যারা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙে তারা দেশটাই ভেঙে দেবে: তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট: ০১:২৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
- / ৪১৮২ বার দেখা হয়েছে
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের ছবি ভাঙে, আমাদের মুক্তি আন্দোলনের পুরোধাদের অবমাননা করে, সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করে, তার ছবি ও ম্যুরাল ভাঙে, তারা তো দেশটাই ভেঙে দেবে। তাদের হাতে কখনও দেশ নিরাপদ হতে পারে না। তারাই আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখে।’
রবিবার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান মোড়ে ছবি ও ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বিএনপির প্রতি অভিযোগ করে বলেন, ‘চট্টগ্রামের জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিদের ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে যারা তাদের নেতা, যারা তরুণদের এ ধরনের নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে এবং এগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা দায় এড়াতে পারে না। তাদেরও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
‘বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে এদিক দিয়ে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধুর সব ছবি এবং বঙ্গবন্ধুর ম্য্রুালসহ মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিদের ছবিও ভাঙচুর করেছে। এই দায় দলটির নেতারা কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।’
এ ঘটনায় বিএনপির সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জামাত তো তাদের সহোদর ভাই, তারাই তো বলে, “একই বৃন্তে দুটি ফুল, বিএনপি আর জামাত”। এটি তাদের বক্তব্য। এই তারুণ্যের সমাবেশেও ছদ্মাবরণে জামাত-শিবিরও ছিল। তবে মূল দায়টা বিএনপি নেতাদের।’
আরও পড়ুন: অক্টোবরে মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ম্যুরালসহ ইতিহাস-ঐতিহ্য সংবলিত ছবিগুলো আবার তৈরি করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন আমাকে জানিয়েছেন, তারা এগুলো আবার নতুনভাবে আগের মতো দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি করবেন। প্রয়োজনে আরও সুন্দর করে এগুলো পুনরায় স্থাপন করা হবে। বাংলাদেশের কোথাও রাস্তার পাশে দেয়ালে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং মুক্তি আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের এভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।’
এ সময় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এসএ