রেললাইন কেটে ফেলা কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়: তথ্যমন্ত্রী

- আপডেট: ০৬:২৩:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১০৩৯২ বার দেখা হয়েছে
গাজীপুরে রেললাইন কেটে ফেলার বিষয়ে বিএনপির উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতির নামে মানুষ ও গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে। এছাড়া রেললাইন কেটে ফেলা হচ্ছে ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়, এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) আয়োজিত ‘বিজয়ের ৫২ বছর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং করছে। সুতরাং দেশকে যদি স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে হয় তাহলে রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে। আমরা সেটি বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। সুতরাং আজকে বিজয় দিবসে আমাদের সবার শপথ হওয়া প্রয়োজন এই নেতিবাচক ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে চিরতরে দেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন আর দারিদ্র্য নই, তবু অনেকের চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন ও মূল্যবোধে আমরা অনেকের চেয়ে এগিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সামাজিক রাষ্ট্র গঠন করার লক্ষ্যেই বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা ও দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা চালু করেছেন। এভাবে দেশকে আমরা একটি মানবিক, সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চাই, যেখানে সমস্ত আর্ত-পীড়িত ও দারিদ্র্যদের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধে আমেরিকা পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছিল: প্রধানমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বাংলাদেশ সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। এখন জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৩৫তম আর পিপিপিতে ৩১তম অর্থনীতির দেশ। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ২৫ কিংবা ২৭তম অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হবে। এই উন্নয়ন অগ্রগতি আমরা আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে পারতাম যদি দেশে ধ্বংসাত্মক, নেতিবাচক ও গুজব ছড়ানোর রাজনীতি না থাকত। কারণ এগুলো দেশের অগ্রগতিকে শ্লথ করেছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ডিএফপির মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, বিটিভির মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএফপি নির্মিত ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ গীতিনাট্য চলচ্ছবি প্রদর্শন ও আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এর আগে, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনের দুইটি তলা সংস্কার করে একটি শ্যুটিং ফ্লোর এবং ভবনের সামনে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
ঢাকা/এসএম