১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

যে যোগাসনে মিলবে কোমর মুক্তি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৫৫ বার দেখা হয়েছে

কোমরে তো বটেই, অফিসে বেশিক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকলেও ইদানীং পায়ে ব্যথা হয়। বুঝতে পারেন, সবই বয়সের দোষ। কিন্তু সময়ের অভাবে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেন না। কারও কারও আবার মাঝে মধ্যেই কোমর-পায়ের এই ব্যথা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। তাই নিয়মিত এক যোগাসনে এ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, নিয়মিত বিপরীত করণী বা লেগ আপ দ্য ওয়াল পোজ অভ্যাস করতে পারলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এমনটিই জানিয়েছে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম।

কীভাবে অভ্যাস করবেন এই যোগাসন?

১. প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন।

২. এ বার দুই পা একত্রে সোজা করে মাটি থেকে ওপরে তুলতে চেষ্টা করুন।

৩. হাতে ভর দিয়ে কোমর ধীরে ধীরে উপর দিকে তুলতে চেষ্টা করুন।

৪. শরীরের অবস্থান অনেকটা সর্বাঙ্গাসনের মতো। কিন্তু বিপরীত করণীতে পায়ের অবস্থান ৯০ ডিগ্রিতে থাকে না। বরং মাথার দিকে সামান্য হেলিয়ে রাখাই দস্তুর।

৫. খেয়াল রাখতে হবে এই আসন অভ্যাস করার সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস যেন স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। চোখের সঙ্গে পায়ের বু়ড়ো আঙুলের যেন কোণাকুণি সংযোগ তৈরি হয়।

৬. একেবারে অভ্যাস না থাকলে দেওয়ালের সাহায্যেও এই আসন করা যায়। সে ক্ষেত্রে কোমর থেকে পা উপর দিকে তুলে দেওয়ালে রাখতে হবে।

৭. এই আসন ১ মিনিট থেকে শুরু করে ৫ মিনিট পর্যন্ত অভ্যাস করা যেতে পারে। তবে প্রথমে খুব বেশিক্ষণ করার প্রয়োজন নেই।

৮. দেহের ভার বেশি হলে হাতের উপর বেশি ক্ষণ কোমর ধরে রাখতে সমস্যা হতে পারে। তাই প্রথমে কোমরের তলায় উঁচু বালিশ বা ব্লক দিয়ে এই আসন অভ্যাস করা যেতে পারে।

৯. দেওয়ালের সাহায্যে বিপরীত করণী অভ্যাস করার সময়ে খেয়াল রাখতে হবে পা, কোমর এবং দেহের অবস্থান যেন ইংরেজি ‘এল’ অক্ষরের মতো হয়।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ১৫ মৃত্যু

এই মুদ্রা অভ্যাস করলে কী উপকার হয়?

স্নায়ু শক্তিশালী করে তুলতে এই আসনের জুড়ি মেলা ভার। গোটা দেহে রক্ত চলাচল করতেও বিশেষ সহায়তা করে এই আসন। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, ঘাড়-গলার পেশি মজবুত করতে, হজমে সহায়তা করে এই বিপরীত করণী মুদ্রা।

এই যোগাসন অভ্যাস করার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন?

বিপরীত করণী আসন করার অন্তত ঘণ্টা ছয়েক আগে খাবার খাওয়া প্রয়োজন। পেটভর্তি থাকলে কোনো ভাবে এই আসন করা যাবে না। ঘাড়ে, পিঠে যদি পুরনো কোনো চোট-আঘাত থেকে থাকে সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষকের পরামর্শ না নিয়ে একা একা এই আসন করা উচিত হবে না।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

যে যোগাসনে মিলবে কোমর মুক্তি

আপডেট: ০৭:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কোমরে তো বটেই, অফিসে বেশিক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকলেও ইদানীং পায়ে ব্যথা হয়। বুঝতে পারেন, সবই বয়সের দোষ। কিন্তু সময়ের অভাবে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেন না। কারও কারও আবার মাঝে মধ্যেই কোমর-পায়ের এই ব্যথা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। তাই নিয়মিত এক যোগাসনে এ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, নিয়মিত বিপরীত করণী বা লেগ আপ দ্য ওয়াল পোজ অভ্যাস করতে পারলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এমনটিই জানিয়েছে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম।

কীভাবে অভ্যাস করবেন এই যোগাসন?

১. প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন।

২. এ বার দুই পা একত্রে সোজা করে মাটি থেকে ওপরে তুলতে চেষ্টা করুন।

৩. হাতে ভর দিয়ে কোমর ধীরে ধীরে উপর দিকে তুলতে চেষ্টা করুন।

৪. শরীরের অবস্থান অনেকটা সর্বাঙ্গাসনের মতো। কিন্তু বিপরীত করণীতে পায়ের অবস্থান ৯০ ডিগ্রিতে থাকে না। বরং মাথার দিকে সামান্য হেলিয়ে রাখাই দস্তুর।

৫. খেয়াল রাখতে হবে এই আসন অভ্যাস করার সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস যেন স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। চোখের সঙ্গে পায়ের বু়ড়ো আঙুলের যেন কোণাকুণি সংযোগ তৈরি হয়।

৬. একেবারে অভ্যাস না থাকলে দেওয়ালের সাহায্যেও এই আসন করা যায়। সে ক্ষেত্রে কোমর থেকে পা উপর দিকে তুলে দেওয়ালে রাখতে হবে।

৭. এই আসন ১ মিনিট থেকে শুরু করে ৫ মিনিট পর্যন্ত অভ্যাস করা যেতে পারে। তবে প্রথমে খুব বেশিক্ষণ করার প্রয়োজন নেই।

৮. দেহের ভার বেশি হলে হাতের উপর বেশি ক্ষণ কোমর ধরে রাখতে সমস্যা হতে পারে। তাই প্রথমে কোমরের তলায় উঁচু বালিশ বা ব্লক দিয়ে এই আসন অভ্যাস করা যেতে পারে।

৯. দেওয়ালের সাহায্যে বিপরীত করণী অভ্যাস করার সময়ে খেয়াল রাখতে হবে পা, কোমর এবং দেহের অবস্থান যেন ইংরেজি ‘এল’ অক্ষরের মতো হয়।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ১৫ মৃত্যু

এই মুদ্রা অভ্যাস করলে কী উপকার হয়?

স্নায়ু শক্তিশালী করে তুলতে এই আসনের জুড়ি মেলা ভার। গোটা দেহে রক্ত চলাচল করতেও বিশেষ সহায়তা করে এই আসন। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, ঘাড়-গলার পেশি মজবুত করতে, হজমে সহায়তা করে এই বিপরীত করণী মুদ্রা।

এই যোগাসন অভ্যাস করার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন?

বিপরীত করণী আসন করার অন্তত ঘণ্টা ছয়েক আগে খাবার খাওয়া প্রয়োজন। পেটভর্তি থাকলে কোনো ভাবে এই আসন করা যাবে না। ঘাড়ে, পিঠে যদি পুরনো কোনো চোট-আঘাত থেকে থাকে সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষকের পরামর্শ না নিয়ে একা একা এই আসন করা উচিত হবে না।

ঢাকা/এসএম