০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

রপ্তানিমুখী শিল্পের বন্দর সেবায় ভ্যাট কাটা যাবে না

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৪৫ বার দেখা হয়েছে

শতভাগ রপ্তানিকারক এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের বন্দর সেবার বিপরীতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) কাটা যাবে না। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে বন্দর সেবায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ভ্যাট আদায় শুরু করলে জটিলতা তৈরি হয়। ওই জটিলতা নিরসনে গত ৩ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মূসক আইন ও বিধি বিভাগ থেকে ওই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে বন্দর সেবার বিপরীতে মূসক আদায় করছে। রপ্তানি বাণিজ্যের সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বন্দর সেবার বিপরীতে মূসক আদায় হতে বিরত থাকার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, এনবিআর থেকে ২০১৯ সালের ১৩ জুন তারিখে প্রকাশিত এস.আর.ও. ( নং-১৮৬-আইন/২০১৯/৪৩-মূসক) অনুযায়ী “বন্দর” অর্থ এমন কোনো উন্মুক্ত বা অন্যবিধ স্থান যেখানে আমদানিকৃত বা রপ্তানিযোগ্য যে কোনো পণ্যের বিনিময়ে বা অন্য কোনোভাবে মজুত বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। যে কোনো পণ্য মজুত বা সংরক্ষণের সহায়ক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সকল প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডসহ মজুদকৃত অথবা সংরক্ষিত কোনো পণ্যের নিরাপত্তা স্ক্যানিং সেবাসহ পণ্য চালানের নিষ্পত্তি বিষয়ক সকল কর্মকাণ্ড এবং এ সংক্রান্ত আইসিডি এবং সিএফএস সেবার অন্তর্ভুক্ত হবে।

অন্যদিকে ২০১৯ সালের ১৯ জুন প্রকাশিত এস.আর.ও (নং-১৮৮-আইন/২০১৯/৪৫-মূসক) অনুযায়ী— মূসক নিবন্ধিত শতভাগ রপ্তানিকারক, শতভাগ প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ আমদানি ও তৈরি পণ্য উৎপাদনপূর্বক রপ্তানি উভয় পর্যায়ে “বন্দর” সেবাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সিআইপি হওয়ার আবেদন শুরু ১৫ জানুয়ারি

এ কারণে সরকারি আদেশ অনুযায়ী— মূসক নিবন্ধিত শতভাগ রপ্তানিকারক, শতভাগ প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে- রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ আমদানি ও তৈরি পণ্য উৎপাদনপূর্বক রপ্তানি উভয় পর্যায়ে “বন্দর” সেবা অব্যাহতিপ্রাপ্ত। বিষয়টি নির্দেশক্রমে অবহিত করা হলো।

এর আগে, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) থেকে ভ্যাট অব্যাহতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

ওই চিঠি বলা হয়েছিল, অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি আদেশের স্বল্পতাসহ সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। এরূপ পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্পের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় অব্যাহত থাকলে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো রপ্তানিতে সক্ষমতা কমে যাবে। এমন সংকটময় মুহূর্ত কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই রপ্তানি বাণিজ্যের সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য পোশাক শিল্পের চালানের বিপরীতে মূসক আদায়ের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করে বিজিএমইএ।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

রপ্তানিমুখী শিল্পের বন্দর সেবায় ভ্যাট কাটা যাবে না

আপডেট: ০৭:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

শতভাগ রপ্তানিকারক এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের বন্দর সেবার বিপরীতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) কাটা যাবে না। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে বন্দর সেবায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ভ্যাট আদায় শুরু করলে জটিলতা তৈরি হয়। ওই জটিলতা নিরসনে গত ৩ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মূসক আইন ও বিধি বিভাগ থেকে ওই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে বন্দর সেবার বিপরীতে মূসক আদায় করছে। রপ্তানি বাণিজ্যের সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বন্দর সেবার বিপরীতে মূসক আদায় হতে বিরত থাকার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, এনবিআর থেকে ২০১৯ সালের ১৩ জুন তারিখে প্রকাশিত এস.আর.ও. ( নং-১৮৬-আইন/২০১৯/৪৩-মূসক) অনুযায়ী “বন্দর” অর্থ এমন কোনো উন্মুক্ত বা অন্যবিধ স্থান যেখানে আমদানিকৃত বা রপ্তানিযোগ্য যে কোনো পণ্যের বিনিময়ে বা অন্য কোনোভাবে মজুত বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। যে কোনো পণ্য মজুত বা সংরক্ষণের সহায়ক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সকল প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডসহ মজুদকৃত অথবা সংরক্ষিত কোনো পণ্যের নিরাপত্তা স্ক্যানিং সেবাসহ পণ্য চালানের নিষ্পত্তি বিষয়ক সকল কর্মকাণ্ড এবং এ সংক্রান্ত আইসিডি এবং সিএফএস সেবার অন্তর্ভুক্ত হবে।

অন্যদিকে ২০১৯ সালের ১৯ জুন প্রকাশিত এস.আর.ও (নং-১৮৮-আইন/২০১৯/৪৫-মূসক) অনুযায়ী— মূসক নিবন্ধিত শতভাগ রপ্তানিকারক, শতভাগ প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ আমদানি ও তৈরি পণ্য উৎপাদনপূর্বক রপ্তানি উভয় পর্যায়ে “বন্দর” সেবাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সিআইপি হওয়ার আবেদন শুরু ১৫ জানুয়ারি

এ কারণে সরকারি আদেশ অনুযায়ী— মূসক নিবন্ধিত শতভাগ রপ্তানিকারক, শতভাগ প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে- রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ আমদানি ও তৈরি পণ্য উৎপাদনপূর্বক রপ্তানি উভয় পর্যায়ে “বন্দর” সেবা অব্যাহতিপ্রাপ্ত। বিষয়টি নির্দেশক্রমে অবহিত করা হলো।

এর আগে, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) থেকে ভ্যাট অব্যাহতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

ওই চিঠি বলা হয়েছিল, অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি আদেশের স্বল্পতাসহ সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। এরূপ পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্পের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় অব্যাহত থাকলে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো রপ্তানিতে সক্ষমতা কমে যাবে। এমন সংকটময় মুহূর্ত কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই রপ্তানি বাণিজ্যের সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য পোশাক শিল্পের চালানের বিপরীতে মূসক আদায়ের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করে বিজিএমইএ।

ঢাকা/এসএম