১০:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সঞ্চয়পত্রে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে রিটার্ন বাধ্যতামূলক নয়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • / ১০৩১৩ বার দেখা হয়েছে

সরকার জাতীয় সঞ্চয়পত্রে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেট থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এখন থেকে টিআইএন না থাকলেও, কিংবা রিটার্ন না জমা দিলেও একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে সহজ করবে এবং সাধারণ মানুষের জন্য সঞ্চয়কে আরও সহজলভ্য ও উৎসাহব্যঞ্জক করে তুলবে।

সূত্র জানায়, সরকার চায় জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ সাধারণ মানুষের কাছে আরও সহজ করে তুলতে। এ লক্ষ্যে চলতি জুলাই মাস থেকে ব্যাংক ও সঞ্চয় কার্যালয়গুলোতে নতুন নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। এখন যারা আয়কর রিটার্ন জমা দেন না বা বাধ্যতামূলকভাবে টিআইএন গ্রহণ করেননি, তারাও পরিবার সঞ্চয়পত্র, বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিংবা পেনশনার সঞ্চয়পত্রে নির্ধারিত সীমার মধ্যে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বিশেষ করে নারীদের জন্য এই সিদ্ধান্ত স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আগে পরিবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে টিআইএন ও রিটার্ন বাধ্যতামূলক থাকায় অনেক গৃহিণী বা অনিয়মিত আয়ধারী নারী বিনিয়োগ থেকে পিছিয়ে যেতেন। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে তারা এখন বিনিয়োগে আগ্রহী হতে পারবেন।

আরও পড়ুন: আশা করছি শুল্ক কিছুটা কমে আসবে: অর্থ উপদেষ্টা

এদিকে, চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মেয়াদে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১.৮৩ শতাংশ এবং পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১১.৯৩ শতাংশ। তবে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার কিছুটা কমে ১১.৮০ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ সাধারণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা বাড়াবে এবং অর্থনীতির সঙ্গে আরও বেশি জনগণকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে। বিনিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেও সরকার এ ধরনের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

সঞ্চয়পত্রে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে রিটার্ন বাধ্যতামূলক নয়

আপডেট: ০৭:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

সরকার জাতীয় সঞ্চয়পত্রে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেট থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এখন থেকে টিআইএন না থাকলেও, কিংবা রিটার্ন না জমা দিলেও একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে সহজ করবে এবং সাধারণ মানুষের জন্য সঞ্চয়কে আরও সহজলভ্য ও উৎসাহব্যঞ্জক করে তুলবে।

সূত্র জানায়, সরকার চায় জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ সাধারণ মানুষের কাছে আরও সহজ করে তুলতে। এ লক্ষ্যে চলতি জুলাই মাস থেকে ব্যাংক ও সঞ্চয় কার্যালয়গুলোতে নতুন নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। এখন যারা আয়কর রিটার্ন জমা দেন না বা বাধ্যতামূলকভাবে টিআইএন গ্রহণ করেননি, তারাও পরিবার সঞ্চয়পত্র, বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিংবা পেনশনার সঞ্চয়পত্রে নির্ধারিত সীমার মধ্যে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বিশেষ করে নারীদের জন্য এই সিদ্ধান্ত স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আগে পরিবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে টিআইএন ও রিটার্ন বাধ্যতামূলক থাকায় অনেক গৃহিণী বা অনিয়মিত আয়ধারী নারী বিনিয়োগ থেকে পিছিয়ে যেতেন। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে তারা এখন বিনিয়োগে আগ্রহী হতে পারবেন।

আরও পড়ুন: আশা করছি শুল্ক কিছুটা কমে আসবে: অর্থ উপদেষ্টা

এদিকে, চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মেয়াদে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১.৮৩ শতাংশ এবং পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১১.৯৩ শতাংশ। তবে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার কিছুটা কমে ১১.৮০ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ সাধারণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা বাড়াবে এবং অর্থনীতির সঙ্গে আরও বেশি জনগণকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে। বিনিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেও সরকার এ ধরনের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

ঢাকা/এসএইচ