০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্যাংকের ওপর নির্ভর করছে লকডাউনে পুঁজিবাজারের লেনদেন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১
  • / ১০৫৩১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কঠোর লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে। সেক্ষেত্রে ব্যাংক লেনদেনের সময়সূচী অনুযায়ী পুঁজিবাজারেও সীমিত সময়ে লেনদেন চালু থাকবে।

নানা পদক্ষেপ নিয়েও করোনাভাইরাস সংক্রমণ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং সংক্রমণের হার ক্রমে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। ঢাকার বাইরে সংক্রমণের হার এখন বেশি হলেও ঢাকার মধ্যে দ্রুতই বাড়তে পারে বলে শঙ্কা জনস্বাস্থ্যবিদদের।

এ অবস্থা রুখতে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি টানা দুই সপ্তাহ দেশব্যাপী শাটডাউন অর্থাৎ সবকিছু বন্ধ করার সুপারিশ করেছে।

বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, পরামর্শক কমিটির এ সুপারিশ যৌক্তিক। যেকোনো সময় শাটডাউন করার প্রস্তুতি সরকার নিয়ে রেখেছে। যেকোনো সময় শাটডাউন করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এ অবস্থায় পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় বিনিয়োগকারীদের মাঝে।

শুক্রবার রাতে সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার বলেন, সোমবার সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী সাত দিন সারাদেশে কঠোর লকডাউন কার্যকর করা হবে। প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে শনিবার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, চাইলেও এখন সবকিছু বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। যেমন মানুষের প্রয়োজনে ব্যাংকের লেনদেন সীমিত আকারে হলেও চালু রাখতে হবে। ব্যাংকের লেনদেন চললে আগের মতো পুঁজিবাজারেও লেনদেন সীমিত আকারে চলবে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হতে বিনিয়োগকারীদের অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।

শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, করোনায় লকডাউনে বিশ্বের কোনো দেশেই পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকেনি। গতবছর বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এখানে শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। তবে নতুন করে গতবছরের মতো শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকার আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

ব্যাংকের ওপর নির্ভর করছে লকডাউনে পুঁজিবাজারের লেনদেন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

আপডেট: ১১:২৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কঠোর লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে। সেক্ষেত্রে ব্যাংক লেনদেনের সময়সূচী অনুযায়ী পুঁজিবাজারেও সীমিত সময়ে লেনদেন চালু থাকবে।

নানা পদক্ষেপ নিয়েও করোনাভাইরাস সংক্রমণ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং সংক্রমণের হার ক্রমে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। ঢাকার বাইরে সংক্রমণের হার এখন বেশি হলেও ঢাকার মধ্যে দ্রুতই বাড়তে পারে বলে শঙ্কা জনস্বাস্থ্যবিদদের।

এ অবস্থা রুখতে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি টানা দুই সপ্তাহ দেশব্যাপী শাটডাউন অর্থাৎ সবকিছু বন্ধ করার সুপারিশ করেছে।

বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, পরামর্শক কমিটির এ সুপারিশ যৌক্তিক। যেকোনো সময় শাটডাউন করার প্রস্তুতি সরকার নিয়ে রেখেছে। যেকোনো সময় শাটডাউন করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এ অবস্থায় পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় বিনিয়োগকারীদের মাঝে।

শুক্রবার রাতে সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার বলেন, সোমবার সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী সাত দিন সারাদেশে কঠোর লকডাউন কার্যকর করা হবে। প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে শনিবার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, চাইলেও এখন সবকিছু বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। যেমন মানুষের প্রয়োজনে ব্যাংকের লেনদেন সীমিত আকারে হলেও চালু রাখতে হবে। ব্যাংকের লেনদেন চললে আগের মতো পুঁজিবাজারেও লেনদেন সীমিত আকারে চলবে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হতে বিনিয়োগকারীদের অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।

শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, করোনায় লকডাউনে বিশ্বের কোনো দেশেই পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকেনি। গতবছর বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এখানে শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। তবে নতুন করে গতবছরের মতো শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকার আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।