০৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

লেবাননে পেজার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইসরাইল!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৪৫০ বার দেখা হয়েছে

অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে কয়েক হাজার তারবিহীন টেলিযোগাযোগের ডিভাইসে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইসরাইল। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে স্কাই নিউজ অ্যারাবিয়া। পেজারগুলো হিজবুল্লাহর কাছে যাওয়ার পাঁচ মাস আগে মোসাদের হাতে গিয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এতে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

লেবাননে একসঙ্গে এতো পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা নজিরবিহীন। ঘটনার পরপরই ইসরাইলের দিকে সন্দেহের তীর ছুড়েছিল সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল এ গণমাধ্যমটি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে একযোগে কয়েক হাজার পেজারের বিস্ফোরণ ঘটায় ইসরাইল। পাঁচ মাস আগে ডিভাইসগুলো লেবাননে যাওয়ার আগে পড়েছিল মোসাদের হাতে। এরপর ব্যাটারির ওপর উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক পিইটিএন স্থাপন করে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থাটি।

এরপর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দূর থেকে ব্যাটারির তাপমাত্রা বাড়িয়ে ডিভাইসগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। হিজবুল্লাহর কয়েকজন সদস্যের বয়ানেও উঠে এসেছে এমন তথ্য। ঘটনার পরপরই ওই সদস্যরা বলেছিলেন, বিস্ফোরণের আগে পেজারগুলো বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ডিভাইসগুলোতে যে বিস্ফোরক স্থাপন করা হয়, সেগুলোর ওজন ২০ গ্রামের মতো। দূর থেকে কীভাবে সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হলো, সেটিই এখন তদন্তের বিষয়।

এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরাইলে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রেখেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও এয়ার ফ্রান্স।

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ২২৬

কী ঘটেছিল?

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে প্রথম পেজার বিস্ফোরণটি ঘটে। এরপর সিরিজ বিস্ফোরণ শুরু হয়, যা চলে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে। অনেকটা বোমার মতো প্রচণ্ড বিস্ফোরণের ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হতাহতের খবর ও সংখ্যা এখনও জানা যাচ্ছে।

নিহতদের মধ্যে আট বছর বয়সি এক মেয়ের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া, লেবানন পার্লামেন্টে হিজবুল্লাহর এমপি আলী আম্মারের ছেলে মোহাম্মদ মাহদি আম্মারও নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়। হিজবুল্লাহ নিশ্চিত করেছে, তাদের দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আল আবিয়াদ জানিয়েছেন, প্রায় ২ হাজার ৭৫০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২শরও বেশি জনের অবস্থা গুরুতর। এদের বেশিরভাগই মুখ, হাত ও পেটে আঘাত পেয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানিও পেজার বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন।

কীভাবে পেজার বিস্ফোরণ ঘটল?

কিভাবে একসঙ্গে এতগুলো পেজার বিস্ফোরিত হল তা এখনও অজানা। তবে এ নিয়ে অনেকেই নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও সমীকরণ সামনে আনছেন। কেউ কেউ অনুমান করছেন, রেডিও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, যে রেডিও নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে পেজারগুলো চলে।

তারা বলছেন, পেজারগুলো হ্যাক করা হয়। যার ফলে এর সিস্টেমটি এমন একটি সংকেত নির্গত করে যা পেজারগুলোর মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে বিস্ফোরণ ঘটায়। কিছু গণমাধ্যম বলছে, ইসরাইলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

লেবাননে পেজার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইসরাইল!

আপডেট: ১২:৫৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে কয়েক হাজার তারবিহীন টেলিযোগাযোগের ডিভাইসে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইসরাইল। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে স্কাই নিউজ অ্যারাবিয়া। পেজারগুলো হিজবুল্লাহর কাছে যাওয়ার পাঁচ মাস আগে মোসাদের হাতে গিয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এতে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

লেবাননে একসঙ্গে এতো পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা নজিরবিহীন। ঘটনার পরপরই ইসরাইলের দিকে সন্দেহের তীর ছুড়েছিল সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল এ গণমাধ্যমটি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে একযোগে কয়েক হাজার পেজারের বিস্ফোরণ ঘটায় ইসরাইল। পাঁচ মাস আগে ডিভাইসগুলো লেবাননে যাওয়ার আগে পড়েছিল মোসাদের হাতে। এরপর ব্যাটারির ওপর উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক পিইটিএন স্থাপন করে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থাটি।

এরপর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দূর থেকে ব্যাটারির তাপমাত্রা বাড়িয়ে ডিভাইসগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। হিজবুল্লাহর কয়েকজন সদস্যের বয়ানেও উঠে এসেছে এমন তথ্য। ঘটনার পরপরই ওই সদস্যরা বলেছিলেন, বিস্ফোরণের আগে পেজারগুলো বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ডিভাইসগুলোতে যে বিস্ফোরক স্থাপন করা হয়, সেগুলোর ওজন ২০ গ্রামের মতো। দূর থেকে কীভাবে সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হলো, সেটিই এখন তদন্তের বিষয়।

এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরাইলে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রেখেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও এয়ার ফ্রান্স।

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ২২৬

কী ঘটেছিল?

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে প্রথম পেজার বিস্ফোরণটি ঘটে। এরপর সিরিজ বিস্ফোরণ শুরু হয়, যা চলে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে। অনেকটা বোমার মতো প্রচণ্ড বিস্ফোরণের ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হতাহতের খবর ও সংখ্যা এখনও জানা যাচ্ছে।

নিহতদের মধ্যে আট বছর বয়সি এক মেয়ের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া, লেবানন পার্লামেন্টে হিজবুল্লাহর এমপি আলী আম্মারের ছেলে মোহাম্মদ মাহদি আম্মারও নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়। হিজবুল্লাহ নিশ্চিত করেছে, তাদের দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আল আবিয়াদ জানিয়েছেন, প্রায় ২ হাজার ৭৫০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২শরও বেশি জনের অবস্থা গুরুতর। এদের বেশিরভাগই মুখ, হাত ও পেটে আঘাত পেয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানিও পেজার বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন।

কীভাবে পেজার বিস্ফোরণ ঘটল?

কিভাবে একসঙ্গে এতগুলো পেজার বিস্ফোরিত হল তা এখনও অজানা। তবে এ নিয়ে অনেকেই নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও সমীকরণ সামনে আনছেন। কেউ কেউ অনুমান করছেন, রেডিও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, যে রেডিও নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে পেজারগুলো চলে।

তারা বলছেন, পেজারগুলো হ্যাক করা হয়। যার ফলে এর সিস্টেমটি এমন একটি সংকেত নির্গত করে যা পেজারগুলোর মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে বিস্ফোরণ ঘটায়। কিছু গণমাধ্যম বলছে, ইসরাইলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ