১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

সংরক্ষণ নয়, টিকার প্রথম ডোজই চলবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১০৩৯৫ বার দেখা হয়েছে

করোনাভাইরাসের টিকা দ্বিতীয় ডোজের জন্য সংরক্ষণ না করে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রথম ডোজ দেওয়া চালিয়ে যেতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সারাদেশে চলমান টিকাদান কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে জানানো যাচ্ছে যে, চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত নির্দেশ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

নির্দেশগুলো হলো
১. বিতরণ করা সব টিকা ২য় ডোজের জন্য সংরক্ষণ না করে ১ম ডোজ হিসেবে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। নিবন্ধন ও ১ম ডোজের টিকা দেওয়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।

২. কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম (১ম) ডোজ দেওয়ার চার সপ্তাহের পরিবর্তে আট (৮) সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে।

এর আগে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনে আয়োজিত এক সভায় টিকাদান পরিকল্পনায় সরকার কিছু পরিবর্তনের বিষয়ে উল্লেখ করেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর।

তিনি জানান, শুরুর ধাপে ৬০ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে। ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান শুরু হওয়ার আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের হাতে ৭০ লাখ টিকা আছে। এই টিকা দুই ডোজ করে ৩৫ লাখ মানুষকে দেওয়া হবে। টিকার পরবর্তী চালান আসা নিশ্চিত হওয়ায় সরকার টিকা প্রয়োগ পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনেছে বলে জানান আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০ লাখ টিকা আসবে ভারত থেকে। এ ছাড়া বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে দেশের ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা দেওয়ার কথা ছিল। কোভ্যাক্স এখন দেশের ২৭ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা পাঠানোর কথা বলছে।

এ এস এম আলমগীর বলেন, দেশে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৪৮ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি। প্রতিবেশী দেশ ভারতও তার ১ শতাংশ মানুষকে এখনো টিকার আওতায় আনতে পারেনি।

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

সংরক্ষণ নয়, টিকার প্রথম ডোজই চলবে

আপডেট: ০৫:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

করোনাভাইরাসের টিকা দ্বিতীয় ডোজের জন্য সংরক্ষণ না করে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রথম ডোজ দেওয়া চালিয়ে যেতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সারাদেশে চলমান টিকাদান কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে জানানো যাচ্ছে যে, চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত নির্দেশ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

নির্দেশগুলো হলো
১. বিতরণ করা সব টিকা ২য় ডোজের জন্য সংরক্ষণ না করে ১ম ডোজ হিসেবে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। নিবন্ধন ও ১ম ডোজের টিকা দেওয়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।

২. কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম (১ম) ডোজ দেওয়ার চার সপ্তাহের পরিবর্তে আট (৮) সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে।

এর আগে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনে আয়োজিত এক সভায় টিকাদান পরিকল্পনায় সরকার কিছু পরিবর্তনের বিষয়ে উল্লেখ করেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর।

তিনি জানান, শুরুর ধাপে ৬০ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে। ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান শুরু হওয়ার আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের হাতে ৭০ লাখ টিকা আছে। এই টিকা দুই ডোজ করে ৩৫ লাখ মানুষকে দেওয়া হবে। টিকার পরবর্তী চালান আসা নিশ্চিত হওয়ায় সরকার টিকা প্রয়োগ পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনেছে বলে জানান আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০ লাখ টিকা আসবে ভারত থেকে। এ ছাড়া বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে দেশের ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা দেওয়ার কথা ছিল। কোভ্যাক্স এখন দেশের ২৭ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা পাঠানোর কথা বলছে।

এ এস এম আলমগীর বলেন, দেশে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৪৮ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি। প্রতিবেশী দেশ ভারতও তার ১ শতাংশ মানুষকে এখনো টিকার আওতায় আনতে পারেনি।

 

আরও পড়ুন: