০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
শূন্য রিটার্ন জমায়

রিটার্ন স্লিপ পেতে লাগবে দুই হাজার টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
  • / ১০৫০৭ বার দেখা হয়েছে

আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে করযোগ্য আয় না থাকলেও রিটার্ন জমা দিয়ে রিটার্ন স্লিপ পেতে দুই হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। তবে যারা নিয়মিত কর দিয়ে আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেন, তাদের ওই বাড়তি টাকা দিতে হবে না। প্রধানত করের আওতা ও পরিমাণ বৃদ্ধি করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার ক্ষেত্রে পুরুষ করদাতার বার্ষিক আয় তিন লাখ টাকা, মহিলা অথবা ৬৫ বছরের বেশি পুরুষ করদাতার ক্ষেত্রে সাড়ে তিন লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী করদাতার ক্ষেত্রে সাড়ে চার লাখ টাকা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার বার্ষিক আয় চার লাখ ৭৫ হাজার টাকা করমুক্ত। এ সীমার নিচে আয় থাকলে করদাতা এতদিন শুধু শূন্য আয় দেখিয়ে রিটার্ন জমা দিতে পারতেন, এক্ষেত্রে কোনো কর দিতে হতো না। বার্ষিক আয় করসীমার ওপর এক টাকার বেশি আয় থাকলেও তাকে ন্যূনতম আয়কর দিতে হয়।

সেক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতার ন্যূনতম করের হার পাঁচ হাজার টাকা। অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতার ন্যূনতম করের হার চার হাজার টাকা। আর সিটি কর্পোরেশন ছাড়া অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতার ন্যূনতম করের হার তিন হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: ব্যাংকের অগ্নি নিরাপত্তায় নতুন নির্দেশনা জারি

আগামী অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বর্তমানে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হতে পারে বলে জানা গেছে। করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ালে বিপুলসংখ্যক করদাতা করজাল থেকে বেরিয়ে যাবেন, আর সেই করদাতাদের করজালে ধরে রাখতে ওই বিকল্প চিন্তা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নারী করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা আপাতত বাড়ছে না।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ে বার্ষিক ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনো কর নেই। তবে ৩ লাখের বেশি থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ হারে কর রয়েছে। ১০ লাখের বেশি থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১০ শতাংশ, ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ এবং ৫০ লাখ টাকার বেশি আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ কর দিতে হয়। অন্যদিকে, নারী ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা। প্রতিবন্ধী করদাতাদের জন্য সাড়ে ৪ লাখ টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করেছিল সরকার।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

শূন্য রিটার্ন জমায়

রিটার্ন স্লিপ পেতে লাগবে দুই হাজার টাকা

আপডেট: ০৭:০০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে করযোগ্য আয় না থাকলেও রিটার্ন জমা দিয়ে রিটার্ন স্লিপ পেতে দুই হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। তবে যারা নিয়মিত কর দিয়ে আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেন, তাদের ওই বাড়তি টাকা দিতে হবে না। প্রধানত করের আওতা ও পরিমাণ বৃদ্ধি করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার ক্ষেত্রে পুরুষ করদাতার বার্ষিক আয় তিন লাখ টাকা, মহিলা অথবা ৬৫ বছরের বেশি পুরুষ করদাতার ক্ষেত্রে সাড়ে তিন লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী করদাতার ক্ষেত্রে সাড়ে চার লাখ টাকা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার বার্ষিক আয় চার লাখ ৭৫ হাজার টাকা করমুক্ত। এ সীমার নিচে আয় থাকলে করদাতা এতদিন শুধু শূন্য আয় দেখিয়ে রিটার্ন জমা দিতে পারতেন, এক্ষেত্রে কোনো কর দিতে হতো না। বার্ষিক আয় করসীমার ওপর এক টাকার বেশি আয় থাকলেও তাকে ন্যূনতম আয়কর দিতে হয়।

সেক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতার ন্যূনতম করের হার পাঁচ হাজার টাকা। অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতার ন্যূনতম করের হার চার হাজার টাকা। আর সিটি কর্পোরেশন ছাড়া অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতার ন্যূনতম করের হার তিন হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: ব্যাংকের অগ্নি নিরাপত্তায় নতুন নির্দেশনা জারি

আগামী অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বর্তমানে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হতে পারে বলে জানা গেছে। করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ালে বিপুলসংখ্যক করদাতা করজাল থেকে বেরিয়ে যাবেন, আর সেই করদাতাদের করজালে ধরে রাখতে ওই বিকল্প চিন্তা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নারী করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা আপাতত বাড়ছে না।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ে বার্ষিক ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনো কর নেই। তবে ৩ লাখের বেশি থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ হারে কর রয়েছে। ১০ লাখের বেশি থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১০ শতাংশ, ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ এবং ৫০ লাখ টাকার বেশি আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ কর দিতে হয়। অন্যদিকে, নারী ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা। প্রতিবন্ধী করদাতাদের জন্য সাড়ে ৪ লাখ টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করেছিল সরকার।

ঢাকা/টিএ