০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মার্কিন পাল্টা শুল্ক কমে ২০ শতাংশ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ বিজিএমইএ সভাপতির

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:২৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১০২৭৬ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাকপণ্যে পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়াটা নিঃসন্দেহে একটি স্বস্তির বিষয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শুক্রবার দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, “গত তিন মাস ধরে পাল্টা শুল্ক নিয়ে আমরা এক ধরনের অনিশ্চয়তায় ছিলাম। এই অনিশ্চয়তা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য খুব কঠিন ছিল। মার্কিন ক্রেতারাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত শুল্ক হার কমে আসায় স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে।”

তিনি জানান, “প্রতিযোগী দেশের তুলনায় আমাদের ওপর যদি পাল্টা শুল্ক বেশি থাকত, তাহলে ব্যবসা পরিচালনা কঠিন হয়ে যেত। বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়ে এক শতাংশ বেশি হলেও ভারতের চেয়ে ৫ এবং চীনের চেয়ে ১০ শতাংশ কম শুল্ক আমাদের জন্য তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক। এটি আমাদের প্রতিযোগিতায় সুবিধা দেবে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “শুল্ক বাড়ার ফলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িকভাবে সংকটে পড়তে পারে। তারা যদি অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে না পারে, তাহলে ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিতে পারে। আবার এই শুল্ক শেষ পর্যন্ত গিয়ে পড়বে মার্কিন ভোক্তাদের ওপর।”

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, “এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান নিজ খরচে সামাল দিয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে চাপ আমাদের সরবরাহকারীদের ওপরও পড়েছে। এ বিষয়ে আমি বিজিএমইএ সদস্যদের বলতে চাই, এই বাড়তি শুল্ক আমদানিকারক ও ক্রেতারাই বহন করবে। যেন সেটা আমাদের সদস্যরা নিশ্চিত করেন।”

আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে লাফিয়ে ২ শতাংশ বাড়ল স্বর্ণের দাম

চীন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চীনের ওপর এখনও ৩০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক রয়েছে। মার্কিন প্রশাসন সেখানেও শিগগিরই চূড়ান্ত হার ঘোষণা করতে পারে। তবে আভাস অনুযায়ী, চীনের শুল্ক আমাদের চেয়ে কম হবে না। ফলে ক্রয়াদেশ সরাসরি বাংলাদেশের দিকে চলে আসার সুযোগ থাকছে। তবে তার জন্য দরকার জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।”

তিনি আরও বলেন, “চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনো না পেলেও, আমাদের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে আমরা আশাবাদী। তবে বাংলাদেশ যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেমন গম, তুলা, এলএনজি ও উড়োজাহাজ কেনার বিষয়—তাতে কোনো গাফিলতি হলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।”

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

মার্কিন পাল্টা শুল্ক কমে ২০ শতাংশ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ বিজিএমইএ সভাপতির

আপডেট: ০২:২৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাকপণ্যে পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়াটা নিঃসন্দেহে একটি স্বস্তির বিষয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শুক্রবার দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, “গত তিন মাস ধরে পাল্টা শুল্ক নিয়ে আমরা এক ধরনের অনিশ্চয়তায় ছিলাম। এই অনিশ্চয়তা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য খুব কঠিন ছিল। মার্কিন ক্রেতারাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত শুল্ক হার কমে আসায় স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে।”

তিনি জানান, “প্রতিযোগী দেশের তুলনায় আমাদের ওপর যদি পাল্টা শুল্ক বেশি থাকত, তাহলে ব্যবসা পরিচালনা কঠিন হয়ে যেত। বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়ে এক শতাংশ বেশি হলেও ভারতের চেয়ে ৫ এবং চীনের চেয়ে ১০ শতাংশ কম শুল্ক আমাদের জন্য তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক। এটি আমাদের প্রতিযোগিতায় সুবিধা দেবে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “শুল্ক বাড়ার ফলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িকভাবে সংকটে পড়তে পারে। তারা যদি অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে না পারে, তাহলে ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিতে পারে। আবার এই শুল্ক শেষ পর্যন্ত গিয়ে পড়বে মার্কিন ভোক্তাদের ওপর।”

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, “এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান নিজ খরচে সামাল দিয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে চাপ আমাদের সরবরাহকারীদের ওপরও পড়েছে। এ বিষয়ে আমি বিজিএমইএ সদস্যদের বলতে চাই, এই বাড়তি শুল্ক আমদানিকারক ও ক্রেতারাই বহন করবে। যেন সেটা আমাদের সদস্যরা নিশ্চিত করেন।”

আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে লাফিয়ে ২ শতাংশ বাড়ল স্বর্ণের দাম

চীন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চীনের ওপর এখনও ৩০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক রয়েছে। মার্কিন প্রশাসন সেখানেও শিগগিরই চূড়ান্ত হার ঘোষণা করতে পারে। তবে আভাস অনুযায়ী, চীনের শুল্ক আমাদের চেয়ে কম হবে না। ফলে ক্রয়াদেশ সরাসরি বাংলাদেশের দিকে চলে আসার সুযোগ থাকছে। তবে তার জন্য দরকার জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।”

তিনি আরও বলেন, “চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনো না পেলেও, আমাদের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে আমরা আশাবাদী। তবে বাংলাদেশ যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেমন গম, তুলা, এলএনজি ও উড়োজাহাজ কেনার বিষয়—তাতে কোনো গাফিলতি হলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।”

ঢাকা/এসএইচ