০৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মানি লন্ডারিংয়ের ৮০ শতাংশ হ‌য় ব্যাংকের মাধ্যমে: বিএফআইইউ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৪৫২ বার দেখা হয়েছে

মানি লন্ডারিংয়ের ৮০ শতাংশ ব্যাংকের মাধ্যমে হ‌য় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।

আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়া‌রি) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউ প্রকাশিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিএফআইইউ’র বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন বা এসটিআর জমা হয়েছে। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল আট হাজার ৫৭১টি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২৮০টি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সব সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) অপরাধ নয়। লেনদেন সন্দেহজনক হলে তদন্ত ক‌রি। এরপর য‌দি কোনো অপরাধের তথ্য প্রমাণ ‌মেলে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই।

আরও পড়ুন: সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে আর্থিক খাতে

বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের ৮০ শতাংশ হ‌য় ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংক য‌দি এ‌টি বন্ধে সহযো‌গিতা না করে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করা ক‌ঠিন। কারণ একবার মানি লন্ডারিং হয়ে গেলে তা ফেরত আনা যায় না। এছাড়া পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা ও সহযোগিতার জন্য ১০ দেশের সঙ্গে এমওইউ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বিএফআইইউর প্রধান বলেন, বিএফআইইউর তথ্যের ভিত্তিতে অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে ৫৯টি। এর মধ্যে দুদক মামলা করেছে ৪৭টি, সিআই‌ডি ১০টি এবং এন‌বিআরের বিশেষ সেল ২টি। এগুলো এখনো নিষ্পত্তি হয়‌নি।

এদিন সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউর নির্বাহী প‌রিচালক র‌ফিকুল ইসলাম, বৈ‌দে‌শিক মুদ্রা ও নী‌তি বিভা‌গের প‌রিচালক সা‌রোয়ার হো‌সেন, অ‌তি‌রিক্ত প‌রিচালক কামাল হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

মানি লন্ডারিংয়ের ৮০ শতাংশ হ‌য় ব্যাংকের মাধ্যমে: বিএফআইইউ

আপডেট: ০৫:৪২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মানি লন্ডারিংয়ের ৮০ শতাংশ ব্যাংকের মাধ্যমে হ‌য় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।

আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়া‌রি) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউ প্রকাশিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিএফআইইউ’র বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন বা এসটিআর জমা হয়েছে। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল আট হাজার ৫৭১টি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২৮০টি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সব সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) অপরাধ নয়। লেনদেন সন্দেহজনক হলে তদন্ত ক‌রি। এরপর য‌দি কোনো অপরাধের তথ্য প্রমাণ ‌মেলে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই।

আরও পড়ুন: সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে আর্থিক খাতে

বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের ৮০ শতাংশ হ‌য় ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংক য‌দি এ‌টি বন্ধে সহযো‌গিতা না করে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করা ক‌ঠিন। কারণ একবার মানি লন্ডারিং হয়ে গেলে তা ফেরত আনা যায় না। এছাড়া পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা ও সহযোগিতার জন্য ১০ দেশের সঙ্গে এমওইউ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বিএফআইইউর প্রধান বলেন, বিএফআইইউর তথ্যের ভিত্তিতে অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে ৫৯টি। এর মধ্যে দুদক মামলা করেছে ৪৭টি, সিআই‌ডি ১০টি এবং এন‌বিআরের বিশেষ সেল ২টি। এগুলো এখনো নিষ্পত্তি হয়‌নি।

এদিন সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউর নির্বাহী প‌রিচালক র‌ফিকুল ইসলাম, বৈ‌দে‌শিক মুদ্রা ও নী‌তি বিভা‌গের প‌রিচালক সা‌রোয়ার হো‌সেন, অ‌তি‌রিক্ত প‌রিচালক কামাল হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএ