০৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজস্ব বৃদ্ধিতে ডিজিটাল ইকোনোমিক অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ: সিপিডি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১০৪৮৩ বার দেখা হয়েছে

দেশে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও কর অনুপাত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ডিজিটাল ইকোনোমিক আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্যাক্সিং দ্যা ডিজিটাল ইকোনোমি : ট্রেডি-অবস অ্যান্ড অপরচুনিটি শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সেমিনারে সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ডিজিটাল ইকোনোমিক আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও কর অনুপাত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক বড় বড় কোম্পানি, যাদের উপস্থিতি আছে কিন্তু রাজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে নেই। সে বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে যৌক্তিকভাবে ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে তাদেরকে করের আওতায় আনা যায় সেটাও দেখতে হবে। সেটার জন্য প্রতিষ্ঠান ও আইনগত প্রস্তুতি দরকার সেটাও নিতে হবে। তাদেরকে কীভাবে করের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে ডব্লিউটিএর পক্ষ থেকেও প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ চলমান রয়েছে।

অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। আমাদের ইকোনোমির বড় অংশ ডিজিটাল ইকোনোমি হবে। এই অবস্থায় অভ্যন্তরীণ সম্পদের মাধ্যমে কীভাবে রাজস্ব বাড়াতে পারি, এ সময় সামনে চলে এসেছে। আমি বলব অনেক আগেই আসছে।

আলোচনায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, আগে আমাদের ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত কেন কম হচ্ছে, কোথায় কোথায় লিকেজ সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের জিডিপি বাড়ছে, কিন্তু রাজস্ব আদায় কেন বাড়ছে না, সেটা জাতীয় সংসদেও আলোচনা হওয়া দরকার। লিকেজগুলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আলোচনা হওয়া দরকার। সিপিডিও এ বিষয়ে গবেষণা করতে পারে।

আরও পড়ুন: ব্যাংকের কার্ডে ই-কমার্সে লেনদেন বেড়েছে দুই হাজার কোটি টাকা

তিনি বলেন, আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করলাম কিন্তু টোল আদায়ের দায়িত্ব দিলাম বিদেশিদের। কেন? আমি খরচ অনেক বৃদ্ধি করেছি, কিন্তু আয়ের উৎস কেন বাড়ছে না, সেই হিসাব মেলাতে হবে। ফেসবুক ও গুগলসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোর বিষয়ে নীতিমালা দরকার।

এনবিআর সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট ডিজিটাল ইকোনোমির সাথে মনস্তাত্বিকভাবে সমস্যা তৈরি করছে। এর ফলে অনেক কথা বলা যাচ্ছে না। এমনকি লেখালেখির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট অনেকটা বিশেষ ক্ষমতা আইন হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সংস্কার করা প্রয়োজন, ডিজিটাল কথাটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা সাইবার সিকিউরিটি আইন হতে পারে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

রাজস্ব বৃদ্ধিতে ডিজিটাল ইকোনোমিক অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ: সিপিডি

আপডেট: ০২:৫০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

দেশে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও কর অনুপাত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ডিজিটাল ইকোনোমিক আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্যাক্সিং দ্যা ডিজিটাল ইকোনোমি : ট্রেডি-অবস অ্যান্ড অপরচুনিটি শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সেমিনারে সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ডিজিটাল ইকোনোমিক আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও কর অনুপাত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক বড় বড় কোম্পানি, যাদের উপস্থিতি আছে কিন্তু রাজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে নেই। সে বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে যৌক্তিকভাবে ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে তাদেরকে করের আওতায় আনা যায় সেটাও দেখতে হবে। সেটার জন্য প্রতিষ্ঠান ও আইনগত প্রস্তুতি দরকার সেটাও নিতে হবে। তাদেরকে কীভাবে করের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে ডব্লিউটিএর পক্ষ থেকেও প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ চলমান রয়েছে।

অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। আমাদের ইকোনোমির বড় অংশ ডিজিটাল ইকোনোমি হবে। এই অবস্থায় অভ্যন্তরীণ সম্পদের মাধ্যমে কীভাবে রাজস্ব বাড়াতে পারি, এ সময় সামনে চলে এসেছে। আমি বলব অনেক আগেই আসছে।

আলোচনায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, আগে আমাদের ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত কেন কম হচ্ছে, কোথায় কোথায় লিকেজ সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের জিডিপি বাড়ছে, কিন্তু রাজস্ব আদায় কেন বাড়ছে না, সেটা জাতীয় সংসদেও আলোচনা হওয়া দরকার। লিকেজগুলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আলোচনা হওয়া দরকার। সিপিডিও এ বিষয়ে গবেষণা করতে পারে।

আরও পড়ুন: ব্যাংকের কার্ডে ই-কমার্সে লেনদেন বেড়েছে দুই হাজার কোটি টাকা

তিনি বলেন, আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করলাম কিন্তু টোল আদায়ের দায়িত্ব দিলাম বিদেশিদের। কেন? আমি খরচ অনেক বৃদ্ধি করেছি, কিন্তু আয়ের উৎস কেন বাড়ছে না, সেই হিসাব মেলাতে হবে। ফেসবুক ও গুগলসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোর বিষয়ে নীতিমালা দরকার।

এনবিআর সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট ডিজিটাল ইকোনোমির সাথে মনস্তাত্বিকভাবে সমস্যা তৈরি করছে। এর ফলে অনেক কথা বলা যাচ্ছে না। এমনকি লেখালেখির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট অনেকটা বিশেষ ক্ষমতা আইন হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সংস্কার করা প্রয়োজন, ডিজিটাল কথাটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা সাইবার সিকিউরিটি আইন হতে পারে।

ঢাকা/টিএ