১২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৬ মাসের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ

রেকর্ড ভেঙ্গে ইতিহাস গড়লো খেলাপি ঋণ!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:০২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৬০৩ বার দেখা হয়েছে

ব্যাংক খাতের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে খেলাপি ঋণ। খেলাপিদের নানা সুবিধা দিয়েও এই সূচকের লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৪ সালে জুন শেষে দেশের খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের রেকর্ড।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিলো ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি। অর্থাৎ মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫.৯৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ব্যাংকাররা বলছেন, বিগত সরকারের আমলে সুশাসন ও খেলাপি ঋণই বর্তমান ব্যাংকিং খাতের বড় সমস্যা ছিলো। ব্যাংক খাতে সুশাসন না থাকার কারণে দিনদিন খেলাপি বেড়েছে। এ সমস্যা মোকাবিলায় ঢালাওভাবে ছাড় দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। পাশাপাশি খেলাপি ঋণের তথ্য গোপনেরও একটি প্রচেষ্টা ছিলো। সবমিলিয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খেলাপি তথ্য গোপন না করায় হঠাৎ এই সূচকে বড় লাফ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: শেয়ারের মূল্য হেরফের: বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি কোটি কোটি টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে দেশে বর্তমানে মোট ঋণের পরিমাণ ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ৩ মাস আগে মার্চ শেষে এই ঋণের পরিমাণ ছিলো এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৩ মাসের ব্যবধানে দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে কোটি টাকা বা ১৫.৯৬ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিলো ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৬৫ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা বা ৪৫.১৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকে তথ্য বলছে, জুন শেষে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকাই খেলাপি। যা বিতরণকৃত ঋণের ৩২.৭৭ শতাংশ।

আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৯ হাজার ৯২১ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। রাষ্ট্রের বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ১৩.১১ শতাংশ। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২২৯ কোটি টাকা বা বিতরণকৃত ঋণের ৪.৭৪ শতাংশ।

ঢাকা/এমআর

শেয়ার করুন

৬ মাসের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ

রেকর্ড ভেঙ্গে ইতিহাস গড়লো খেলাপি ঋণ!

আপডেট: ০৮:০২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্যাংক খাতের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে খেলাপি ঋণ। খেলাপিদের নানা সুবিধা দিয়েও এই সূচকের লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৪ সালে জুন শেষে দেশের খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের রেকর্ড।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিলো ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি। অর্থাৎ মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫.৯৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ব্যাংকাররা বলছেন, বিগত সরকারের আমলে সুশাসন ও খেলাপি ঋণই বর্তমান ব্যাংকিং খাতের বড় সমস্যা ছিলো। ব্যাংক খাতে সুশাসন না থাকার কারণে দিনদিন খেলাপি বেড়েছে। এ সমস্যা মোকাবিলায় ঢালাওভাবে ছাড় দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। পাশাপাশি খেলাপি ঋণের তথ্য গোপনেরও একটি প্রচেষ্টা ছিলো। সবমিলিয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খেলাপি তথ্য গোপন না করায় হঠাৎ এই সূচকে বড় লাফ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: শেয়ারের মূল্য হেরফের: বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি কোটি কোটি টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে দেশে বর্তমানে মোট ঋণের পরিমাণ ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ৩ মাস আগে মার্চ শেষে এই ঋণের পরিমাণ ছিলো এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৩ মাসের ব্যবধানে দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে কোটি টাকা বা ১৫.৯৬ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিলো ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৬ মাসের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৬৫ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা বা ৪৫.১৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকে তথ্য বলছে, জুন শেষে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকাই খেলাপি। যা বিতরণকৃত ঋণের ৩২.৭৭ শতাংশ।

আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৯ হাজার ৯২১ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। রাষ্ট্রের বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ১৩.১১ শতাংশ। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২২৯ কোটি টাকা বা বিতরণকৃত ঋণের ৪.৭৪ শতাংশ।

ঢাকা/এমআর