১২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে নতুন রেকর্ড

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১০৪০৩ বার দেখা হয়েছে

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ৪০০ কোটি (৪৪ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিন শেষে বাংলাদেশের রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪০২ কোটি ডলার।

এ রেকর্ড অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এর আগে ৪ হাজার ৩০০ কোটি (৪৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়ায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। তারও আগে ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২৪ ফেব্রুয়া‌রি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ চার হাজার ৪০২ কোটি ডলার ছাড়ি‌য়ে‌ছে। বাংলা‌দে‌শি মুদ্রায় এর প‌রিমাণ প্রায় তিন লাখ ৭৪ হাজার কো‌টি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।

তিনি আরও বলেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ত রির্জাভ রয়েছে। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রায় ১১ মাসের বে‌শি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে বৈদেশিক বাণিজ্যের নিন্মগতি থাকলেও প্রবাসী আয় বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ বাড়তে সহায়তা করেছে। দেশে উন্নয়নশীল অংশীদারদের বিনিয়োগও আসা শুরু করেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল। যেটি ছিল সর্বোচ্চ। আর নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে, যা ২০২০ সালের জানুয়ারির চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।

ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ দিনে (১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি) ১৪৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসছে এবং রপ্তানিও বে‌ড়ে‌ছে। আমদানি ব্যয়ের চাপ কম। দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা এবং বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে নতুন রেকর্ড

আপডেট: ১২:১৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ৪০০ কোটি (৪৪ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিন শেষে বাংলাদেশের রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪০২ কোটি ডলার।

এ রেকর্ড অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এর আগে ৪ হাজার ৩০০ কোটি (৪৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়ায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। তারও আগে ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২৪ ফেব্রুয়া‌রি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ চার হাজার ৪০২ কোটি ডলার ছাড়ি‌য়ে‌ছে। বাংলা‌দে‌শি মুদ্রায় এর প‌রিমাণ প্রায় তিন লাখ ৭৪ হাজার কো‌টি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।

তিনি আরও বলেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ত রির্জাভ রয়েছে। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রায় ১১ মাসের বে‌শি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে বৈদেশিক বাণিজ্যের নিন্মগতি থাকলেও প্রবাসী আয় বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ বাড়তে সহায়তা করেছে। দেশে উন্নয়নশীল অংশীদারদের বিনিয়োগও আসা শুরু করেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল। যেটি ছিল সর্বোচ্চ। আর নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে, যা ২০২০ সালের জানুয়ারির চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।

ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ দিনে (১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি) ১৪৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসছে এবং রপ্তানিও বে‌ড়ে‌ছে। আমদানি ব্যয়ের চাপ কম। দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা এবং বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

 

আরও পড়ুন: