১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

রাষ্ট্রপতি পদে আ.লীগের প্রার্থী সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পরিচয়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২০৮ বার দেখা হয়েছে

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সাহাবুদ্দির চুপ্পু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস‌্যও। ছিলেন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবেও।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে সাথে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর আগে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে আসেন। এরপর মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুর আউয়ালের কাছে যান। সেখানে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পক্ষে মনোনয়ন দাখিল করেন।

১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের জুবলি ট্যাঙ্ক পাড়ার (দিলালপুর) সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। স্বাধীনতা পরববর্তী সময়ে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদ করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সাড়ে ৩ বছর কারাভোগ করেন।

আরও পড়ুন: ‘মার্চ-এপ্রিলে ভারত থেকে পাইপ লাইনে তেল আসবে’

মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর উপর হামলা হয়, যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে ‘কমিশন’ গঠন করা হয়, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরশাদ আদনান রনি নামের এক পুত্র সন্তানের জনক তিনি। তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসর নেন। বর্তমান তিনি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে সদলাপী বন্ধুবৎসল সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পাবনার উন্নয়নে সব সময় নীরবে অবদান রেখেছেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

রাষ্ট্রপতি পদে আ.লীগের প্রার্থী সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পরিচয়

আপডেট: ১২:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সাহাবুদ্দির চুপ্পু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস‌্যও। ছিলেন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবেও।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে সাথে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর আগে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে আসেন। এরপর মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুর আউয়ালের কাছে যান। সেখানে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পক্ষে মনোনয়ন দাখিল করেন।

১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের জুবলি ট্যাঙ্ক পাড়ার (দিলালপুর) সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। স্বাধীনতা পরববর্তী সময়ে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদ করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সাড়ে ৩ বছর কারাভোগ করেন।

আরও পড়ুন: ‘মার্চ-এপ্রিলে ভারত থেকে পাইপ লাইনে তেল আসবে’

মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর উপর হামলা হয়, যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে ‘কমিশন’ গঠন করা হয়, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরশাদ আদনান রনি নামের এক পুত্র সন্তানের জনক তিনি। তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসর নেন। বর্তমান তিনি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে সদলাপী বন্ধুবৎসল সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পাবনার উন্নয়নে সব সময় নীরবে অবদান রেখেছেন।

ঢাকা/টিএ