০৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

শর্তপূরণ হলে শস্যচুক্তিতে ফিরবে রাশিয়া: পুতিন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪১৫১ বার দেখা হয়েছে

পশ্চিমারা রাশিয়ার নিজের শস্য রপ্তানির বিষয়ে শর্তপূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণসাগরীয় শস্যচুক্তিতে ফিরবে রাশিয়া।

বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে এ কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর রয়টার্সের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

২০২২ সালের জুলাই মাসে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগরীয় শস্যচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। এ চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর থেকে নিরাপদে শস্য রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিল। গত মাসে রাশিয়া এ চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করা নেয়। মস্কোর অভিযোগ, পশ্চিমারা রাশিয়ার শস্য ও সার রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করছে।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে নির্যাতন ও যৌন সহিংসতা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী

তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলেছে, শস্যচুক্তিতে রাশিয়ার শর্তপূরণে অগ্রগতির ঘাটতি রয়েছে বলে তুলে ধরা হয়েছে। ফলে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো অর্থহীন হয়ে পড়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমারা প্রকৃত অর্থে রাশিয়ার শর্তপূরণ করলে মস্কো চুক্তিতে ফিরবে।

আরও পড়ুন: ক্রোয়েশিয়ার বন্দর দিয়ে শস্য রপ্তানি করবে ইউক্রেন

ইউক্রেনে আগ্রাসনের দায়ে মস্কোর ওপর পশ্চিমারা যেসব নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, সেগুলোর অন্তর্ভুক্ত নয় রাশিয়ার শস্য ও সার। কিন্তু মস্কো অভিযোগ করেছে, অর্থ পরিশোধে বিধিনিষেধ, লজিস্টিক ও বীমাজনিত কারণে শস্য ও সার রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত বলেছেন, চুক্তিতে ফেরার আলোচনায় রাশিয়া হয়তো আগ্রহী নয়। এ বিষয়ে বুধবার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, চুক্তিতে রাশিয়ার রপ্তানি সংশ্লিষ্ট অংশের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে পশ্চিমাদের।

এরদোগানের কার্যালয় জানিয়েছে, তুর্কি নেতা গুরুত্বারোপ করেছেন কৃষ্ণসাগরীয় শস্যচুক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন পদক্ষেপ এড়িয়ে যাওয়ার প্রতি। তিনি এ চুক্তিকে শান্তির সেতু হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তুরস্ক সফরে পুতিন সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়। এক সিনিয়র তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, আগস্টের শেষ দিকে পুতিনের সফর নিয়ে আঙ্কারা ও মস্কোর মধ্যে আলোচনা চলছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

শর্তপূরণ হলে শস্যচুক্তিতে ফিরবে রাশিয়া: পুতিন

আপডেট: ০১:২৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

পশ্চিমারা রাশিয়ার নিজের শস্য রপ্তানির বিষয়ে শর্তপূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণসাগরীয় শস্যচুক্তিতে ফিরবে রাশিয়া।

বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে এ কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর রয়টার্সের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

২০২২ সালের জুলাই মাসে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগরীয় শস্যচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। এ চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর থেকে নিরাপদে শস্য রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিল। গত মাসে রাশিয়া এ চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করা নেয়। মস্কোর অভিযোগ, পশ্চিমারা রাশিয়ার শস্য ও সার রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করছে।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে নির্যাতন ও যৌন সহিংসতা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী

তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলেছে, শস্যচুক্তিতে রাশিয়ার শর্তপূরণে অগ্রগতির ঘাটতি রয়েছে বলে তুলে ধরা হয়েছে। ফলে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো অর্থহীন হয়ে পড়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমারা প্রকৃত অর্থে রাশিয়ার শর্তপূরণ করলে মস্কো চুক্তিতে ফিরবে।

আরও পড়ুন: ক্রোয়েশিয়ার বন্দর দিয়ে শস্য রপ্তানি করবে ইউক্রেন

ইউক্রেনে আগ্রাসনের দায়ে মস্কোর ওপর পশ্চিমারা যেসব নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, সেগুলোর অন্তর্ভুক্ত নয় রাশিয়ার শস্য ও সার। কিন্তু মস্কো অভিযোগ করেছে, অর্থ পরিশোধে বিধিনিষেধ, লজিস্টিক ও বীমাজনিত কারণে শস্য ও সার রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত বলেছেন, চুক্তিতে ফেরার আলোচনায় রাশিয়া হয়তো আগ্রহী নয়। এ বিষয়ে বুধবার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, চুক্তিতে রাশিয়ার রপ্তানি সংশ্লিষ্ট অংশের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে পশ্চিমাদের।

এরদোগানের কার্যালয় জানিয়েছে, তুর্কি নেতা গুরুত্বারোপ করেছেন কৃষ্ণসাগরীয় শস্যচুক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন পদক্ষেপ এড়িয়ে যাওয়ার প্রতি। তিনি এ চুক্তিকে শান্তির সেতু হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তুরস্ক সফরে পুতিন সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়। এক সিনিয়র তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, আগস্টের শেষ দিকে পুতিনের সফর নিয়ে আঙ্কারা ও মস্কোর মধ্যে আলোচনা চলছে।

ঢাকা/টিএ