০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

সাত মাস পর ‘মৃত’ গৃহবধূকে জীবিত উদ্ধার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১
  • / ৪২০৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অপহরণ ও লাশ গুমের মামলার ৭ মাস পর গৃহবধূ ইয়াসমিন আক্তার বিথিকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী।

রোববার সকালে (৩০ মে) ঢাকা সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে বিকেলে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এর আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে ওই গৃহবধূ ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. ফরিদ উদ্দিন।

ফরিদ উদ্দিন জানান, ইয়াসমিন আক্তার বিথিকে অপহরণ ও হত্যা করে লাশ গুম করা হয়নি। ৭ মাস পর তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার চরপাতা গ্রামের গৃহবধূ বিথির স্বামী আবদুর রব ওমানে থাকেন। এ সুযোগে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এসব বিষয়ে একাধিকবার সামাজিকভাবে দুই পরিবারের মধ্যে সালিশি বৈঠকও হয়। এর জের ধরে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিকেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে ইয়াসমিন আক্তার বিথি কাউকে কিছু না বলে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এর পরের দিন রায়পুর থানায় গৃহবধূর শ্বশুর আবদুল কাদের একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার একমাস পর গত (১৯ নভেম্বর) গৃহবধূ বিথির বাবা বাবুল মিয়া বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ( রায়পুর-১) আদালতে অপহরণ ও তার লাশ গুমের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় শ্বশুর আবদুল কাদের, শাশুড়ি খুকি বেগম, আবদুল কাদেরের মেয়ের জামাতা আক্তার হোসেন ও বিনু আক্তারসহ ৪জনকে আসামি করা হয়। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) নোয়াখালীকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।  

আদালত প্রাঙ্গনে কান্নাজড়িত কন্ঠে আবদুর কাদের বলেন, কি অপরাধে আমার বিরুদ্ধে এই অপহরণ ও লাশ গুমের মামলা।  এ মামলার কারণে দীর্ঘ ৭ মাস ঘরে ঘুমাতে পারিনি। অর্থ ও সম্মান সব গেলো।  বিথির বাবা বাবুল, মা হাসিনা ও জ্যাঠা সৈয়দ আহমদের ইন্ধনে এ মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে এ মামলা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন তিনি।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

সাত মাস পর ‘মৃত’ গৃহবধূকে জীবিত উদ্ধার

আপডেট: ১২:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অপহরণ ও লাশ গুমের মামলার ৭ মাস পর গৃহবধূ ইয়াসমিন আক্তার বিথিকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী।

রোববার সকালে (৩০ মে) ঢাকা সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে বিকেলে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এর আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে ওই গৃহবধূ ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. ফরিদ উদ্দিন।

ফরিদ উদ্দিন জানান, ইয়াসমিন আক্তার বিথিকে অপহরণ ও হত্যা করে লাশ গুম করা হয়নি। ৭ মাস পর তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার চরপাতা গ্রামের গৃহবধূ বিথির স্বামী আবদুর রব ওমানে থাকেন। এ সুযোগে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এসব বিষয়ে একাধিকবার সামাজিকভাবে দুই পরিবারের মধ্যে সালিশি বৈঠকও হয়। এর জের ধরে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিকেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে ইয়াসমিন আক্তার বিথি কাউকে কিছু না বলে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এর পরের দিন রায়পুর থানায় গৃহবধূর শ্বশুর আবদুল কাদের একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার একমাস পর গত (১৯ নভেম্বর) গৃহবধূ বিথির বাবা বাবুল মিয়া বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ( রায়পুর-১) আদালতে অপহরণ ও তার লাশ গুমের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় শ্বশুর আবদুল কাদের, শাশুড়ি খুকি বেগম, আবদুল কাদেরের মেয়ের জামাতা আক্তার হোসেন ও বিনু আক্তারসহ ৪জনকে আসামি করা হয়। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) নোয়াখালীকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।  

আদালত প্রাঙ্গনে কান্নাজড়িত কন্ঠে আবদুর কাদের বলেন, কি অপরাধে আমার বিরুদ্ধে এই অপহরণ ও লাশ গুমের মামলা।  এ মামলার কারণে দীর্ঘ ৭ মাস ঘরে ঘুমাতে পারিনি। অর্থ ও সম্মান সব গেলো।  বিথির বাবা বাবুল, মা হাসিনা ও জ্যাঠা সৈয়দ আহমদের ইন্ধনে এ মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে এ মামলা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন তিনি।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: