০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

শতভাগ ঘর দেয়ার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪১২৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে। শতভাগ ঘরও করে দেবে। দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না। তিনি বলেছেন, একটা ঘর পেয়ে মানুষ যখন হাসে, তখন সব থেকে বেশি ভালো লাগে। জাতির পিতা এটাই তো চেয়েছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ঈদ উপহার হিসেবে ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। দেশের চারটি উপজেলার আশ্রয়ণ গ্রাম ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পোড়াদিয়া বালিয়া, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও, বরগুনার সদর খাজুরতলা এবং সিরাজগঞ্জের খোকশাবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন শেখ হাসিনা।

এ সময় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে উপকারভোগীদের হাতে দুই শতক জমিসহ ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপকারভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না’,- এই নীতিকে সামনে রেখে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ বাড়ি পাচ্ছেন গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার। খাস জমি না পাওয়া গেলে জমি কিনে ছিন্নমূল মানুষকে ঠিকানা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ৩২ হাজার ৯০৪ জনকে ঘর উপহার দিচ্ছি। এটা ঈদ উপহার। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক বেদখল জমি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’ এ জন্য সংশ্নিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে সরকারের প্রথম মেয়াদে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প চালুর মাধ্যমে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন কাজ শুরুর প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে আমরা সরকারে আসিনি। ৮টা বছর নষ্ট হয়। ২০০৯ সালে সরকারে এসে আবার আমরা এ পদক্ষেপ নিই।

তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমন উদ্যোগ নিয়েছে কিনা। কিন্তু আমরা জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। আমি তো শুধু তার কন্যাই না, তার আদর্শও আমি বিশ্বাস করি। কাজেই আমার কাছে ক্ষমতা হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া, জনগণের জন্য কাজ করা।’

করোনা মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব আবারও বাড়তে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, করোনা টিকা আনা এবং টিকাদান কার্যক্রমে অনেক টাকা খরচ হলেও সরকার বিনামূল্যে মানুষকে তা দিয়েছে। শুধু ভ্যাকসিনের দাম ধরে এ হিসাব করলে চলবে না। টিকাদান কার্যক্রমের সার্বিক খরচ বিবেচনায় এ হিসাব করতে হবে। যার সব বিনা পয়সায় দিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।

অনুষ্ঠানে ফরিদপুরের নগরকান্দা প্রান্তে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও প্রান্তে ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। সিরাজগঞ্জে ছিলেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেসসচিব সরওয়ার-ই-আলম জীবন। বরগুনায় যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস রানা।

প্রধানমন্ত্রীকে খাওয়াতে চাইলেন রুশা রানী : ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে উপহারের ঘর পেয়ে রুশা রানী মালো স্বামীর ধরা মাছ রান্না করে প্রধানমন্ত্রীকে খাওয়াতে চেয়েছেন। ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পোড়াদিয়া বালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদের উপহার হিসেবে ঘর পাওয়া ১১০টি পরিবারের একটি হচ্ছে রুশা রানী ও তুষার দম্পতি।

এ সময় রুশা রানী বলেন, উপহারের ঘর পেয়ে তিনি খুবই খুশি। তিনি বলেন, স্বামীর ধরা মাছ রান্না করে আপনাকে (শেখ হাসিনা) খাওয়াতে চাই। আপনি (শেখ হাসিনা) আমাদের এখানে বেড়াতে আসেন।’ প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে সেখানে যাওয়ার সম্মতি জানান।

প্রধানমন্ত্রীর জন্য কাঁথা সেলাই : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রহিমা খাতুন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। সেই ঘরের জন্য তিনি ফ্রিজও কিনেছেন। মঙ্গলবার ভূমিহীনদের ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি তার বানানো কাঁথা প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই নিতে হবে বলে আবদার করেন।

রহিমা খাতুন বলেন, ‘আমরা ৪০ জন একসঙ্গে ঘর পাই। এখানে বাচ্চাদের আমি আরবি পড়াই। আমার মেয়ে বাংলা, অঙ্ক ও ইংরেজি শেখায়। সব মিলিয়ে আমাদের ১০-১৫ হাজার টাকা আয় হয়। প্রতিদিন যাতে আপনাকে দেখতে পারি, সেজন্য একটা টিভি নিয়েছি। আপনার দেওয়া ঘরে বসে দুইটা কাঁথা সেলাই করছি। অবশ্যই এ কাঁথাগুলো আমার কাছ থেকে নিতে হবে আপনাকে।’ এ সময় গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, তিনি অবশ্যই রহিমার কাঁথা দেখবেন ও নেবেন।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

শতভাগ ঘর দেয়ার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট: ০১:০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে। শতভাগ ঘরও করে দেবে। দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না। তিনি বলেছেন, একটা ঘর পেয়ে মানুষ যখন হাসে, তখন সব থেকে বেশি ভালো লাগে। জাতির পিতা এটাই তো চেয়েছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ঈদ উপহার হিসেবে ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। দেশের চারটি উপজেলার আশ্রয়ণ গ্রাম ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পোড়াদিয়া বালিয়া, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও, বরগুনার সদর খাজুরতলা এবং সিরাজগঞ্জের খোকশাবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন শেখ হাসিনা।

এ সময় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে উপকারভোগীদের হাতে দুই শতক জমিসহ ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপকারভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না’,- এই নীতিকে সামনে রেখে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ বাড়ি পাচ্ছেন গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার। খাস জমি না পাওয়া গেলে জমি কিনে ছিন্নমূল মানুষকে ঠিকানা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ৩২ হাজার ৯০৪ জনকে ঘর উপহার দিচ্ছি। এটা ঈদ উপহার। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক বেদখল জমি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’ এ জন্য সংশ্নিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে সরকারের প্রথম মেয়াদে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প চালুর মাধ্যমে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন কাজ শুরুর প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে আমরা সরকারে আসিনি। ৮টা বছর নষ্ট হয়। ২০০৯ সালে সরকারে এসে আবার আমরা এ পদক্ষেপ নিই।

তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমন উদ্যোগ নিয়েছে কিনা। কিন্তু আমরা জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। আমি তো শুধু তার কন্যাই না, তার আদর্শও আমি বিশ্বাস করি। কাজেই আমার কাছে ক্ষমতা হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া, জনগণের জন্য কাজ করা।’

করোনা মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব আবারও বাড়তে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, করোনা টিকা আনা এবং টিকাদান কার্যক্রমে অনেক টাকা খরচ হলেও সরকার বিনামূল্যে মানুষকে তা দিয়েছে। শুধু ভ্যাকসিনের দাম ধরে এ হিসাব করলে চলবে না। টিকাদান কার্যক্রমের সার্বিক খরচ বিবেচনায় এ হিসাব করতে হবে। যার সব বিনা পয়সায় দিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।

অনুষ্ঠানে ফরিদপুরের নগরকান্দা প্রান্তে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও প্রান্তে ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। সিরাজগঞ্জে ছিলেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেসসচিব সরওয়ার-ই-আলম জীবন। বরগুনায় যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস রানা।

প্রধানমন্ত্রীকে খাওয়াতে চাইলেন রুশা রানী : ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে উপহারের ঘর পেয়ে রুশা রানী মালো স্বামীর ধরা মাছ রান্না করে প্রধানমন্ত্রীকে খাওয়াতে চেয়েছেন। ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পোড়াদিয়া বালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদের উপহার হিসেবে ঘর পাওয়া ১১০টি পরিবারের একটি হচ্ছে রুশা রানী ও তুষার দম্পতি।

এ সময় রুশা রানী বলেন, উপহারের ঘর পেয়ে তিনি খুবই খুশি। তিনি বলেন, স্বামীর ধরা মাছ রান্না করে আপনাকে (শেখ হাসিনা) খাওয়াতে চাই। আপনি (শেখ হাসিনা) আমাদের এখানে বেড়াতে আসেন।’ প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে সেখানে যাওয়ার সম্মতি জানান।

প্রধানমন্ত্রীর জন্য কাঁথা সেলাই : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রহিমা খাতুন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। সেই ঘরের জন্য তিনি ফ্রিজও কিনেছেন। মঙ্গলবার ভূমিহীনদের ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি তার বানানো কাঁথা প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই নিতে হবে বলে আবদার করেন।

রহিমা খাতুন বলেন, ‘আমরা ৪০ জন একসঙ্গে ঘর পাই। এখানে বাচ্চাদের আমি আরবি পড়াই। আমার মেয়ে বাংলা, অঙ্ক ও ইংরেজি শেখায়। সব মিলিয়ে আমাদের ১০-১৫ হাজার টাকা আয় হয়। প্রতিদিন যাতে আপনাকে দেখতে পারি, সেজন্য একটা টিভি নিয়েছি। আপনার দেওয়া ঘরে বসে দুইটা কাঁথা সেলাই করছি। অবশ্যই এ কাঁথাগুলো আমার কাছ থেকে নিতে হবে আপনাকে।’ এ সময় গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, তিনি অবশ্যই রহিমার কাঁথা দেখবেন ও নেবেন।

ঢাকা/এসএম