০৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

মেসি-রোনালদো দ্বৈরথে জয়ী য়্যুভেন্তাস

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১০৩১৯ বার দেখা হয়েছে

আড়াই বছর পর মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ দেখল বিশ্ব। রোনালদোর জোড়া গোলে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৩-০ গোলে বড় জয় য়্যুভেন্তাসের। কাতালানদের বিপক্ষে  ম্যাচ জেতায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নক আউট পর্বের টিকিট কাটলো ইতালিয়ান জায়ান্টরা।

মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ আর কখনো দেখা হবে কিনা ভেবে যারা আক্ষেপে পুড়ছিলেন। তাদের আক্ষেপ থামে ন্যু ক্যাম্প মঞ্চে। আড়াই বছর পর মুখোমুখি দুই গ্রেটেস্ট অফ অলটাইম। প্রথম লেগের দেখায় রোনালদো বিহীন য়্যুভেন্তাসের হার। জয় পেলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউট পর্বে বার্সেলোনা। 

আগের ম্যাচে কাদিজের কাছে হারা বার্সা ঘরের মাঠে চার পরিবর্তন নিয়ে দল সাজায়। তবে ১২ মিনিটেই মস্ত বড় ভুল করে তারা। ডি বক্সে রোনালদোকে ফাউল করে বসে বার্সার আরাউজো। স্পট কিক থেকে বার্সার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম গোল করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছোঁন ক্লাব ও দেশের হয়ে সর্বমোট ৭৫১ তম গোলের মাইলফলক।  

২০ মিনিটে ম্যাককেনির চোখ ধাঁধানো গোল বার্সার জন্য অশনি সংকেতের আভাস দিয়ে রেখেছিল। ইউসিএলের আগের দুই ম্যাচে না খেলা মেসি ২২ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবারের মত লাইমলাইটে মেসি। ৩৬ মিনিটেও আঘাত হানে। তবে দুইবারই দুর্বল শট বুফন সহজে লুফে নেয়।

প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে বার্সা স্বরুপে। ৪২ মিনিটে ট্রিনকাও-মেসি-গ্রিজম্যানদের দলীয় প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। ২ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইতালিয়ান জায়ান্টরা।

বিরতির পরো দুই গোলে এগিয়ে থাকা য়্যুভেন্তাস আক্রমণের ধার বাড়ায়। ৪৮ মিনিটে অ্যারন রামসির এমন শট বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেনে প্রতিহত হয়।

৫১ মিনিটে আবারো বার্সা সমর্থকদের মাথায় হাত। আবারো পেনাল্টি পায় য়্যুভেন্তাস। আগে কখনো ইউসিলে বার্সার বিপক্ষে গোল না পাওয়া রোনালদো এক ম্যাচেই করেন দুই গোল।
 
৫৪ মিনিটে একটা গোলের আকাঙ্ক্ষায় দলে দুই পরিবর্তন আনেন রোনাল্ড ক্যোম্যান।  সাড়ে ৬ মাস পর বার্সার জার্সিতে সামিউল উমতিতি। কিন্তু কাজের কাজ কিচ্ছু হয়নি। 

শেষ ম্যাচে ২৯ বার বল মিস করা মেসি দ্বিতিয়ার্ধেও দেখাতে পারেনি ঝলক। উলটো ৭৩ মিনিটে আরো এক গোল হজম করতো। যদি ভিএআরের অফসাইড ধরা না পরতো। 

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় উঠতে য়্যূভেন্তাসের দরকার ছিল ৩ গোল। য়্যুভেন্তাস করেছে ওই ৩ গোলই। আগেই দুই দলের নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় হয়তো ফল খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। তৃষ্ণা মিটেছে মেসি-রোনালদো ধ্রুপদী লড়াই দেখার।

শেয়ার করুন

x

মেসি-রোনালদো দ্বৈরথে জয়ী য়্যুভেন্তাস

আপডেট: ১১:৫২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২০

আড়াই বছর পর মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ দেখল বিশ্ব। রোনালদোর জোড়া গোলে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৩-০ গোলে বড় জয় য়্যুভেন্তাসের। কাতালানদের বিপক্ষে  ম্যাচ জেতায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নক আউট পর্বের টিকিট কাটলো ইতালিয়ান জায়ান্টরা।

মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ আর কখনো দেখা হবে কিনা ভেবে যারা আক্ষেপে পুড়ছিলেন। তাদের আক্ষেপ থামে ন্যু ক্যাম্প মঞ্চে। আড়াই বছর পর মুখোমুখি দুই গ্রেটেস্ট অফ অলটাইম। প্রথম লেগের দেখায় রোনালদো বিহীন য়্যুভেন্তাসের হার। জয় পেলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউট পর্বে বার্সেলোনা। 

আগের ম্যাচে কাদিজের কাছে হারা বার্সা ঘরের মাঠে চার পরিবর্তন নিয়ে দল সাজায়। তবে ১২ মিনিটেই মস্ত বড় ভুল করে তারা। ডি বক্সে রোনালদোকে ফাউল করে বসে বার্সার আরাউজো। স্পট কিক থেকে বার্সার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম গোল করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছোঁন ক্লাব ও দেশের হয়ে সর্বমোট ৭৫১ তম গোলের মাইলফলক।  

২০ মিনিটে ম্যাককেনির চোখ ধাঁধানো গোল বার্সার জন্য অশনি সংকেতের আভাস দিয়ে রেখেছিল। ইউসিএলের আগের দুই ম্যাচে না খেলা মেসি ২২ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবারের মত লাইমলাইটে মেসি। ৩৬ মিনিটেও আঘাত হানে। তবে দুইবারই দুর্বল শট বুফন সহজে লুফে নেয়।

প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে বার্সা স্বরুপে। ৪২ মিনিটে ট্রিনকাও-মেসি-গ্রিজম্যানদের দলীয় প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। ২ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইতালিয়ান জায়ান্টরা।

বিরতির পরো দুই গোলে এগিয়ে থাকা য়্যুভেন্তাস আক্রমণের ধার বাড়ায়। ৪৮ মিনিটে অ্যারন রামসির এমন শট বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেনে প্রতিহত হয়।

৫১ মিনিটে আবারো বার্সা সমর্থকদের মাথায় হাত। আবারো পেনাল্টি পায় য়্যুভেন্তাস। আগে কখনো ইউসিলে বার্সার বিপক্ষে গোল না পাওয়া রোনালদো এক ম্যাচেই করেন দুই গোল।
 
৫৪ মিনিটে একটা গোলের আকাঙ্ক্ষায় দলে দুই পরিবর্তন আনেন রোনাল্ড ক্যোম্যান।  সাড়ে ৬ মাস পর বার্সার জার্সিতে সামিউল উমতিতি। কিন্তু কাজের কাজ কিচ্ছু হয়নি। 

শেষ ম্যাচে ২৯ বার বল মিস করা মেসি দ্বিতিয়ার্ধেও দেখাতে পারেনি ঝলক। উলটো ৭৩ মিনিটে আরো এক গোল হজম করতো। যদি ভিএআরের অফসাইড ধরা না পরতো। 

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় উঠতে য়্যূভেন্তাসের দরকার ছিল ৩ গোল। য়্যুভেন্তাস করেছে ওই ৩ গোলই। আগেই দুই দলের নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় হয়তো ফল খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। তৃষ্ণা মিটেছে মেসি-রোনালদো ধ্রুপদী লড়াই দেখার।