০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

যেসব শেয়ারে নড়েচড়ে বসেছে ডিএসই!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মে ২০২১
  • / ৪৬৫৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির শেয়ারদর এক মাসের ব্যবধানে ৫১ শতাংশ থেকে ১৪৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চায় প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। জবাবে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ জানায়, দর বৃ্দ্ধির কোন কারণ তাদের জানা নেই। এর প্রেক্ষিতে কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিনিয়োগের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে ডিএসই।

ডিএসই সূত্র জানায়, ডিএসই কর্তৃপক্ষের কাছে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বলে মনে হয়েছে। এ কারণে ডিএসই কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায়। প্রতিউত্তরে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোম্পানিগুলোর দর এভাবে অস্বাভাবিক বাড়ার কোন কারণ তাদের জানা নেই। অর্থাৎ কোন কারণ ছাড়াই কোম্পানিগুলোর দর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এর প্রেক্ষিতে কোম্পানিগুরোর শেয়ারে বিনিয়োগের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে ডিএসই।

অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কোম্পানি ১০টি হলো-ন্যাশনাল ফিড, ম্যাকসন্স স্পিনিং, এমারন্ড ওয়েল, ই-জেনারেশন, মেট্রো স্পিনিং, ঢাকা ডাইং, ডেল্টা স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, কাট্টলী টেক্সটাইল ও মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।

ন্যাশনাল ফিড মিল: গত ১১ এপ্রিল ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ারদর ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ৩৬ টাকা ১০ পয়সায়। ২০ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৪৭.২৬ শতাংশ।

ম্যাকসন্স স্পিনিং: গত ৪ এপ্রিল ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের দর ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সায়। ২৩ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১০৮.৯৭ শতাংশ।

এমারেন্ড ওয়েল: গত ২১ মার্চ এমারেন্ড ওয়েলের দর ছিল ১০ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ দর উঠেছে ২২ টাকায়। ৩৫ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ১০৩.৭০ শতাংশ।

ই-জেনারেশন: গত ৪ এপ্রিল ই-জেনারেশনের দর ছিল ২৬ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ৫৩ টাকা ৩০ পয়সায়। ২৩ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৯৯.৬২ শতাংশ।

মেট্রো স্পিনিং: গত ১২ এপ্রিল মেট্রো স্পিনিংয়ের দর ছিল ৭ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সায়। ১৯ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭৮.৬৬ শতাংশ।

ডেল্টা স্পিনিং: গত ৪ এপ্রিল ঢাকা ডাইংয়ের দর ছিল ৫ টাকা ৩০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ৯ টাকা ৪০ পয়সায়। ২৩ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭৭.৩৫ শতাংশ।

ঢাকা ডাইং: গত ৪ এপ্রিল ঢাকা ডাইংয়ের দর ছিল৭ টাকা ৩০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে১২ টাকা ৩০ পয়সায়। ২৩কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭১.২৩ শতাংশ।

মালেক স্পিনিং: গত ১১ এপ্রিল মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ারদর ছিল ১২ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ২০ টাকা ৮০ পয়সায়। ২০ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬২.৫০ শতাংশ।

কাট্টলী টেক্সটাইল: গত ১২ এপ্রিল কাট্টলী টেক্সটাইলের দর ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ১৩ টাকা ২০ পয়সায়। ১৯ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫৫.২৯ শতাংশ।

মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং: লোকসানি কোম্পানি মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিংয়ের দর ছিল গত ৪ এপ্রিল ১১ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সায়। ২৩ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৫১.২৮ শতাংশ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষের মতে দর বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। অথচ খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলোর দর তুঙ্গে তুলেছে। এভাবে দর বৃদ্ধি মোটেও স্বাভাবিক নয়। এর পেছনে স্পষ্ঠত: কারসাজিকারীদের হাত রয়েছে। এ পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের ভেবে-চিন্তে বিনিয়োগ করা উচিত। অন্যথায় লাভের চেয়ে লোকসানের পাল্লাই ভারি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি হবে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

যেসব শেয়ারে নড়েচড়ে বসেছে ডিএসই!

আপডেট: ০৬:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির শেয়ারদর এক মাসের ব্যবধানে ৫১ শতাংশ থেকে ১৪৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চায় প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। জবাবে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ জানায়, দর বৃ্দ্ধির কোন কারণ তাদের জানা নেই। এর প্রেক্ষিতে কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিনিয়োগের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে ডিএসই।

ডিএসই সূত্র জানায়, ডিএসই কর্তৃপক্ষের কাছে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বলে মনে হয়েছে। এ কারণে ডিএসই কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায়। প্রতিউত্তরে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোম্পানিগুলোর দর এভাবে অস্বাভাবিক বাড়ার কোন কারণ তাদের জানা নেই। অর্থাৎ কোন কারণ ছাড়াই কোম্পানিগুলোর দর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এর প্রেক্ষিতে কোম্পানিগুরোর শেয়ারে বিনিয়োগের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে ডিএসই।

অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কোম্পানি ১০টি হলো-ন্যাশনাল ফিড, ম্যাকসন্স স্পিনিং, এমারন্ড ওয়েল, ই-জেনারেশন, মেট্রো স্পিনিং, ঢাকা ডাইং, ডেল্টা স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, কাট্টলী টেক্সটাইল ও মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।

ন্যাশনাল ফিড মিল: গত ১১ এপ্রিল ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ারদর ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ৩৬ টাকা ১০ পয়সায়। ২০ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৪৭.২৬ শতাংশ।

ম্যাকসন্স স্পিনিং: গত ৪ এপ্রিল ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের দর ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সায়। ২৩ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১০৮.৯৭ শতাংশ।

এমারেন্ড ওয়েল: গত ২১ মার্চ এমারেন্ড ওয়েলের দর ছিল ১০ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ দর উঠেছে ২২ টাকায়। ৩৫ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ১০৩.৭০ শতাংশ।

ই-জেনারেশন: গত ৪ এপ্রিল ই-জেনারেশনের দর ছিল ২৬ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ৫৩ টাকা ৩০ পয়সায়। ২৩ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৯৯.৬২ শতাংশ।

মেট্রো স্পিনিং: গত ১২ এপ্রিল মেট্রো স্পিনিংয়ের দর ছিল ৭ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সায়। ১৯ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭৮.৬৬ শতাংশ।

ডেল্টা স্পিনিং: গত ৪ এপ্রিল ঢাকা ডাইংয়ের দর ছিল ৫ টাকা ৩০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ৯ টাকা ৪০ পয়সায়। ২৩ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭৭.৩৫ শতাংশ।

ঢাকা ডাইং: গত ৪ এপ্রিল ঢাকা ডাইংয়ের দর ছিল৭ টাকা ৩০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে১২ টাকা ৩০ পয়সায়। ২৩কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭১.২৩ শতাংশ।

মালেক স্পিনিং: গত ১১ এপ্রিল মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ারদর ছিল ১২ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ২০ টাকা ৮০ পয়সায়। ২০ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬২.৫০ শতাংশ।

কাট্টলী টেক্সটাইল: গত ১২ এপ্রিল কাট্টলী টেক্সটাইলের দর ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ১৩ টাকা ২০ পয়সায়। ১৯ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫৫.২৯ শতাংশ।

মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং: লোকসানি কোম্পানি মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিংয়ের দর ছিল গত ৪ এপ্রিল ১১ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটির দর উঠেছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সায়। ২৩ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৫১.২৮ শতাংশ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষের মতে দর বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। অথচ খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলোর দর তুঙ্গে তুলেছে। এভাবে দর বৃদ্ধি মোটেও স্বাভাবিক নয়। এর পেছনে স্পষ্ঠত: কারসাজিকারীদের হাত রয়েছে। এ পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের ভেবে-চিন্তে বিনিয়োগ করা উচিত। অন্যথায় লাভের চেয়ে লোকসানের পাল্লাই ভারি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি হবে।

ঢাকা/এসএ