০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

যেসব কারণে সন্তানের বন্ধুদের চেনা জরুরি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪২৯১ বার দেখা হয়েছে

সন্তানের বেড়ে ওঠার পথে বন্ধুত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। ভাল বন্ধুত্বের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আবেগ, বিশ্বাস এবং ভালবাসা। পরিচিত গণ্ডি এবং পরিবারের বাইরে পরম নির্ভরতার জায়গা হচ্ছে বন্ধু। তবে ভাল বন্ধুত্ব যেমন সন্তানের বড় হয়ে ওঠার পথে সাহায্য করে তেমনই খারাপ সঙ্গ তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সন্তান কার বা কাদের সঙ্গে মিশছে সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। সন্তান ছোট থাকতেই তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। এতে বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সন্তানকে বুঝতেও সুবিধা হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তানের বন্ধুদের চেনা যেমন জরুরি তেমনি তাদের বন্ধুদের ব্যাপারে আপনি কতটা হস্তক্ষেপ করবেন বা কীভাবে সন্তানকে বন্ধুদের থেকে সাবধান রাখবেন সেই কৌশল জানাও জরুরি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

একটু বড় হয়ে গেলে বন্ধুদের মধ্যে ছোটখাটো মনমালিণ্য বা ওই ধরনের ঘটনায় সন্তানের বন্ধুদের মধ্যে ঢুকে সমাধানের চেষ্টা করবেন না। মা বাবা হিসেবে সন্তানের পাশে থাকুন। তাকে গাইড করুন। সন্তানকেই সমাধানের রাস্তাটা বেছে নিতে দিন।

সন্তানের কোনও বন্ধুকে বা বন্ধুর গ্রুপকে আপনার পছন্দ না হতেই পারে। তাই বলে সন্তানকে সরাসরি তাদের সঙ্গে মিশতে বারণ করবেন না। আগে নিজে ভেবে দেখুন কেন সন্তানের বন্ধুদের আপনার পছন্দ নয়। যদি মনে করেন, তাদের সঙ্গ আপনার সন্তানের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে তাহলে সন্তানের সঙ্গে সেই বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। সন্তানকে খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে সতর্ক করে দিন। দেখবেন এতে হয়তো সে নিজেই সেই দল থেকে সরে আসবে।

আজকাল মা -বাবা দু’জনই অফিসের কাজে বেরিয়ে যান বলে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ অনেকটা কম। তাই বলে মানসিক দূরত্ব আসতে দেবেন না। সন্তানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখুন। দিনের কোনও একটা সময় সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন। গল্প করার মাঝে নিয়মিত বন্ধুদের কথা জিজ্ঞাসা করুন। এতে তার দিনলিপি সম্পর্কে আপনার জানা থাকবে।

সন্তানের জন্মদিন বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে তার বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করুন। ওদেরকে আলাদা খেলতে দিন। ওরা কীভাবে মেলামেশা করছে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে সন্তানের আচরণ বদলে যায় কি না দেখুন।

মাঝেমধ্যে সন্তানের বন্ধুদের বাড়িতে আসতে বলুন। আপনি নিজেও ওদের সঙ্গে গল্প করুন।মাঝেমধ্যে ফোনেও যোগাযোগ রাখতে পারেন। আপনার সন্তান এবং বন্ধুরা একসঙ্গে কী খেলছে, টিভি বা কম্পিউটারে কী দেখছে, কী বিষয়ে গল্প করছে তা খেয়াল রাখুন। তবে আপনার আচরণ স্বাভাবিক রাখুন। খবরদারি করবেন না।

আরও পড়ুন: চা ও কফির মধ্যে পার্থক্য কী,জেনে নিন

বয়ঃসন্ধিতে সন্তানকে কিছুটা স্বাধীনতা দিন। অকারণে সন্দেহ করবেন না। তা না হলে সন্তানের মনে হবে আপনি তাকে বিশ্বাস করেন না। এতে আপনার উপর সন্তানের অকারণ ক্ষোভ তৈরি হবে।

সন্তানকে যদি তার কোনও বন্ধু বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায় সেই বন্ধুর ব্যাপারে আগে থেকে ভাল করে খোঁজখবর নিন। জেনে নিন ওই সময়ে বাড়িতে বড়রা কেউ থাকবেন কি না। আর কে কে বাড়িতে থাকবে। সন্তানের নিজস্ব ফোন থাকলেও বন্ধু এবং তার বাড়ির ফোন নাম্বার নিয়ে রাখুন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

যেসব কারণে সন্তানের বন্ধুদের চেনা জরুরি

আপডেট: ০১:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

সন্তানের বেড়ে ওঠার পথে বন্ধুত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। ভাল বন্ধুত্বের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আবেগ, বিশ্বাস এবং ভালবাসা। পরিচিত গণ্ডি এবং পরিবারের বাইরে পরম নির্ভরতার জায়গা হচ্ছে বন্ধু। তবে ভাল বন্ধুত্ব যেমন সন্তানের বড় হয়ে ওঠার পথে সাহায্য করে তেমনই খারাপ সঙ্গ তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সন্তান কার বা কাদের সঙ্গে মিশছে সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। সন্তান ছোট থাকতেই তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। এতে বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সন্তানকে বুঝতেও সুবিধা হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তানের বন্ধুদের চেনা যেমন জরুরি তেমনি তাদের বন্ধুদের ব্যাপারে আপনি কতটা হস্তক্ষেপ করবেন বা কীভাবে সন্তানকে বন্ধুদের থেকে সাবধান রাখবেন সেই কৌশল জানাও জরুরি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

একটু বড় হয়ে গেলে বন্ধুদের মধ্যে ছোটখাটো মনমালিণ্য বা ওই ধরনের ঘটনায় সন্তানের বন্ধুদের মধ্যে ঢুকে সমাধানের চেষ্টা করবেন না। মা বাবা হিসেবে সন্তানের পাশে থাকুন। তাকে গাইড করুন। সন্তানকেই সমাধানের রাস্তাটা বেছে নিতে দিন।

সন্তানের কোনও বন্ধুকে বা বন্ধুর গ্রুপকে আপনার পছন্দ না হতেই পারে। তাই বলে সন্তানকে সরাসরি তাদের সঙ্গে মিশতে বারণ করবেন না। আগে নিজে ভেবে দেখুন কেন সন্তানের বন্ধুদের আপনার পছন্দ নয়। যদি মনে করেন, তাদের সঙ্গ আপনার সন্তানের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে তাহলে সন্তানের সঙ্গে সেই বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। সন্তানকে খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে সতর্ক করে দিন। দেখবেন এতে হয়তো সে নিজেই সেই দল থেকে সরে আসবে।

আজকাল মা -বাবা দু’জনই অফিসের কাজে বেরিয়ে যান বলে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ অনেকটা কম। তাই বলে মানসিক দূরত্ব আসতে দেবেন না। সন্তানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখুন। দিনের কোনও একটা সময় সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন। গল্প করার মাঝে নিয়মিত বন্ধুদের কথা জিজ্ঞাসা করুন। এতে তার দিনলিপি সম্পর্কে আপনার জানা থাকবে।

সন্তানের জন্মদিন বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে তার বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করুন। ওদেরকে আলাদা খেলতে দিন। ওরা কীভাবে মেলামেশা করছে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে সন্তানের আচরণ বদলে যায় কি না দেখুন।

মাঝেমধ্যে সন্তানের বন্ধুদের বাড়িতে আসতে বলুন। আপনি নিজেও ওদের সঙ্গে গল্প করুন।মাঝেমধ্যে ফোনেও যোগাযোগ রাখতে পারেন। আপনার সন্তান এবং বন্ধুরা একসঙ্গে কী খেলছে, টিভি বা কম্পিউটারে কী দেখছে, কী বিষয়ে গল্প করছে তা খেয়াল রাখুন। তবে আপনার আচরণ স্বাভাবিক রাখুন। খবরদারি করবেন না।

আরও পড়ুন: চা ও কফির মধ্যে পার্থক্য কী,জেনে নিন

বয়ঃসন্ধিতে সন্তানকে কিছুটা স্বাধীনতা দিন। অকারণে সন্দেহ করবেন না। তা না হলে সন্তানের মনে হবে আপনি তাকে বিশ্বাস করেন না। এতে আপনার উপর সন্তানের অকারণ ক্ষোভ তৈরি হবে।

সন্তানকে যদি তার কোনও বন্ধু বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায় সেই বন্ধুর ব্যাপারে আগে থেকে ভাল করে খোঁজখবর নিন। জেনে নিন ওই সময়ে বাড়িতে বড়রা কেউ থাকবেন কি না। আর কে কে বাড়িতে থাকবে। সন্তানের নিজস্ব ফোন থাকলেও বন্ধু এবং তার বাড়ির ফোন নাম্বার নিয়ে রাখুন।

ঢাকা/এসএ