১১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

মহাশূন্যে ফুল ফোটালো নাসা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
  • / ৪১৬৪ বার দেখা হয়েছে

পৃথিবীর মতো কী কী ঘটে মহাকাশে, কোন কোন ঘটনা পৃথিবীর মতোই মহাকাশেও ঘটানো যায়, মহাকাশ বিজ্ঞানীদের এই কৌতূহল বহুদিনের। আর সে কৌতূহল থেকেই অবিশ্রাম চলছে গবেষণা। সম্প্রতি একাধিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। তেমনি দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশচারী এবং বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে খাদ্যশস্য ও গাছপালা উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মহাকাশে কীভাবে কৃষিকাজ করতে হবে, সে সম্পর্কে ধারণা পেতে কাজটি বিজ্ঞানীদের জন্য জরুরি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মহাকাশ শুধু নয়, পৃথিবী বাদে অন্যান্য গ্ৰহে প্রাণের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কোনো গ্ৰহে প্রাণের অনুকূল পরিবেশ আছে কি না, তারও খোঁজ চলছে। এর মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফুল ফুটে থাকা একটি জিনিয়াগাছের ছবি প্রকাশ করেছে। গাছটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) জন্মেছে।

মহাশূন্যেই বিশেষ কায়দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জিনিয়া ফুল। যা দেখতে রীতিমতো আসল ফুলের মতোই। বৈজ্ঞানিক উপায়ে মহাশূন্যেই প্রাণের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে‌। এতে নাসার বিজ্ঞানীর আশার আলো দেখছেন।

জিনিয়া ফুলের ছবি পোস্ট করে নাসা লিখেছে- আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে সবজি উৎপাদনসংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে কক্ষপথে জিনিয়া ফুলটি ফুটেছে।

১৯৭০-এর দশক থেকে মহাকাশে উদ্ভিদের চাষাবাদ নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। তবে মহাকাশে ফুল জন্মানোর গবেষণাটি শুরু হয় ২০১৫ সালে। মহাকাশচারী কেউলি লিন্ডগ্রেন এ কাজটি শুরু করেন। লিন্ডগ্রেন তখন মহাকাশে ‘সবজি উৎপাদনব্যবস্থা’ সক্রিয় করেছিলেন এবং জিনিয়া ফুলের বীজ লাগিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার কোটি ডলার

মহাকাশে বাগান করার গুরুত্ব উল্লেখ করে নাসা আরও লিখেছে, মহাকাশে বাগান করাটা আমাদের জন্য লোক দেখানো কোনো বিষয় নয়। কক্ষপথে কীভাবে গাছ জন্মাতে হবে, তা জানার মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারব পৃথিবীর বাইরে কীভাবে শস্য উৎপাদন করা যায়। আমরা চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের মতো দীর্ঘমেয়াদি অভিযানগুলোতে টাটকা খাবারের উৎস তৈরি করতে পারব।

নাসার মহাকাশচারীরা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে টমেটো, লেটুস এবং অন্যান্য শাকসবজি জন্মিয়েছেন। আরও নতুন কিছু চাষাবাদের স্বপ্ন দেখছেন তারা।

২০১৭ সালে সামাজিকযোগাযোগমাধ্যমে নাসার দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, মহাকাশে জিনিয়া ফুল ফোটানোর জন্য যে ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তার আলোকে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারবেন। তারা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন কীভাবে মাইক্রোগ্র্যাভিটির মধ্যেও গাছ জন্মানো যাবে। আর মহাকাশচারীরা এর মধ্য দিয়ে মহাকাশে নিজস্ব বাগান তৈরির চর্চা করতে পারবেন।

ইনস্টাগ্রামে ওই পোস্ট দেওয়ার পর অনেকেই তখন চমকে গিয়েছিলেন। পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে অনেকে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।এবারও মহাকাশ বিজ্ঞানীদের এমন সাফল্যে অভিভূত তাদের অভিনন্দন জানান নেটিজেনরা।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

মহাশূন্যে ফুল ফোটালো নাসা

আপডেট: ১২:৪০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

পৃথিবীর মতো কী কী ঘটে মহাকাশে, কোন কোন ঘটনা পৃথিবীর মতোই মহাকাশেও ঘটানো যায়, মহাকাশ বিজ্ঞানীদের এই কৌতূহল বহুদিনের। আর সে কৌতূহল থেকেই অবিশ্রাম চলছে গবেষণা। সম্প্রতি একাধিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। তেমনি দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশচারী এবং বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে খাদ্যশস্য ও গাছপালা উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মহাকাশে কীভাবে কৃষিকাজ করতে হবে, সে সম্পর্কে ধারণা পেতে কাজটি বিজ্ঞানীদের জন্য জরুরি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মহাকাশ শুধু নয়, পৃথিবী বাদে অন্যান্য গ্ৰহে প্রাণের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কোনো গ্ৰহে প্রাণের অনুকূল পরিবেশ আছে কি না, তারও খোঁজ চলছে। এর মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফুল ফুটে থাকা একটি জিনিয়াগাছের ছবি প্রকাশ করেছে। গাছটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) জন্মেছে।

মহাশূন্যেই বিশেষ কায়দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জিনিয়া ফুল। যা দেখতে রীতিমতো আসল ফুলের মতোই। বৈজ্ঞানিক উপায়ে মহাশূন্যেই প্রাণের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে‌। এতে নাসার বিজ্ঞানীর আশার আলো দেখছেন।

জিনিয়া ফুলের ছবি পোস্ট করে নাসা লিখেছে- আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে সবজি উৎপাদনসংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে কক্ষপথে জিনিয়া ফুলটি ফুটেছে।

১৯৭০-এর দশক থেকে মহাকাশে উদ্ভিদের চাষাবাদ নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। তবে মহাকাশে ফুল জন্মানোর গবেষণাটি শুরু হয় ২০১৫ সালে। মহাকাশচারী কেউলি লিন্ডগ্রেন এ কাজটি শুরু করেন। লিন্ডগ্রেন তখন মহাকাশে ‘সবজি উৎপাদনব্যবস্থা’ সক্রিয় করেছিলেন এবং জিনিয়া ফুলের বীজ লাগিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার কোটি ডলার

মহাকাশে বাগান করার গুরুত্ব উল্লেখ করে নাসা আরও লিখেছে, মহাকাশে বাগান করাটা আমাদের জন্য লোক দেখানো কোনো বিষয় নয়। কক্ষপথে কীভাবে গাছ জন্মাতে হবে, তা জানার মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারব পৃথিবীর বাইরে কীভাবে শস্য উৎপাদন করা যায়। আমরা চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের মতো দীর্ঘমেয়াদি অভিযানগুলোতে টাটকা খাবারের উৎস তৈরি করতে পারব।

নাসার মহাকাশচারীরা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে টমেটো, লেটুস এবং অন্যান্য শাকসবজি জন্মিয়েছেন। আরও নতুন কিছু চাষাবাদের স্বপ্ন দেখছেন তারা।

২০১৭ সালে সামাজিকযোগাযোগমাধ্যমে নাসার দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, মহাকাশে জিনিয়া ফুল ফোটানোর জন্য যে ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তার আলোকে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারবেন। তারা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন কীভাবে মাইক্রোগ্র্যাভিটির মধ্যেও গাছ জন্মানো যাবে। আর মহাকাশচারীরা এর মধ্য দিয়ে মহাকাশে নিজস্ব বাগান তৈরির চর্চা করতে পারবেন।

ইনস্টাগ্রামে ওই পোস্ট দেওয়ার পর অনেকেই তখন চমকে গিয়েছিলেন। পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে অনেকে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।এবারও মহাকাশ বিজ্ঞানীদের এমন সাফল্যে অভিভূত তাদের অভিনন্দন জানান নেটিজেনরা।

ঢাকা/এসএম