিংয়ে ৫০০ থেকে ৭০০ এবং বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে পণ্যবোঝাই ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ ট্রাক আটকে রয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বেনাপোল দিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় ২ হাজার ট্রাক, চরম ক্ষতির মুখে আমদানিকারকরা

আপডেট: ১২:২২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবোঝাই প্রায় দুই হাজার ট্রাক। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল সীমান্তের সিডব্লিউসি পার্কিং ও বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে আটকে আছে এসব ট্রাক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ভারতের সাথে কিছুদিন ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে পেট্রাপোলে এই পণ্যজট তৈরি হয়েছে। ফলে ১০ চাকার ট্রাকে দেড় হাজার ও ৬ চাকার ট্রাকে ১ হাজার রুপি মাশুল গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারকেরা।

এ  প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কারফিউ চলাকালে আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলে না। তাই ওপারে পণ্যবোঝাই ট্রাকের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। দুটি পার্কিংয়ে প্রায় দুই হাজার ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকে রয়েছে। যে কারণে প্রতি ট্রাকের জন্য প্রতিদিন এক হাজার থেকে দেড় হাজার ভারতীয় রুপি মাশুল গুনতে হচ্ছে। এত মাশুল দিলে আমদানিকারকেরা লাভ করবেন কিভাবে?’

বেনাপোলভিত্তিক ব্যবসায়ীরা জানান, পেট্রাপোল বন্দরের শ্রমিকেরা কলকাতাসহ দূরদূরান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজ করতে আসেন। তাঁদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলো সন্ধ্যার পর বন্দরে কাজ করতে চাইছে না। এ বিষয়ে সে দেশের সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

আরও পড়ুন: অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহারকারীরা বলেন, এখন প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং ৫০ থেকে ১০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এর আগে প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক আমদানি ও ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হতো। এ কারণে ওপারে পেট্রাপোল সীমান্তের সিডব্লিউসি পার্কিং ও বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে পণ্যবাহী ট্রাকের তীব্র জট সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা জানান, আটকে থাকা পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগই হচ্ছে শিল্পের কাঁচামাল ও মেশিনারিজ বা যন্ত্রপাতি। পচনশীল পণ্যও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ।

বেনাপোল ও পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সপ্তাহে ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা পণ্য আমদানি-রপ্তানির অনুমোদন রয়েছে দুই দেশের সরকারের। কিন্তু ১০ দিন ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। এতে পশ্চিমবঙ্গের সিডব্লিউসি পার্কিংয়ে ৫০০ থেকে ৭০০ এবং বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে পণ্যবোঝাই ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ ট্রাক আটকে রয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ