১২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

সাত দিনে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৪৬ কোটি ডলার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:২৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩
  • / ৪১৭৭ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

চলতি জুলাই মাসের প্রথম ৭ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৪৬ কোটি ৫৬ লাখ (৪৬৫ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা ধ‌রে) যার পরিমাণ ৫ হাজার ৫১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাসের শেষে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়াবে।

আজ রোববার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই পাওয়া গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

এর আগে সদ্য সমাপ্ত জুন মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। একক মাস হিসেবে এই অঙ্ক ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন দুই হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: ‘বেনামি ঋণের বোঝা ব্যবসায়ীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে’

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম দুই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো ছিল; ওই সময় ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসে। অর্থবছরে প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এবং আগস্টে আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এরপরে প্রবাসী আয় আশানুরূপ আসেনি। টানা পাঁচ মাস ২০০ কোটির ঘর ছুঁতে পারেনি রেমিট্যান্স। সেপ্টেম্বরে আসে ১৫৪ কোটি ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, জানুয়ারিতে এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার আসে।

এরপর মার্চে দুইশর ঘর ছাড়ালেও (২০২ কোটি ২৪ লাখ) এপ্রিল (১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ) ও মে (১৬৯ কোটি) মাসে হোঁচট খায় রেমিট্যান্স। সবশেষ জুনে কোরবানির ঈদের (২৯ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়) মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। ওই মাসে (জুনে) রেমিট্যান্স আসে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

দেশে দীর্ঘদিন ধরে ডলার সংকট চলছে। তবে প্রবাসী আয় বৈধপথে দেশে আনার জন্য চেষ্টা জোরদার করেছে সরকার। প্রবাসী আয়ে এখন ব্যাংকগুলো ডলারপ্রতি ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছে। সঙ্গে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ প্রবাসী আয়ে মিলছে ১১১ টাকা।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

সাত দিনে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৪৬ কোটি ডলার

আপডেট: ০৫:২৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

চলতি জুলাই মাসের প্রথম ৭ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৪৬ কোটি ৫৬ লাখ (৪৬৫ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা ধ‌রে) যার পরিমাণ ৫ হাজার ৫১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাসের শেষে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়াবে।

আজ রোববার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই পাওয়া গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

এর আগে সদ্য সমাপ্ত জুন মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। একক মাস হিসেবে এই অঙ্ক ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন দুই হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: ‘বেনামি ঋণের বোঝা ব্যবসায়ীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে’

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম দুই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো ছিল; ওই সময় ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসে। অর্থবছরে প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এবং আগস্টে আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এরপরে প্রবাসী আয় আশানুরূপ আসেনি। টানা পাঁচ মাস ২০০ কোটির ঘর ছুঁতে পারেনি রেমিট্যান্স। সেপ্টেম্বরে আসে ১৫৪ কোটি ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, জানুয়ারিতে এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার আসে।

এরপর মার্চে দুইশর ঘর ছাড়ালেও (২০২ কোটি ২৪ লাখ) এপ্রিল (১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ) ও মে (১৬৯ কোটি) মাসে হোঁচট খায় রেমিট্যান্স। সবশেষ জুনে কোরবানির ঈদের (২৯ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়) মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। ওই মাসে (জুনে) রেমিট্যান্স আসে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

দেশে দীর্ঘদিন ধরে ডলার সংকট চলছে। তবে প্রবাসী আয় বৈধপথে দেশে আনার জন্য চেষ্টা জোরদার করেছে সরকার। প্রবাসী আয়ে এখন ব্যাংকগুলো ডলারপ্রতি ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছে। সঙ্গে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ প্রবাসী আয়ে মিলছে ১১১ টাকা।

ঢাকা/টিএ