১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মূল মার্কেটে আসতে চায় এফএম প্লাস্টিক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০৪৯৯ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারের মূল মার্কেটে আসতে চায় এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। এর আগে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য এসএমই প্লাটফর্ম তালিকাভুক্তির জন্য এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি যে আবেদন করেছিল, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

কিন্তু পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাদের কিউআইও বাতিল করেনি বলে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, কোম্পানিটি গত মাসের শেষের দিকে বিএসইসিকে কিউআইও থেকে প্রত্যাহার চেয়ে চিঠি দিয়েছে। তবে কমিশন কোম্পানিটির কিউআইও বাতিল করেনি।

এফএম প্লাস্টিক তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য অন্য উৎস থেকে অর্থ উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য এসএমই প্লাটফর্ম থেকে তাদের আবেদন প্রত্যাহারে কমিশনে চিঠি দিয়েছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটি পুঁজিবাজারের এসএমই প্লাটফর্মে কিউআইও’র মাধ্যমে ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। তবে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষে বিদেশি তহবিল অর্থায়ন করতে চায়। তাই কোম্পানিটি এসএমই প্লাটফর্মের পরিবর্তে মূল মার্কেটে প্রবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জানা গেছে, এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের পণ্যের মধ্যে আছে কাপ, প্লেট, ঢাকনা, বাটি, বাক্স, ট্রে থেকে শুরু করে ফোস্কা প্যাকেজিং এবং ফেস মাস্ক। কোম্পানিটি দেশের বিস্কুট ট্রে সেগমেন্টে সবচেয়ে বেশি বাজার দখলে রয়েছে।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান 

৯ মাসে (২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের মার্চ) কোম্পানিটির আয় দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এসময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

এদিকে, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৯ টাকা। ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.০৩ টাকা।

এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের সবচেয়ে বড় গ্রাহক হলো অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানির অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রাহকরা হলো—রিডিশা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, ডেকো ফুডস, নিউজিল্যান্ড ডেইরি প্রোডাক্টস বাংলাদেশ, ওরিয়ন ফার্মা, ইউনাইটেড হাসপাতাল, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এসিআই লজিস্টিকস এবং ম্যারিকো বাংলাদেশ।

এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

মূল মার্কেটে আসতে চায় এফএম প্লাস্টিক

আপডেট: ০৬:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পুঁজিবাজারের মূল মার্কেটে আসতে চায় এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। এর আগে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য এসএমই প্লাটফর্ম তালিকাভুক্তির জন্য এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি যে আবেদন করেছিল, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

কিন্তু পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাদের কিউআইও বাতিল করেনি বলে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, কোম্পানিটি গত মাসের শেষের দিকে বিএসইসিকে কিউআইও থেকে প্রত্যাহার চেয়ে চিঠি দিয়েছে। তবে কমিশন কোম্পানিটির কিউআইও বাতিল করেনি।

এফএম প্লাস্টিক তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য অন্য উৎস থেকে অর্থ উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য এসএমই প্লাটফর্ম থেকে তাদের আবেদন প্রত্যাহারে কমিশনে চিঠি দিয়েছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটি পুঁজিবাজারের এসএমই প্লাটফর্মে কিউআইও’র মাধ্যমে ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। তবে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষে বিদেশি তহবিল অর্থায়ন করতে চায়। তাই কোম্পানিটি এসএমই প্লাটফর্মের পরিবর্তে মূল মার্কেটে প্রবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জানা গেছে, এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের পণ্যের মধ্যে আছে কাপ, প্লেট, ঢাকনা, বাটি, বাক্স, ট্রে থেকে শুরু করে ফোস্কা প্যাকেজিং এবং ফেস মাস্ক। কোম্পানিটি দেশের বিস্কুট ট্রে সেগমেন্টে সবচেয়ে বেশি বাজার দখলে রয়েছে।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান 

৯ মাসে (২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের মার্চ) কোম্পানিটির আয় দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এসময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

এদিকে, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৯ টাকা। ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.০৩ টাকা।

এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের সবচেয়ে বড় গ্রাহক হলো অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানির অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রাহকরা হলো—রিডিশা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, ডেকো ফুডস, নিউজিল্যান্ড ডেইরি প্রোডাক্টস বাংলাদেশ, ওরিয়ন ফার্মা, ইউনাইটেড হাসপাতাল, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এসিআই লজিস্টিকস এবং ম্যারিকো বাংলাদেশ।

এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ঢাকা/এসএম