০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মশিউর সিকিউরিটিজের প্রতারণায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা উদ্ধারে বিএসইসির পদক্ষেপ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১০২৪৪ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান মশিউর সিকিউরিটিজের প্রতারণার শিকার বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইনি ও প্রশাসনিক সব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

তদন্তে দেখা গেছে, ব্রোকারেজ হাউসটি বিভিন্ন সফটওয়্যার ও সার্ভারের মাধ্যমে বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদের অর্থ ও শেয়ার আত্মসাৎ করেছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি মোট ১৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে—এর মধ্যে ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা নগদ এবং ৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ জন বিনিয়োগকারী বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা নিজেদের আর্থিক ক্ষতি ও দুরবস্থার কথা তুলে ধরে দ্রুত অর্থ ফেরতের দাবি জানান। বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “কমিশন আপনাদের পাশে আছে, অর্থ উদ্ধারে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।”

বিএসইসির মুখপাত্র মো. আবুল কালাম জানান, ইতোমধ্যে দুদকে মামলা করা হয়েছে এবং মশিউর সিকিউরিটিজের পরিচালকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।

২০২১ সালের মে মাসে ডিএসইর তদন্তে মশিউর সিকিউরিটিজের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ৭৫ কোটি টাকার ঘাটতি ধরা পড়ে। কয়েক মাস পর, আগস্টে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এছাড়া বহু বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেছেন যে তারা তাদের প্রাপ্য ডিভিডেন্ড, বোনাস শেয়ার ও রাইটস শেয়ারও পাননি।

ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পর বিএসইসি পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরাতে তারা যেকোনো পর্যায়ে লড়াই করতে প্রস্তুত।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

মশিউর সিকিউরিটিজের প্রতারণায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা উদ্ধারে বিএসইসির পদক্ষেপ

আপডেট: ০২:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান মশিউর সিকিউরিটিজের প্রতারণার শিকার বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইনি ও প্রশাসনিক সব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

তদন্তে দেখা গেছে, ব্রোকারেজ হাউসটি বিভিন্ন সফটওয়্যার ও সার্ভারের মাধ্যমে বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদের অর্থ ও শেয়ার আত্মসাৎ করেছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি মোট ১৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে—এর মধ্যে ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা নগদ এবং ৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ জন বিনিয়োগকারী বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা নিজেদের আর্থিক ক্ষতি ও দুরবস্থার কথা তুলে ধরে দ্রুত অর্থ ফেরতের দাবি জানান। বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “কমিশন আপনাদের পাশে আছে, অর্থ উদ্ধারে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।”

বিএসইসির মুখপাত্র মো. আবুল কালাম জানান, ইতোমধ্যে দুদকে মামলা করা হয়েছে এবং মশিউর সিকিউরিটিজের পরিচালকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।

২০২১ সালের মে মাসে ডিএসইর তদন্তে মশিউর সিকিউরিটিজের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ৭৫ কোটি টাকার ঘাটতি ধরা পড়ে। কয়েক মাস পর, আগস্টে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এছাড়া বহু বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেছেন যে তারা তাদের প্রাপ্য ডিভিডেন্ড, বোনাস শেয়ার ও রাইটস শেয়ারও পাননি।

ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পর বিএসইসি পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরাতে তারা যেকোনো পর্যায়ে লড়াই করতে প্রস্তুত।

ঢাকা/এসএইচ