০৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

রংপুর সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪১৬৭ বার দেখা হয়েছে

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ঘন কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে কেন্দ্রে আসছেন ভোটাররা।

এই নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ বাকি দুই লাখ ১৪ হাজার ৪৬৯ জন নারী। মোট ওয়ার্ড ৩৩টি। বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

এর আগে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রংপুর পুলিশ লাইন্স মাঠ থেকে সব কেন্দ্রে ইভিএমসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা কড়া পুলিশি পাহারায় নির্বাচনি সামগ্রী কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। রংপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মীনা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ২২৯টি ভোট কেন্দ্রের সবকটিতেই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভোট গ্রহণসহ সার্বিক কার্যক্রম ঢাকা থেকে সরাসরি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনাররা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করবেন।’

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মীনা বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ছয় স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি স্পেশাল রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে। সেগুলো রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। এর পাশাপাশি ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ফোর্স নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। এর বাইরে ১১টি বিজিবির টিম কাজ করবে। ১৬-১৭টি র‌্যাবের টিম থাকবে। ব্যাটালিয়ন আনসার ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা টিম ও অন্যান্য গোয়েন্দারা কাজ করবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান দিতে পারেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সে ব্যবস্থা করবে।’

জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরসহ মোট প্রার্থী ২৫১ জন। এদের মধ্যে ৯ জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ১১টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ১৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুন: মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না: শেখ হাসিনা

মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন—আওয়ামী লীগ মনোনীত হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (বর্তমান মেয়র), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী লতিফুর রহমান মিলন (দল থেকে বহিষ্কৃত), ইসলামী আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়াল, জাসদের শফিউর রহমান, জাকের পার্টির আশরাফুল ইসলাম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান, খেলাফতে মজলিসের তৌহিদুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি।

রংপুর সিটি করপোরেশন গঠনের পর ২০১২ সালে প্রথম নির্বাচন হয়। এই সিটির প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় নির্বাচনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা দ্বিতীয় মেয়র নির্বাচিত হন। এবার এই সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন হবে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

রংপুর সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

আপডেট: ১০:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ঘন কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে কেন্দ্রে আসছেন ভোটাররা।

এই নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ বাকি দুই লাখ ১৪ হাজার ৪৬৯ জন নারী। মোট ওয়ার্ড ৩৩টি। বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

এর আগে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রংপুর পুলিশ লাইন্স মাঠ থেকে সব কেন্দ্রে ইভিএমসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা কড়া পুলিশি পাহারায় নির্বাচনি সামগ্রী কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। রংপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মীনা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ২২৯টি ভোট কেন্দ্রের সবকটিতেই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভোট গ্রহণসহ সার্বিক কার্যক্রম ঢাকা থেকে সরাসরি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনাররা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করবেন।’

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মীনা বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ছয় স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি স্পেশাল রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে। সেগুলো রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। এর পাশাপাশি ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ফোর্স নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। এর বাইরে ১১টি বিজিবির টিম কাজ করবে। ১৬-১৭টি র‌্যাবের টিম থাকবে। ব্যাটালিয়ন আনসার ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা টিম ও অন্যান্য গোয়েন্দারা কাজ করবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান দিতে পারেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সে ব্যবস্থা করবে।’

জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরসহ মোট প্রার্থী ২৫১ জন। এদের মধ্যে ৯ জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ১১টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ১৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুন: মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না: শেখ হাসিনা

মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন—আওয়ামী লীগ মনোনীত হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (বর্তমান মেয়র), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী লতিফুর রহমান মিলন (দল থেকে বহিষ্কৃত), ইসলামী আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়াল, জাসদের শফিউর রহমান, জাকের পার্টির আশরাফুল ইসলাম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান, খেলাফতে মজলিসের তৌহিদুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি।

রংপুর সিটি করপোরেশন গঠনের পর ২০১২ সালে প্রথম নির্বাচন হয়। এই সিটির প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় নির্বাচনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা দ্বিতীয় মেয়র নির্বাচিত হন। এবার এই সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন হবে।

ঢাকা/এসএ