০৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

শিশু জুনায়েদের আকাশে উড়ার ‘স্বপ্ন পূরণ’ করলো ওয়ালটন প্লাজা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০২৭৪ বার দেখা হয়েছে

টিকেট হাতে বিমানে শিশু জুনায়েদ মোল্লা।

ভিসা ও পাসপোর্ট ছাড়া নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানের আসন পর্যন্ত যেতে পারলেও আকাশ থেকে পাখির চোখে পৃথিবী দেখার সুযোগ হয়নি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার শিশু জুনায়েদ মোল্লার। এবার এই শিশুর স্বপ্ন পূরণে সঙ্গী হয়েছে। দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বিক্রয় ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজা। প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা থেকে বিমানে করে পর্যটন শহর কক্সবাজার এসে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে শিশু জুনায়েদ মোল্লার। ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’র আওতায় সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জুনায়েদের স্বপ্ন পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে চড়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় জুনায়েদ। এরপর কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে রাখা হয় তাকে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিমানে চড়ে কক্সবাজার পৌঁছানোর আনন্দে উচ্ছ্বাসিত শিশু জুনায়েদ বলেন, “নিরাপত্তা পেরিয়ে বিমানে উঠেছিলাম। কিন্তু আকাশে উড়তে পারিনি। অবশেষে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। তারা ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বিমানে করে নিয়ে আসলেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রায়হান জানান, ওয়ালটন প্লাজা ব্যবসার পাশাপাশি সর্বদা বিভিন্ন সামাজিক ও আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রয়োজনে তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় ওয়ালটন প্লাজা। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে চলমান ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’র আওতায় ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবারকে ৩২ লাখ টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। দেশব্যাপী আলোচিত জুনায়েদের পরিবারও এসব সুবিধার বাইরে নয়। আমরা যখনই শুনেছি কৃষক ইমরান মোল্লার ছেলে বিমানে চড়ার শখ থেকে এমন কান্ড ঘটিয়েছে। আমরা তার শখ পূরণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা এই ছোট্ট ছেলেটির বড় স্বপ্ন অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দিতে চাইনি। ওর এই বড় স্বপ্ন দেখতে পারার সক্ষমতা চলমান থাকুক। স্বপ্ন পূরণে ওর সঙ্গী হতে পেরে আমরা গর্বিত।

কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর শিশু জুনায়েদ মোল্লাকে ফুলের তোড়া উপহার দিচ্ছেন ওয়ালটন প্লাজার কর্মকর্তাগণ।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জুনায়েদের কৃষক বাবা ইমরান মোল্লা জানান, তার ছেলে আকাশে কোনো বিমান উড়ে যাচ্ছে দেখলে আনমনা হয়ে যেতো। কি ভাবতো সে-ই জানে। তার ছেলের বিমানে চড়ার স্বপ্ন পূরণ করায় ওয়ালটন প্লাজা কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ। জুনায়েদের স্বপ্ন এখন পাইলট হওয়ার। তার সেই স্বপ্ন পূরণে সবার দোয়া ও সহযোগিতা প্রার্থনা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়াই উঠে পড়েছিল জুনায়েদ নামের ওই শিশুটি। পরে জানা যায় বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েই এই কান্ড ঘটিয়েছে জুনায়েদ। এরপর থেকেই আলোচনায় রয়েছে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের এই শিশুটি। পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চায় জুনায়েদ এবং সেই শখ থেকে বিমানে চড়ার ইচ্ছা তার- এমনটি নিজেই গণমাধ্যমকে জানায় সে।

ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে ওয়ালটনের একটি রাইস কুকার কেনেন জুনায়েদের কৃষক বাবা ইমরান মোল্লা। এরই ধারাবাহিকতায় কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষারনীতির আওতায় কৃষক বাবার শখ পূরণ করতে এগিয়ে আসে ওয়ালটন প্লাজা কতৃপক্ষ।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

শিশু জুনায়েদের আকাশে উড়ার ‘স্বপ্ন পূরণ’ করলো ওয়ালটন প্লাজা

আপডেট: ০৭:৩১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভিসা ও পাসপোর্ট ছাড়া নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানের আসন পর্যন্ত যেতে পারলেও আকাশ থেকে পাখির চোখে পৃথিবী দেখার সুযোগ হয়নি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার শিশু জুনায়েদ মোল্লার। এবার এই শিশুর স্বপ্ন পূরণে সঙ্গী হয়েছে। দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বিক্রয় ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজা। প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা থেকে বিমানে করে পর্যটন শহর কক্সবাজার এসে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে শিশু জুনায়েদ মোল্লার। ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’র আওতায় সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জুনায়েদের স্বপ্ন পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে চড়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় জুনায়েদ। এরপর কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে রাখা হয় তাকে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিমানে চড়ে কক্সবাজার পৌঁছানোর আনন্দে উচ্ছ্বাসিত শিশু জুনায়েদ বলেন, “নিরাপত্তা পেরিয়ে বিমানে উঠেছিলাম। কিন্তু আকাশে উড়তে পারিনি। অবশেষে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। তারা ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বিমানে করে নিয়ে আসলেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রায়হান জানান, ওয়ালটন প্লাজা ব্যবসার পাশাপাশি সর্বদা বিভিন্ন সামাজিক ও আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রয়োজনে তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় ওয়ালটন প্লাজা। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে চলমান ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’র আওতায় ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবারকে ৩২ লাখ টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। দেশব্যাপী আলোচিত জুনায়েদের পরিবারও এসব সুবিধার বাইরে নয়। আমরা যখনই শুনেছি কৃষক ইমরান মোল্লার ছেলে বিমানে চড়ার শখ থেকে এমন কান্ড ঘটিয়েছে। আমরা তার শখ পূরণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা এই ছোট্ট ছেলেটির বড় স্বপ্ন অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দিতে চাইনি। ওর এই বড় স্বপ্ন দেখতে পারার সক্ষমতা চলমান থাকুক। স্বপ্ন পূরণে ওর সঙ্গী হতে পেরে আমরা গর্বিত।

কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর শিশু জুনায়েদ মোল্লাকে ফুলের তোড়া উপহার দিচ্ছেন ওয়ালটন প্লাজার কর্মকর্তাগণ।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জুনায়েদের কৃষক বাবা ইমরান মোল্লা জানান, তার ছেলে আকাশে কোনো বিমান উড়ে যাচ্ছে দেখলে আনমনা হয়ে যেতো। কি ভাবতো সে-ই জানে। তার ছেলের বিমানে চড়ার স্বপ্ন পূরণ করায় ওয়ালটন প্লাজা কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ। জুনায়েদের স্বপ্ন এখন পাইলট হওয়ার। তার সেই স্বপ্ন পূরণে সবার দোয়া ও সহযোগিতা প্রার্থনা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়াই উঠে পড়েছিল জুনায়েদ নামের ওই শিশুটি। পরে জানা যায় বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েই এই কান্ড ঘটিয়েছে জুনায়েদ। এরপর থেকেই আলোচনায় রয়েছে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের এই শিশুটি। পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চায় জুনায়েদ এবং সেই শখ থেকে বিমানে চড়ার ইচ্ছা তার- এমনটি নিজেই গণমাধ্যমকে জানায় সে।

ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে ওয়ালটনের একটি রাইস কুকার কেনেন জুনায়েদের কৃষক বাবা ইমরান মোল্লা। এরই ধারাবাহিকতায় কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষারনীতির আওতায় কৃষক বাবার শখ পূরণ করতে এগিয়ে আসে ওয়ালটন প্লাজা কতৃপক্ষ।

ঢাকা/টিএ