১২:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে ৯৬৮ কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৬৮ বার দেখা হয়েছে

ব্যবসা-বাণিজ্যসহ গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বড় অবদান রাখছে এজেন্ট ব্যাংকিং। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষেরাও ব্যাংক খাতের এই সুবিধাটি ভোগ করতে পারছেন। সদ্য বিদায়ী বছরের নভেম্বর মাসে ব্যাংকগুলোর এসব শাখার গ্রাহকেরা আমানত রেখেছে ২৯ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা। এর আগের মাসে আমানত রাখার পরিমাণ ছিলো ৩০ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এর পরিমাণ কমেছে ৯৬৮ কোটি টাকা।

ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আমানত রাখা, ঋণ বিতরণ ও প্রবাসী আয় আনার পাশাপাশি তারা স্কুল ব্যাংকিং চালু করেছে। গ্রামগঞ্জে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভাতাও বিতরণ করছে এসব শাখাগুলো। মানুষ নতুন করে ব্যাংকিং কার্যক্রম শিখতে পারছে। এতে ব্যাপকহারে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আমানত সংগ্রহে শহরের চেয়ে এগিয়ে ছিলো গ্রাম অঞ্চলের শাখাগুলো। গত বছরের নভেম্বর শেষে প্রত্যান্ত এলাকার গ্রাহকরা মোট ২৩ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকার আমানত রাখে যা আগের মাসের তুলনায় ৯৭১ কোটি টাকা কম। অক্টোবরে গ্রামের এজেন্ট শাখাগুলো আমানত সংগ্রহ করেছিলো ২৪ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। অপরদিকে গত নভেম্বর শেষে শহরের এজেন্ট ব্যাংকের শাখাগুলোতে মোট ৫ হাজার ৯১১ কোটি টাকার আমানত রাখে গ্রাহকরা।

এদিকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও আগের মাসের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিলো ব্যাংকের এজেন্ট শাখাগুলো। নভেম্বর মাসে মোট ঋণ বিতরণ করে ৭৮৭ কোটি টাকার, যা আগের মাসের চেয়ে ১১২ কোটি টাকা বেশি। এরমধ্যে ২৬৯ কোটি টাকা বিতরণ হয় শহরে এবং গ্রামের শাখাগুলোতে বিতরণ করে ৫১৮ কোটি টাকা। এর আগের মাসে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিলো ৬৭৪ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যের বিশাল বাজার হবে নাইজেরিয়া: জসিম উদ্দিন

অপরদিকে এজেন্ট ব্যাংকের শাখাগুলোতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে। নভেম্বরে খাতটিতে মোট ২৫৬ কোটি টাকা ব্যবহৃত হয়েছে। এর আগের মাসে এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা হয়েছিলো ২২৮ কোটি টাকা।

তবে আলোচ্য মাসটিতে এজেন্ট শাখাগুলোতে আগ্রহ বেড়েছে প্রবাসীদের। ফলে প্রবাসী আয় সংগ্রহ বেড়েছে এসব শাখাগুলোতে। মাসটিতে মোট ২ হাজার ৮২৩ কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসে এজেন্টদের মাধ্যমে, যা আগের মাসের চেয়ে ২১৬ কোটি টাকা বেশি। অক্টোবর মাসে এজেন্টের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৬০৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা হয়েছিলো।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে ৯৬৮ কোটি টাকা

আপডেট: ০৭:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

ব্যবসা-বাণিজ্যসহ গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বড় অবদান রাখছে এজেন্ট ব্যাংকিং। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষেরাও ব্যাংক খাতের এই সুবিধাটি ভোগ করতে পারছেন। সদ্য বিদায়ী বছরের নভেম্বর মাসে ব্যাংকগুলোর এসব শাখার গ্রাহকেরা আমানত রেখেছে ২৯ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা। এর আগের মাসে আমানত রাখার পরিমাণ ছিলো ৩০ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এর পরিমাণ কমেছে ৯৬৮ কোটি টাকা।

ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আমানত রাখা, ঋণ বিতরণ ও প্রবাসী আয় আনার পাশাপাশি তারা স্কুল ব্যাংকিং চালু করেছে। গ্রামগঞ্জে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভাতাও বিতরণ করছে এসব শাখাগুলো। মানুষ নতুন করে ব্যাংকিং কার্যক্রম শিখতে পারছে। এতে ব্যাপকহারে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আমানত সংগ্রহে শহরের চেয়ে এগিয়ে ছিলো গ্রাম অঞ্চলের শাখাগুলো। গত বছরের নভেম্বর শেষে প্রত্যান্ত এলাকার গ্রাহকরা মোট ২৩ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকার আমানত রাখে যা আগের মাসের তুলনায় ৯৭১ কোটি টাকা কম। অক্টোবরে গ্রামের এজেন্ট শাখাগুলো আমানত সংগ্রহ করেছিলো ২৪ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। অপরদিকে গত নভেম্বর শেষে শহরের এজেন্ট ব্যাংকের শাখাগুলোতে মোট ৫ হাজার ৯১১ কোটি টাকার আমানত রাখে গ্রাহকরা।

এদিকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও আগের মাসের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিলো ব্যাংকের এজেন্ট শাখাগুলো। নভেম্বর মাসে মোট ঋণ বিতরণ করে ৭৮৭ কোটি টাকার, যা আগের মাসের চেয়ে ১১২ কোটি টাকা বেশি। এরমধ্যে ২৬৯ কোটি টাকা বিতরণ হয় শহরে এবং গ্রামের শাখাগুলোতে বিতরণ করে ৫১৮ কোটি টাকা। এর আগের মাসে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিলো ৬৭৪ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যের বিশাল বাজার হবে নাইজেরিয়া: জসিম উদ্দিন

অপরদিকে এজেন্ট ব্যাংকের শাখাগুলোতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে। নভেম্বরে খাতটিতে মোট ২৫৬ কোটি টাকা ব্যবহৃত হয়েছে। এর আগের মাসে এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা হয়েছিলো ২২৮ কোটি টাকা।

তবে আলোচ্য মাসটিতে এজেন্ট শাখাগুলোতে আগ্রহ বেড়েছে প্রবাসীদের। ফলে প্রবাসী আয় সংগ্রহ বেড়েছে এসব শাখাগুলোতে। মাসটিতে মোট ২ হাজার ৮২৩ কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসে এজেন্টদের মাধ্যমে, যা আগের মাসের চেয়ে ২১৬ কোটি টাকা বেশি। অক্টোবর মাসে এজেন্টের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৬০৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা হয়েছিলো।

ঢাকা/এসএ