১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মূলধনের পাঁচ গুণ মুনাফা করেছে রেকিট বেনকিজার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০৪৮৮ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

দেশীয় কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের অজুহাতে প্রতিবছর বোনাস শেয়ার ইস্যু করে মুনাফা কোম্পানিতে রেখে দেয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোনো কার্যকর সম্প্রসারণ ঘটছে না। যার ফলে ফি বছর কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমতে থাকে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অন্যদিকে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো শত শত শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার পরেও তাদের মুনাফা বৃদ্ধি পায়। এমনকি স্বল্প পরিশোধিত মূলধন নিয়েও দেশীয় শত কোটি টাকার কোম্পানির তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়।

এক্ষেত্রে অন্যতম উদাহরণ হিসেবে দেখা যায় বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার। কোম্পানিটি বিগত ১০ বছরে ৫৫০ শতাংশের নিচে ডিভিডেন্ড প্রদানের নজির নেই, যেখানে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড বিতরণ করাই অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় অনেক কোম্পানি স্বল্প ডিভিডেন্ডের মধ্যে বোনাস শেয়ারও অন্তর্ভুক্ত করে।

রেকিট বেনকিজারের পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সমাপ্ত ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১৫৯ টাকা ১৭ পয়সা হিসেবে মোট ৭৫ কোটি ২১ লাখ টাকার নিট মুনাফা করেছে। এই মুনাফার ভিত্তিতে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩ হাজার ৩৩০ শতাংশ হারে শেয়ার প্রতি ৩৩৩ টাকা করে, মোট ১৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার ক্যাশ ডিভিডেন্ড বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা শেয়ারবাজারে হাজার কোটি টাকা মূল্যের বহু ব্যাংকের পক্ষেও সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: ব্লক মার্কেটে ২২ কোটি টাকার লেনদেন

এর আগে ২০২৩ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১৭৩ টাকা ৬৫ পয়সার ভিত্তিতে ৮২ কোটি ৫ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছিল। ওই বছর কোম্পানিটি ৫৫০ শতাংশ হারে মোট ২৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছিল। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, রেকিট বেনকিজারের ২০২৪ অর্থবছরের ব্যবসায় মুনাফা কমলেও, ডিভিডেন্ডের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

মূলধনের পাঁচ গুণ মুনাফা করেছে রেকিট বেনকিজার

আপডেট: ০৫:১১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

দেশীয় কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের অজুহাতে প্রতিবছর বোনাস শেয়ার ইস্যু করে মুনাফা কোম্পানিতে রেখে দেয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোনো কার্যকর সম্প্রসারণ ঘটছে না। যার ফলে ফি বছর কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমতে থাকে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অন্যদিকে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো শত শত শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার পরেও তাদের মুনাফা বৃদ্ধি পায়। এমনকি স্বল্প পরিশোধিত মূলধন নিয়েও দেশীয় শত কোটি টাকার কোম্পানির তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়।

এক্ষেত্রে অন্যতম উদাহরণ হিসেবে দেখা যায় বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার। কোম্পানিটি বিগত ১০ বছরে ৫৫০ শতাংশের নিচে ডিভিডেন্ড প্রদানের নজির নেই, যেখানে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড বিতরণ করাই অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় অনেক কোম্পানি স্বল্প ডিভিডেন্ডের মধ্যে বোনাস শেয়ারও অন্তর্ভুক্ত করে।

রেকিট বেনকিজারের পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সমাপ্ত ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১৫৯ টাকা ১৭ পয়সা হিসেবে মোট ৭৫ কোটি ২১ লাখ টাকার নিট মুনাফা করেছে। এই মুনাফার ভিত্তিতে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩ হাজার ৩৩০ শতাংশ হারে শেয়ার প্রতি ৩৩৩ টাকা করে, মোট ১৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার ক্যাশ ডিভিডেন্ড বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা শেয়ারবাজারে হাজার কোটি টাকা মূল্যের বহু ব্যাংকের পক্ষেও সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: ব্লক মার্কেটে ২২ কোটি টাকার লেনদেন

এর আগে ২০২৩ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১৭৩ টাকা ৬৫ পয়সার ভিত্তিতে ৮২ কোটি ৫ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছিল। ওই বছর কোম্পানিটি ৫৫০ শতাংশ হারে মোট ২৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছিল। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, রেকিট বেনকিজারের ২০২৪ অর্থবছরের ব্যবসায় মুনাফা কমলেও, ডিভিডেন্ডের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।

ঢাকা/টিএ