০২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

শ্যামপুর সুগারের পর্ষদকে বিএসইসির তলব

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:০৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৪২৫৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

দিন দিন লোকসানের পাল্লা ভারি হওয়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান শ্যামপুর সুগার মিলসের পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তলব করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

আগামী বুধবার (২৯ মার্চ) বিএসইসির সঙ্গে শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, অপারেটিং পারফরম্যান্সের অবনতির কারণে কোম্পানিটি ব্যাপক পুঞ্জীভূত লোকসানের পাশাপাশি নেতিবাচক ইকুইটিতে রয়েছে। যা বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ ও ক্ষতি বৃদ্ধি করছে। তাই আগামী ২৯ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনের সভা কক্ষে কোম্পানির পর্ষদের সদস্যদের সাথে ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) এবং কোম্পানি সচিবকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিটির যন্ত্রাংশ অনেক পুরনো হয়ে গেছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আখ থেকে রস ও চিনি আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে লোকসান বেড়েই চলেছে। তবে মিলটির অব্যবহৃত জমির পরিমাণ অনেক। এই জমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে কিছু বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মিলটির জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে কোম্পানিটিকে লাভজনক করা সম্ভব বলে মনে করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তবে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে না পারায় বড় ধরনের আর্থিক দৈন্যদশায় পড়েছে কোম্পানিটি।

উল্ল্যখ্য, ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির মূলধন ৫ কোটি টাকা। বর্তমানে সরকারের হাতে ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.৮৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৮.১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আরও পড়ুন: বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে চার’শ কোটি টাকা

লোকসানে থাকলেও কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ছে রকেট গতিতে। গত ১ মার্চ কোম্পানিটির দর ছিল ৬৩ টাকা ১০ পয়সা। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৯৬.৫০ টাকায়। ১৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জেকে (ডিএসই) কোম্পানিটি গত ১৪ মার্চ জানায় অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ার কারণ জানেনা।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটি ২০২১ ও ২০২২ সালে বিনিয়োগকারীদের কোন ডিভিডেন্ড দেয়নি। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২২-ডিসেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭ টাকা ৩৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১১৯৪ টাকা ২৬ পয়সা।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

শ্যামপুর সুগারের পর্ষদকে বিএসইসির তলব

আপডেট: ০৩:০৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

দিন দিন লোকসানের পাল্লা ভারি হওয়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান শ্যামপুর সুগার মিলসের পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তলব করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

আগামী বুধবার (২৯ মার্চ) বিএসইসির সঙ্গে শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, অপারেটিং পারফরম্যান্সের অবনতির কারণে কোম্পানিটি ব্যাপক পুঞ্জীভূত লোকসানের পাশাপাশি নেতিবাচক ইকুইটিতে রয়েছে। যা বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ ও ক্ষতি বৃদ্ধি করছে। তাই আগামী ২৯ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনের সভা কক্ষে কোম্পানির পর্ষদের সদস্যদের সাথে ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) এবং কোম্পানি সচিবকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিটির যন্ত্রাংশ অনেক পুরনো হয়ে গেছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আখ থেকে রস ও চিনি আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে লোকসান বেড়েই চলেছে। তবে মিলটির অব্যবহৃত জমির পরিমাণ অনেক। এই জমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে কিছু বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মিলটির জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে কোম্পানিটিকে লাভজনক করা সম্ভব বলে মনে করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তবে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে না পারায় বড় ধরনের আর্থিক দৈন্যদশায় পড়েছে কোম্পানিটি।

উল্ল্যখ্য, ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির মূলধন ৫ কোটি টাকা। বর্তমানে সরকারের হাতে ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.৮৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৮.১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আরও পড়ুন: বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে চার’শ কোটি টাকা

লোকসানে থাকলেও কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ছে রকেট গতিতে। গত ১ মার্চ কোম্পানিটির দর ছিল ৬৩ টাকা ১০ পয়সা। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৯৬.৫০ টাকায়। ১৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জেকে (ডিএসই) কোম্পানিটি গত ১৪ মার্চ জানায় অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ার কারণ জানেনা।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটি ২০২১ ও ২০২২ সালে বিনিয়োগকারীদের কোন ডিভিডেন্ড দেয়নি। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২২-ডিসেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭ টাকা ৩৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১১৯৪ টাকা ২৬ পয়সা।

ঢাকা/এসএ