০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার সহ্য করা হবে না: আইনমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪১৬৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিকদের ওপরে কোনো অত্যাচার হোক, সেটা সরকার সহ্য করবে না। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা অভিযোগ করলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকায় কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি করে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, একমাসের মধ্যে এ অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে এবং সেখানে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখবেন।

এর আগে তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি, আমাদের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোর ঠিকানা ছিল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলের পুরাতন, জীর্ণ কিংবা পরিত্যক্ত কোনো সরকারি ভবন। অনেক রেজিস্ট্রি অফিসের ভাগে জীর্ণ কিংবা পরিত্যক্ত ভবন বরাদ্দ পাওয়াটাও ছিল দুষ্কর। আর দলিল লেখক ভাইদের ঠিকানা ছিল মাথার উপরে টিনের শেড এবং নিচে মাটি, খুব ভালো হলে অর্ধপাকা মেঝে। তাদের ঘরে বেড়া ছিল না বললেই চলে। এই অবস্থাতেই তারা মেঝেতে পাটি বিছিয়ে সেখানে বসেই অনেক কষ্টে আমাদের দলিল লিখে দিয়েছেন। 

আনিসুল হক বলেন, শুধু অবকাঠামো সমস্যা নয়, রেজিস্ট্রি অফিসগুলো নানা ধরনের সমস্যায় জর্জড়িত ছিল। দলিল নকল করার জন্য বালাম বহি ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। ফলে মূল দলিল ফেরত পাওয়ার জন্য আমাদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হতো। নকলনবিশদের পারিশ্রমিক পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরনা দিতে হতো। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। সময়মতো নিয়োগ না দেওয়ায় অনেক পদ শূন্য থাকত। সবমিলিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও ছিল চরম হতাশা।

তিনি বিশ্বাস করেন, অবহেলিত অবস্থাকে পেছনে ফেলে বিগত প্রায় সাড়ে সাত বছরে নিবন্ধন অধিদপ্তর অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যেও দূর হয়েছে হতাশা। কারণ বিগত প্রায় সাড়ে সাত বছরে নিবন্ধন অধিদপ্তরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনয়ন করা হয়েছে। ঢাকার কালামপুরে নবনির্মিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন এর অন্যতম উদাহরণ। 

নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ্ উদ্দীন আহাম্মদ, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভাস্কর দেবনাথ, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মালেক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরো পড়ুন: দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার সহ্য করা হবে না: আইনমন্ত্রী

আপডেট: ০৬:৪৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিকদের ওপরে কোনো অত্যাচার হোক, সেটা সরকার সহ্য করবে না। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা অভিযোগ করলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকায় কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি করে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, একমাসের মধ্যে এ অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে এবং সেখানে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখবেন।

এর আগে তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি, আমাদের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোর ঠিকানা ছিল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলের পুরাতন, জীর্ণ কিংবা পরিত্যক্ত কোনো সরকারি ভবন। অনেক রেজিস্ট্রি অফিসের ভাগে জীর্ণ কিংবা পরিত্যক্ত ভবন বরাদ্দ পাওয়াটাও ছিল দুষ্কর। আর দলিল লেখক ভাইদের ঠিকানা ছিল মাথার উপরে টিনের শেড এবং নিচে মাটি, খুব ভালো হলে অর্ধপাকা মেঝে। তাদের ঘরে বেড়া ছিল না বললেই চলে। এই অবস্থাতেই তারা মেঝেতে পাটি বিছিয়ে সেখানে বসেই অনেক কষ্টে আমাদের দলিল লিখে দিয়েছেন। 

আনিসুল হক বলেন, শুধু অবকাঠামো সমস্যা নয়, রেজিস্ট্রি অফিসগুলো নানা ধরনের সমস্যায় জর্জড়িত ছিল। দলিল নকল করার জন্য বালাম বহি ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। ফলে মূল দলিল ফেরত পাওয়ার জন্য আমাদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হতো। নকলনবিশদের পারিশ্রমিক পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরনা দিতে হতো। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। সময়মতো নিয়োগ না দেওয়ায় অনেক পদ শূন্য থাকত। সবমিলিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও ছিল চরম হতাশা।

তিনি বিশ্বাস করেন, অবহেলিত অবস্থাকে পেছনে ফেলে বিগত প্রায় সাড়ে সাত বছরে নিবন্ধন অধিদপ্তর অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যেও দূর হয়েছে হতাশা। কারণ বিগত প্রায় সাড়ে সাত বছরে নিবন্ধন অধিদপ্তরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনয়ন করা হয়েছে। ঢাকার কালামপুরে নবনির্মিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন এর অন্যতম উদাহরণ। 

নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ্ উদ্দীন আহাম্মদ, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভাস্কর দেবনাথ, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মালেক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরো পড়ুন: দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা/এসএ