শেয়ার কারসাজিতে সাকিব-হিরোসহ ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৩১ কোটি টাকা জরিমানা

- আপডেট: ১১:০৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
- / ১০৪৭৬ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজারে শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে মূল্য বাড়িয়ে বিপুল মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জাতীয় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ ১৪ ব্যক্তি ও ৪ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বিএসইসির তদন্তে প্রমাণ মিলেছে, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়। কারসাজিতে মূল ভূমিকা রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক ও শেয়ার ব্যবসায়ী আবুল খায়ের হিরু। তিনি একাধিক বিও হিসাব ব্যবহার করে সিরিজ ট্রেডিং ও কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে শেয়ারের মূল্য বাড়ান এবং সাকিব আল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো এর মাধ্যমে বড় অঙ্কের মুনাফা করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কারসাজির সময় সোনালী পেপারের শেয়ারের দাম ৩৭৮.২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬৭৯.৪০ টাকায় পৌঁছে, যা ৭৯.৬১ শতাংশ বৃদ্ধি। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এই কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধি করা হয় এবং পরে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে মোটা অঙ্কের লাভ তুলে নেন অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: আইপিও দুর্নীতি, বিএসইসিতে দুদকের অভিযান
বিএসইসি জানিয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে সাকিব, হিরু ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানকে মোট ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, পাশাপাশি তাকে বিএসইসির শুভেচ্ছাদূতের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, পুঁজিবাজারে আরেকটি কারসাজির ঘটনায় প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে অনিয়মের জন্য সাকিবসহ চার ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, যেখানে সাকিবের জরিমানা ছিল ৫০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, পুঁজিবাজারে কোনো ধরনের কারসাজি ও অনিয়ম বরদাশত করা হবে না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/এসএইচ