০১:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বেশ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন: তথ্যমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • / ১০৩৩১ বার দেখা হয়েছে

সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, বর্তমানে ঢাকা জেলা থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকার সংখ্যা ১ হাজার ১২৬টি। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৪৯৯টি, সাপ্তাহিক ৩৪৫টি ও মাসিক ২৮২টি।

আগামী জুনের মধ্যে শতভাগ মানুষ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, ২০০৯ সালের আগে দেশে বিদ্যুৎ–সুবিধাভুক্ত মানুষ ছিল ৪৭ শতাংশ। গত ১৩ বছরে অবশিষ্ট ৫৩ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় এনে শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ–সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম এলাকা ছাড়া দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকাসমূহে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ প্রদান করার জন্য সরকার প্রতিবছর ক্যাপটিভ রেন্টাল বা ভাড়ায়চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভর্তুকি দেয়। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৭১৪ কোটি ৭৭ লাখ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।

গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩,৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট

সরকারি দলের মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক গড়ে ২ হাজার ৩০৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। বর্তমানে আটটি গ্রাহকশ্রেণির অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী দৈনিক চাহিদা ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন কম হওয়ায় দৈনিক প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে উৎপাদনরত ২০টি গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাসকূপের সংখ্যা ১০৭টি। সর্বশেষ আবিষ্কৃত জকিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত ৫৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ঘনফুট।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী মোট প্রাথমিক গ্যাস মজুতের পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। শুরু থেকে গত ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পরে জানুয়ারি ২০২২-এ মজুতের পরিমাণ ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, কর্ণফুলী পেপার মিলসের উৎপাদিত ৪ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন কাগজ অবিক্রীত রয়েছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

বেশ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০৭:২৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, বর্তমানে ঢাকা জেলা থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকার সংখ্যা ১ হাজার ১২৬টি। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৪৯৯টি, সাপ্তাহিক ৩৪৫টি ও মাসিক ২৮২টি।

আগামী জুনের মধ্যে শতভাগ মানুষ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, ২০০৯ সালের আগে দেশে বিদ্যুৎ–সুবিধাভুক্ত মানুষ ছিল ৪৭ শতাংশ। গত ১৩ বছরে অবশিষ্ট ৫৩ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় এনে শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ–সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম এলাকা ছাড়া দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকাসমূহে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ প্রদান করার জন্য সরকার প্রতিবছর ক্যাপটিভ রেন্টাল বা ভাড়ায়চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভর্তুকি দেয়। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৭১৪ কোটি ৭৭ লাখ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।

গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩,৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট

সরকারি দলের মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক গড়ে ২ হাজার ৩০৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। বর্তমানে আটটি গ্রাহকশ্রেণির অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী দৈনিক চাহিদা ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন কম হওয়ায় দৈনিক প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে উৎপাদনরত ২০টি গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাসকূপের সংখ্যা ১০৭টি। সর্বশেষ আবিষ্কৃত জকিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত ৫৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ঘনফুট।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী মোট প্রাথমিক গ্যাস মজুতের পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। শুরু থেকে গত ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পরে জানুয়ারি ২০২২-এ মজুতের পরিমাণ ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, কর্ণফুলী পেপার মিলসের উৎপাদিত ৪ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন কাগজ অবিক্রীত রয়েছে।

ঢাকা/টিএ