১২:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

ব্র্যাক ব্যাংককে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিলো আইএফসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
  • / ৪২৫৪ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডকে (বিবিএল) কোভিড–১৯ মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এসএমই) সহায়তা করতে আইএফসি ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়ে‌ছে। এসএমই খাতের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক গ্রাহকদের চলতি মূলধন ও বাণিজ্য অর্থায়ন চাহিদা মেটাতে এ বিনিয়োগ ব্র্যাক ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য বাড়াতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান সুরক্ষায় অবদান রাখবে।

সোমবার (২৬ জুন) আইএফসির পক্ষ থে‌কে এ তথ্য জানা‌নো হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

এতে বলা, চল‌তি বছ‌রের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রাইম ব্যাংকের অনুকূলে একই ধরনের ঋণ দি‌য়েছিল। এই নিয়‌মে ব্র্যাক ব্যাংককে দেওয়া এ ঋণ বাজারে একটি ইতিবাচক বার্তাও দেবে এবং স্থানীয় ব্যাংক ও এসএমইগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা অর্থায়নের চাহিদা পূরণে অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণে অবদান রাখবে।

এ অর্থায়ন প্যাকেজ জনস্বাস্থ্য সংকটের সময়কালে কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করতে আইএফসির ৮ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ফাস্ট ট্র্যাক অর্থায়ন সুবিধার অংশ। এ নতুন বিনিয়োগ কোভিড–১৯ এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে সংকটে থাকা কোম্পানিগুলোর জন্য চলতি মূলধন সমাধান কর্মসূচির অধীনে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে উদীয়মান বাজারের ব্যাংকগুলোতে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে। এ প্রকল্প ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) প্রাইভেট সেক্টর উইন্ডোর মিশ্রণ অর্থায়ন সুবিধা দ্বারাও সমর্থিত হবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, আমাদের এসএমই এবং কর্পোরেট গ্রাহকরা কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব থেকে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার অপর্যাপ্ত যোগানের কারণে তাদের নিয়মিত বাণিজ্য পরিচালনায় বাড়তি সমস্যা হচ্ছে।

কোভিড-১৯ মহামারির পর বিশ্বে অর্থনৈতিক ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে, যার পেছনে ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহসহ নানা কারণ রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার জন্য আইএফসির পোর্টফলিও ম্যানেজার জুন ইয়ং পার্ক বলেন, বাংলাদেশের মতো রপ্তানি খাত চালিত অর্থনীতির দেশগুলো যারা নানা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাবার মুখে পড়েছে, তাদের ব্যাংকিং খাতে আইএফসি সহায়তা করে আসছে। ব্র্যাক ব্যাংকের মতো যাদের উল্লেখযোগ্য এসএমই পোর্টফলিও রয়েছে বাংলাদেশের এমন মুখ্য ব্যাংকিং পার্টনারদের আইএফসি অবিচল সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে আইএফসির গত ১৯ বছরের মূলধন এবং ঋণের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

আরও পড়ুন: বিওতে স্টক ডিভিডেন্ড পাঠিয়েছে দুই কোম্পানি

২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত আইএফসি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধিতে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের অধিক বিনিয়োগ করেছে, যার ফলশ্রুতিতে এদেশের নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কোভিড সংকটের শুরু থেকে আইএফসি এ দেশের বিভিন্ন ব্যাংক এবং কোম্পানিকে ৩৬০ মিলিয়ন ডলারের চলতি মূলধন ও তারল্য সহায়তা দিয়েছে।

বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের জন্য নিযুক্ত আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টম্যান বলেন, তিন বছর লম্বা সময় করোনার প্রভাবের মধ্যে থাকার পর বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জিং বাজার পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। ব্র্যাক ব্যাংককে সহায়তার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা করতে এবং মহামারি পরবর্তী টেকসই অর্থনৈতিক দৃশ্যপটের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

ব্র্যাক ব্যাংককে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিলো আইএফসি

আপডেট: ১১:২২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডকে (বিবিএল) কোভিড–১৯ মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এসএমই) সহায়তা করতে আইএফসি ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়ে‌ছে। এসএমই খাতের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক গ্রাহকদের চলতি মূলধন ও বাণিজ্য অর্থায়ন চাহিদা মেটাতে এ বিনিয়োগ ব্র্যাক ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য বাড়াতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান সুরক্ষায় অবদান রাখবে।

সোমবার (২৬ জুন) আইএফসির পক্ষ থে‌কে এ তথ্য জানা‌নো হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

এতে বলা, চল‌তি বছ‌রের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রাইম ব্যাংকের অনুকূলে একই ধরনের ঋণ দি‌য়েছিল। এই নিয়‌মে ব্র্যাক ব্যাংককে দেওয়া এ ঋণ বাজারে একটি ইতিবাচক বার্তাও দেবে এবং স্থানীয় ব্যাংক ও এসএমইগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা অর্থায়নের চাহিদা পূরণে অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণে অবদান রাখবে।

এ অর্থায়ন প্যাকেজ জনস্বাস্থ্য সংকটের সময়কালে কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করতে আইএফসির ৮ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ফাস্ট ট্র্যাক অর্থায়ন সুবিধার অংশ। এ নতুন বিনিয়োগ কোভিড–১৯ এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে সংকটে থাকা কোম্পানিগুলোর জন্য চলতি মূলধন সমাধান কর্মসূচির অধীনে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে উদীয়মান বাজারের ব্যাংকগুলোতে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে। এ প্রকল্প ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) প্রাইভেট সেক্টর উইন্ডোর মিশ্রণ অর্থায়ন সুবিধা দ্বারাও সমর্থিত হবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, আমাদের এসএমই এবং কর্পোরেট গ্রাহকরা কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব থেকে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার অপর্যাপ্ত যোগানের কারণে তাদের নিয়মিত বাণিজ্য পরিচালনায় বাড়তি সমস্যা হচ্ছে।

কোভিড-১৯ মহামারির পর বিশ্বে অর্থনৈতিক ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে, যার পেছনে ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহসহ নানা কারণ রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার জন্য আইএফসির পোর্টফলিও ম্যানেজার জুন ইয়ং পার্ক বলেন, বাংলাদেশের মতো রপ্তানি খাত চালিত অর্থনীতির দেশগুলো যারা নানা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাবার মুখে পড়েছে, তাদের ব্যাংকিং খাতে আইএফসি সহায়তা করে আসছে। ব্র্যাক ব্যাংকের মতো যাদের উল্লেখযোগ্য এসএমই পোর্টফলিও রয়েছে বাংলাদেশের এমন মুখ্য ব্যাংকিং পার্টনারদের আইএফসি অবিচল সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে আইএফসির গত ১৯ বছরের মূলধন এবং ঋণের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

আরও পড়ুন: বিওতে স্টক ডিভিডেন্ড পাঠিয়েছে দুই কোম্পানি

২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত আইএফসি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধিতে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের অধিক বিনিয়োগ করেছে, যার ফলশ্রুতিতে এদেশের নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কোভিড সংকটের শুরু থেকে আইএফসি এ দেশের বিভিন্ন ব্যাংক এবং কোম্পানিকে ৩৬০ মিলিয়ন ডলারের চলতি মূলধন ও তারল্য সহায়তা দিয়েছে।

বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের জন্য নিযুক্ত আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টম্যান বলেন, তিন বছর লম্বা সময় করোনার প্রভাবের মধ্যে থাকার পর বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জিং বাজার পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। ব্র্যাক ব্যাংককে সহায়তার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা করতে এবং মহামারি পরবর্তী টেকসই অর্থনৈতিক দৃশ্যপটের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।

ঢাকা/এসএ