১১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

মুদ্রাস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনা মূল লক্ষ্য: গভর্নর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৫৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৪৩০ বার দেখা হয়েছে

আমাদের লক্ষ্য আগামী জুনের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা। পরবর্তী অর্থবছরের মধ্যে তা ৫ শতাংশে নামানো। মূল লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটরিয়ামে ‘টিপিং পয়েন্টস অব রিফর্ম এজেন্ডা ফর দ্যা টার্নঅ্যারাউন্ড অব দ্যা ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে এ আলোচনা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, বন্যার কারণে বর্তমান বাজারে সবজি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তি। একসময় তা কমে আসবে। মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারলে আমরা ব্যাংকের সুদ ও নীতি সুদহার কমিয়ে আনব।

তিনি বলেন, গত ১০-১২ বছর ধরেই অর্থনৈতিক খাত পিছিয়ে ছিল। অর্থনীতির চারটা স্তম্ভ ব্যাংকিং, স্টক মার্কেট, ইন্স্যুরেন্স, বন্ড মার্কেট কোনোটাই আমাদের দেশে শক্তিশালী নয়। বন্ড মার্কেট আমরা গড়েই তুলতে পারিনি। ইন্স্যুরেন্স আর স্টক মার্কেটের অবস্থা করুণ। ফলে একমাত্র ব্যাংকিং খাতকেই আমাদের দেশে বড় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি উৎস বের করতে না পারলে আমাদের ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরশীলতা থাকবেই।

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন রাজনৈতিক, বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আরো বলেন, দেশে টাকা নাই। ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল রিজার্ভ; যা এখন হয়েছে ২৪ বিলিয়ন। অর্থাৎ বাকি টাকাটা বাইরে চলে গেছে। আমরা যদি আমানত বাড়াতে না পারি, টাকা বাইরে চলে যায়, তাহলে ব্যাংক ও অর্থনৈতিক খাতের প্রবৃদ্ধি হবে না। এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করার জন্য টাকা পাচার বন্ধ করতে হবে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ গ্যারান্টি সংস্থার (মিগা) ড. জুনায়েদ কামাল আহমদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর কবির আহাম্মদ, মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান ও নূরুন নাহার প্রমুখ।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

মুদ্রাস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনা মূল লক্ষ্য: গভর্নর

আপডেট: ০৩:৫৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আমাদের লক্ষ্য আগামী জুনের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা। পরবর্তী অর্থবছরের মধ্যে তা ৫ শতাংশে নামানো। মূল লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটরিয়ামে ‘টিপিং পয়েন্টস অব রিফর্ম এজেন্ডা ফর দ্যা টার্নঅ্যারাউন্ড অব দ্যা ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে এ আলোচনা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, বন্যার কারণে বর্তমান বাজারে সবজি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তি। একসময় তা কমে আসবে। মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারলে আমরা ব্যাংকের সুদ ও নীতি সুদহার কমিয়ে আনব।

তিনি বলেন, গত ১০-১২ বছর ধরেই অর্থনৈতিক খাত পিছিয়ে ছিল। অর্থনীতির চারটা স্তম্ভ ব্যাংকিং, স্টক মার্কেট, ইন্স্যুরেন্স, বন্ড মার্কেট কোনোটাই আমাদের দেশে শক্তিশালী নয়। বন্ড মার্কেট আমরা গড়েই তুলতে পারিনি। ইন্স্যুরেন্স আর স্টক মার্কেটের অবস্থা করুণ। ফলে একমাত্র ব্যাংকিং খাতকেই আমাদের দেশে বড় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি উৎস বের করতে না পারলে আমাদের ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরশীলতা থাকবেই।

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন রাজনৈতিক, বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আরো বলেন, দেশে টাকা নাই। ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল রিজার্ভ; যা এখন হয়েছে ২৪ বিলিয়ন। অর্থাৎ বাকি টাকাটা বাইরে চলে গেছে। আমরা যদি আমানত বাড়াতে না পারি, টাকা বাইরে চলে যায়, তাহলে ব্যাংক ও অর্থনৈতিক খাতের প্রবৃদ্ধি হবে না। এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করার জন্য টাকা পাচার বন্ধ করতে হবে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ গ্যারান্টি সংস্থার (মিগা) ড. জুনায়েদ কামাল আহমদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর কবির আহাম্মদ, মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান ও নূরুন নাহার প্রমুখ।

ঢাকা/এসএইচ