০৫:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

শত্রু বাইরে থেকে আসতে হয় না: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:১১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪১২৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শত্রু বাইরে থেকে আসতে হয় না। দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন অনেক শত্রু বাংলাদেশেই আছে।

আজ রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫টি প্রকল্প/কর্মসূচির আওতায় নির্মিত ভবন ও GEMS সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের ফলেই সরকারি কর্মকর্তারা ভোগ করে, তাই তাদেরকে সেটি মাথায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের আপনজন হারিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিল তাদের ভবিষ্যৎ, ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তির পাওয়ার পথ। সবই হারিয়েছে। তখন ক্ষমতা দখল শুরু হয় হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে। একের পর এক, সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে এই ধরনের শাসন চলতে থাকে।

জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আমার ছোট বোনের পাসপোর্টটাও রিনিউ করতে দেননি তিনি। আমরা ১৯৮০ সালে লন্ডনে জাতির পিতার হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি ঢাকা আসতে চেয়েছিল, জিয়াউর রহমান ভিসাটাও দেননি।

আরও পড়ুন: বিচারালয়কে যেন রাজনীতিকরণ না করা হয়: প্রধান বিচারপতি

শেখ হাসিনা বলেন, ছয় বছর পর আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করে। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি ছোট বোনের সঙ্গে আলোচনা করে দেশে ফিরে আসা সিদ্ধান্ত নেই। আমার মেয়ে তখন বয়স ৮ বছর, ছেলের বয়স ১০ বছর। আমি এমন একটা দেশে আসছি যেখানে আমার মা-বাবার হত্যার বিচার হয়নি। ইনডেমনিটি অর্ডিনেস জারি করে তাদের বিচার হাত থেকে রক্ষা করে, তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ২৯ বছর দেশে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। দেশতে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন ক্ষমতা দখল শুরু হয় হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে। একের পর এক, সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে এই ধরনের শাসন চলতে থাকে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

শত্রু বাইরে থেকে আসতে হয় না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০১:১১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শত্রু বাইরে থেকে আসতে হয় না। দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন অনেক শত্রু বাংলাদেশেই আছে।

আজ রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫টি প্রকল্প/কর্মসূচির আওতায় নির্মিত ভবন ও GEMS সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের ফলেই সরকারি কর্মকর্তারা ভোগ করে, তাই তাদেরকে সেটি মাথায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের আপনজন হারিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিল তাদের ভবিষ্যৎ, ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তির পাওয়ার পথ। সবই হারিয়েছে। তখন ক্ষমতা দখল শুরু হয় হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে। একের পর এক, সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে এই ধরনের শাসন চলতে থাকে।

জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আমার ছোট বোনের পাসপোর্টটাও রিনিউ করতে দেননি তিনি। আমরা ১৯৮০ সালে লন্ডনে জাতির পিতার হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি ঢাকা আসতে চেয়েছিল, জিয়াউর রহমান ভিসাটাও দেননি।

আরও পড়ুন: বিচারালয়কে যেন রাজনীতিকরণ না করা হয়: প্রধান বিচারপতি

শেখ হাসিনা বলেন, ছয় বছর পর আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করে। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি ছোট বোনের সঙ্গে আলোচনা করে দেশে ফিরে আসা সিদ্ধান্ত নেই। আমার মেয়ে তখন বয়স ৮ বছর, ছেলের বয়স ১০ বছর। আমি এমন একটা দেশে আসছি যেখানে আমার মা-বাবার হত্যার বিচার হয়নি। ইনডেমনিটি অর্ডিনেস জারি করে তাদের বিচার হাত থেকে রক্ষা করে, তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ২৯ বছর দেশে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। দেশতে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন ক্ষমতা দখল শুরু হয় হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে। একের পর এক, সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে এই ধরনের শাসন চলতে থাকে।

ঢাকা/এসএ