০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

লকডাউনে বেড়েছে মাছ-মাংস ও সবজির মূল্য

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:১৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১
  • / ১০৩৩৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনা সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ, মাংস ও সবজি।  বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, মেরাদিয়া বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। আর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছ ও মাংসের দামও কিছুটা বাড়তি। তবে ক্রেতারা বলছেন, কোনো কারণ ছাড়াই মৌসুমী সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। মূলত লকডাউনের কারণে মাছ-মাংসসহ সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা দরে। প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা দরে। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বেশি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে।

গত সপ্তাহের তুলনায় বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি গরুর মাংস ও লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকা। আর বয়লার মুরগির প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগির দাম কিছুটা বাড়লেও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

এদিকে, সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় মাছের বাজার একটু বাড়তি রয়েছে। প্রতি কেজি রুই আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়, কাতল (বড়) ৪০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮০০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি ৫৫০-৬০০, ছোট চিংড়ি ৪৫০-৫০০ টাকা, নদীর মাঝারি চিংড়ি ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকা, কৈ ২০০ টাকা, মলা ৩৫০ টাকা, শিং (দেশি) ৮০০ টাকা ও চাষের ৪০০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, টেংরা ৭০০, বড় রূপচাঁদা ৯০০ টাকা এবং মাঝারি আকারের বেলে মাছের কেজি ৮০০ টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এছাড়া, গত সপ্তাহের চেয়ে বৃহস্পতিবার সবজির দাম বেশ বেড়েছে। প্রতি কেজি আলু ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বেগুন ৫০-৭০ টাকা, পোটল ৫০, গাজর ৫০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৬০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।

আজ সকালে রামপুরা এলাকার মেরাদিয়া বাজারে বাজার করতে আসেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় মাছ মাংসসহ সবজির দাম অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে সবজির দাম বেশি বেড়েছে।’ তবে মেরাদিয়া বাজারের সবজি বিক্রেতা সালাউদ্দিন জানান, সরবরাহ কম ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় বাড়তি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। 

একই বাজারে কোবির কালাম মাংস বিতানের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ কোবির বলেন, ‘লকডাউনের কারণে গরুর মাংস একটু বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মাংসের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম রয়েছে। এছাড়া, গরু আনা-নেওয়া সংক্রান্ত অন্যান্য খরচ বেড়েছে।’

খিলগাঁও বাজারে থেকে রহমত উল্লাহ নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘সরবরাহের দোহাই দিয়ে সব পণ্য বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।’ একই বাজার থেকে মাছ বিক্রেতা মোহাম্মদ কালাম ও মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ লালচান জানান, সরবরাহ কম থাকায় মাছ ও মুরগির দাম কিছুটা বাড়তি।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

লকডাউনে বেড়েছে মাছ-মাংস ও সবজির মূল্য

আপডেট: ০৪:১৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনা সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ, মাংস ও সবজি।  বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, মেরাদিয়া বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। আর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছ ও মাংসের দামও কিছুটা বাড়তি। তবে ক্রেতারা বলছেন, কোনো কারণ ছাড়াই মৌসুমী সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। মূলত লকডাউনের কারণে মাছ-মাংসসহ সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা দরে। প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা দরে। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বেশি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে।

গত সপ্তাহের তুলনায় বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি গরুর মাংস ও লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকা। আর বয়লার মুরগির প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগির দাম কিছুটা বাড়লেও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

এদিকে, সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় মাছের বাজার একটু বাড়তি রয়েছে। প্রতি কেজি রুই আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়, কাতল (বড়) ৪০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮০০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি ৫৫০-৬০০, ছোট চিংড়ি ৪৫০-৫০০ টাকা, নদীর মাঝারি চিংড়ি ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকা, কৈ ২০০ টাকা, মলা ৩৫০ টাকা, শিং (দেশি) ৮০০ টাকা ও চাষের ৪০০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, টেংরা ৭০০, বড় রূপচাঁদা ৯০০ টাকা এবং মাঝারি আকারের বেলে মাছের কেজি ৮০০ টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এছাড়া, গত সপ্তাহের চেয়ে বৃহস্পতিবার সবজির দাম বেশ বেড়েছে। প্রতি কেজি আলু ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বেগুন ৫০-৭০ টাকা, পোটল ৫০, গাজর ৫০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৬০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।

আজ সকালে রামপুরা এলাকার মেরাদিয়া বাজারে বাজার করতে আসেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় মাছ মাংসসহ সবজির দাম অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে সবজির দাম বেশি বেড়েছে।’ তবে মেরাদিয়া বাজারের সবজি বিক্রেতা সালাউদ্দিন জানান, সরবরাহ কম ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় বাড়তি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। 

একই বাজারে কোবির কালাম মাংস বিতানের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ কোবির বলেন, ‘লকডাউনের কারণে গরুর মাংস একটু বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মাংসের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম রয়েছে। এছাড়া, গরু আনা-নেওয়া সংক্রান্ত অন্যান্য খরচ বেড়েছে।’

খিলগাঁও বাজারে থেকে রহমত উল্লাহ নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘সরবরাহের দোহাই দিয়ে সব পণ্য বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।’ একই বাজার থেকে মাছ বিক্রেতা মোহাম্মদ কালাম ও মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ লালচান জানান, সরবরাহ কম থাকায় মাছ ও মুরগির দাম কিছুটা বাড়তি।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: