০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

ব্যাংক খাতের তারল্য কমেছে ২৯ হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৭৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

ঋণের প্রকৃত সুদহার কমে যাওয়া সহ চার কারণে দেশের ব্যাংক খাতের তারল্য কমছে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা। আগের বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে ২০২২ সালের একই সময়ে কমার এ হার ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ৷

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খাতটির তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিলো ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংককিং খাতের তারল্যের পরিমাণ কমেছে ২৮ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋণের প্রকৃত সুদহার কমে যাওয়া, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে বাড়তি প্রবৃদ্ধি, দেশের ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার ক্রয় করা এবং করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমার পরবর্তীতে ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংক ব্যবস্থায় নগদ টাকার পরিমাণ কমেছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে বিশেষায়িত ব্যাংক ছাড়া দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ২৮ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা; শতকরা হিসাবে ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এদিকে গত জুন শেষে এর পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে তারল্যের পরিমাণ কমেছে ২৭ হাজার ১৫১ কোটি টাকা।

এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ এবং আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সুদহার কমে আসার কারণে ঋণের চাহিদা বাড়তে থাকে। এসবের প্রভাবে অগাস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ শতাংশ ৫২ শতাংশে উঠে, যা ছিলো গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আরও পড়ুন: বিদেশী ঋণ বেড়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশ

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক সহ কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এতে ব্যাংকিং খাতের তারল্য ব্যবস্থায় আরও চাপ বেড়েছে। ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নেওয়ার পরিমাণও বেড়েছে ব্যাপকহারে। বর্তমানে দেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি বছরের শুরু থেকে দেশে ডলার সংকট রয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাপকহারে কমছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বর্তমানে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের আশেপাশে রয়েছে রিজার্ভ।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

ব্যাংক খাতের তারল্য কমেছে ২৯ হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ০৮:০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

ঋণের প্রকৃত সুদহার কমে যাওয়া সহ চার কারণে দেশের ব্যাংক খাতের তারল্য কমছে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা। আগের বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে ২০২২ সালের একই সময়ে কমার এ হার ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ৷

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খাতটির তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিলো ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংককিং খাতের তারল্যের পরিমাণ কমেছে ২৮ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋণের প্রকৃত সুদহার কমে যাওয়া, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে বাড়তি প্রবৃদ্ধি, দেশের ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার ক্রয় করা এবং করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমার পরবর্তীতে ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংক ব্যবস্থায় নগদ টাকার পরিমাণ কমেছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে বিশেষায়িত ব্যাংক ছাড়া দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ২৮ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা; শতকরা হিসাবে ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এদিকে গত জুন শেষে এর পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে তারল্যের পরিমাণ কমেছে ২৭ হাজার ১৫১ কোটি টাকা।

এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ এবং আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সুদহার কমে আসার কারণে ঋণের চাহিদা বাড়তে থাকে। এসবের প্রভাবে অগাস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ শতাংশ ৫২ শতাংশে উঠে, যা ছিলো গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আরও পড়ুন: বিদেশী ঋণ বেড়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশ

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক সহ কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এতে ব্যাংকিং খাতের তারল্য ব্যবস্থায় আরও চাপ বেড়েছে। ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নেওয়ার পরিমাণও বেড়েছে ব্যাপকহারে। বর্তমানে দেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি বছরের শুরু থেকে দেশে ডলার সংকট রয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাপকহারে কমছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বর্তমানে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের আশেপাশে রয়েছে রিজার্ভ।

ঢাকা/টিএ