০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

যে কারণে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন মেয়র জাহাঙ্গীর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪১৩১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তার প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউট

যে কারণে বহিষ্কার

মেয়র জাহাঙ্গীর ঘরোয়া আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি বক্তব্য দিলে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া চার মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, হেফাজতের প্রয়াত নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীর সঙ্গে তার সখ্য ও রাষ্ট্রীয় দুটি সংস্থা নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করছেন মেয়র জাহাঙ্গীর।

এই ভিডিওর ব্যপারে তখন জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, ‘আমি জাতির পিতার নামে অসম্মানজনক কোনো মন্তব্য করিনি। একটি মহল আমার জনপ্রিয়তায়, এলাকার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতি পাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি দেশের বাইরে থাকায় একটি মহল আমার বিভিন্ন সময়ের আলাদা আলাদা বক্তব্য বা কথাকে একসঙ্গে যুক্ত করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে, আমি তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এ ঘটনার পর ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। সেখানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়। জাহাঙ্গীর নোটিশের জবাবও দিয়েছেন। নোটিশের জবাব নিয়ে ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তাঁর শোকজের জবাব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছিলাম। তাঁর জবাব আমাদের কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। অনেকটা দায়সারা মনে হয়েছে। সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। একই সঙ্গে মেয়র পদটি নিয়েও ভাবা হচ্ছে।’

ঢাকা/এমটি 

শেয়ার করুন

x

যে কারণে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন মেয়র জাহাঙ্গীর

আপডেট: ১১:২৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তার প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউট

যে কারণে বহিষ্কার

মেয়র জাহাঙ্গীর ঘরোয়া আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি বক্তব্য দিলে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া চার মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, হেফাজতের প্রয়াত নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীর সঙ্গে তার সখ্য ও রাষ্ট্রীয় দুটি সংস্থা নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করছেন মেয়র জাহাঙ্গীর।

এই ভিডিওর ব্যপারে তখন জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, ‘আমি জাতির পিতার নামে অসম্মানজনক কোনো মন্তব্য করিনি। একটি মহল আমার জনপ্রিয়তায়, এলাকার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতি পাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি দেশের বাইরে থাকায় একটি মহল আমার বিভিন্ন সময়ের আলাদা আলাদা বক্তব্য বা কথাকে একসঙ্গে যুক্ত করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে, আমি তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এ ঘটনার পর ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। সেখানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়। জাহাঙ্গীর নোটিশের জবাবও দিয়েছেন। নোটিশের জবাব নিয়ে ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তাঁর শোকজের জবাব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছিলাম। তাঁর জবাব আমাদের কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। অনেকটা দায়সারা মনে হয়েছে। সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। একই সঙ্গে মেয়র পদটি নিয়েও ভাবা হচ্ছে।’

ঢাকা/এমটি