০১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

সিএমএসএফ ইস্যুতে উপেক্ষিত বিএসইসির নির্দেশনা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:০৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪১৭৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট দূরীকরণ লক্ষে বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের অবণ্টিত বা অদাবিকৃত ডিভিডেন্ডের সমন্বয়ে গঠন করে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)। কিন্তু সিএমএসএফ ইস্যুতে কোম্পানিগুলো বারবার বিএসইসির নির্দেশনা উপেক্ষা করছে। পরিণতিতে ফান্ড গঠনের এক বছরের বেশি সময় পার হলেও নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি ফান্ডটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ফান্ডটির আকার ২০ হাজার কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু ফান্ডটিতে গত এক বছরে মাত্র ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। যা লক্ষ্যের ৫০ শতাংশের মত। কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সিএমএসএফে নগদ অর্থ ও শেয়ার জমাদানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া যায়নি। সিএমএসএফের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ম্যানেজমেন্ট কমিটি (এএএমসি) ও বিএসইসি কোম্পানিগুলোর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের দেওয়া নির্দশনা অনুযায়ী গত ৩১ জুলাই কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডগুলোর অবণ্টিত ডিভিডেন্ড প্রদানের সর্বশেষ সময়সীমা শেষ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সিএমএসএফে ক্যাশ ডিভিডেন্ড বাবদ এসেছে ৪৮০ কোটি টাকা। আর স্টক ডিভিডেন্ড বাবদ এসেছে ৬৬০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ড বাবদ সর্বমোট ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা সিএমএসএফে জমা হয়েছে। এরমধ্যে স্টক ডিভিডেন্ড বাবদ ৪ কোটি শেয়ারের বর্তমান বাজার দর ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বলে রাখা ভালো যে, ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকার মধ্যে ২২৫ কোটি টাকা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আর গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের দাবি নিষ্পত্তি এই সিএমএসএফের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। 

ফান্ডটির কার্যক্রম শুরুর পর থেকে অবন্টিত বা অদাবিকৃত ডিভিডেন্ডের মধ্যে দাবি করা ৮০ শতাংশ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে সিএমএসএফে পরিচালনা পর্ষদ বৈঠক করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সে হিসেবে দাবি নিষ্পত্তি করার পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি টাকা।

সূত্রে জানা গেছে, যেসব কোম্পানি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সিএমএসএফে লভ্যাংশ স্থানান্তর করেনি তাদের কাছে এর কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ব্যাখ্যা সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ সারংক্ষেপ প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এখনও কি পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ চিহ্নিত করা হয়নি এবং ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ড পৃথকভাবে ভাগ করার জন্য সিএমএসএফকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

সম্প্রতি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের চিফ অব অপারেশনের (সিওও) কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বিএসইসির চিঠি পাওয়ার পরপরই যেসব কোম্পানি এখনও তাদের কাছে রক্ষিত অবন্টিত বা অদাবিকৃত ডিভিডেন্ড  জমা দেয়নি তাদেরকে চিঠি দিয়েছে সিএমএসএফ। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কোম্পানি ওই চিঠির জবাবে ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। তবে কিছু কোম্পানি সিএমএসএফর চিঠির জবাব এখনও দেয়নি। আর কিছু কোম্পানি শিগগিরই চিঠির জবাব দেবে বলে জানিয়েছে। ওই কোম্পানিগুলোর প্রদান করা ব্যাখ্যা একত্রিত করে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ প্রতিবেদন আকারে বিএসইসিতে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমএসএফের চিফ অব অপারেশন ও অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সিএমএসএফের এ পর্যন্ত ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ড বাবদ সর্বমোট ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা সিএমএসএফে জমা হয়েছে। এর মধ্যে ক্যাশ ডিভিডেন্ড বাবদ এসেছে ৪৮০ কোটি টাকা। আর স্টক ডিভিডেন্ড বাবদ এসেছে ৬৬০ কোটি টাকা। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ আগস্ট পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও তারল্য সংকট দূর করতে ২০ হাজার কোটি টাকার ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ১১ সদস্যের বোর্ড অব গভর্নস অনুমোদন দেয় বিএসইসি। এ বোর্ড অব গভর্নসের মধ্যে চারটি পদ বিএসইসি কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে একটি চেয়ারম্যান পদ ও বাকি তিনটি সদস্য পদ।

ফান্ডটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিন জন সদস্য হলেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ তানজিলা দীপ্তি ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। 

সিএমএসএফের বোর্ড অব গভর্নসের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিক আমিন ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) স্বতন্ত্র পরিচালক এ কে এম নুরুল ফজলে বাবুল, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) পরিচালক ড. মোহাম্মদ তারেক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম জে চৌধুরী, দি ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সদস্য এ কে এম দেলোয়ার হোসেন। এছাড়া চিফ অব অপারেশন হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মনোয়ার হোসেনকে মনোনয় দেয় বিএসইসি।

আরো পড়ুন: অবণ্টিত ডিভিডেন্ড সিএমএসএফে স্থানান্তর না করার ব্যাখ্যা তলব

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

সিএমএসএফ ইস্যুতে উপেক্ষিত বিএসইসির নির্দেশনা

আপডেট: ০৫:০৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট দূরীকরণ লক্ষে বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের অবণ্টিত বা অদাবিকৃত ডিভিডেন্ডের সমন্বয়ে গঠন করে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)। কিন্তু সিএমএসএফ ইস্যুতে কোম্পানিগুলো বারবার বিএসইসির নির্দেশনা উপেক্ষা করছে। পরিণতিতে ফান্ড গঠনের এক বছরের বেশি সময় পার হলেও নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি ফান্ডটি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ফান্ডটির আকার ২০ হাজার কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু ফান্ডটিতে গত এক বছরে মাত্র ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। যা লক্ষ্যের ৫০ শতাংশের মত। কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সিএমএসএফে নগদ অর্থ ও শেয়ার জমাদানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া যায়নি। সিএমএসএফের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ম্যানেজমেন্ট কমিটি (এএএমসি) ও বিএসইসি কোম্পানিগুলোর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের দেওয়া নির্দশনা অনুযায়ী গত ৩১ জুলাই কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডগুলোর অবণ্টিত ডিভিডেন্ড প্রদানের সর্বশেষ সময়সীমা শেষ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সিএমএসএফে ক্যাশ ডিভিডেন্ড বাবদ এসেছে ৪৮০ কোটি টাকা। আর স্টক ডিভিডেন্ড বাবদ এসেছে ৬৬০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ড বাবদ সর্বমোট ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা সিএমএসএফে জমা হয়েছে। এরমধ্যে স্টক ডিভিডেন্ড বাবদ ৪ কোটি শেয়ারের বর্তমান বাজার দর ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বলে রাখা ভালো যে, ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকার মধ্যে ২২৫ কোটি টাকা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আর গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের দাবি নিষ্পত্তি এই সিএমএসএফের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। 

ফান্ডটির কার্যক্রম শুরুর পর থেকে অবন্টিত বা অদাবিকৃত ডিভিডেন্ডের মধ্যে দাবি করা ৮০ শতাংশ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে সিএমএসএফে পরিচালনা পর্ষদ বৈঠক করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সে হিসেবে দাবি নিষ্পত্তি করার পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি টাকা।

সূত্রে জানা গেছে, যেসব কোম্পানি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সিএমএসএফে লভ্যাংশ স্থানান্তর করেনি তাদের কাছে এর কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ব্যাখ্যা সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ সারংক্ষেপ প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এখনও কি পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ চিহ্নিত করা হয়নি এবং ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ড পৃথকভাবে ভাগ করার জন্য সিএমএসএফকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

সম্প্রতি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের চিফ অব অপারেশনের (সিওও) কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বিএসইসির চিঠি পাওয়ার পরপরই যেসব কোম্পানি এখনও তাদের কাছে রক্ষিত অবন্টিত বা অদাবিকৃত ডিভিডেন্ড  জমা দেয়নি তাদেরকে চিঠি দিয়েছে সিএমএসএফ। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কোম্পানি ওই চিঠির জবাবে ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। তবে কিছু কোম্পানি সিএমএসএফর চিঠির জবাব এখনও দেয়নি। আর কিছু কোম্পানি শিগগিরই চিঠির জবাব দেবে বলে জানিয়েছে। ওই কোম্পানিগুলোর প্রদান করা ব্যাখ্যা একত্রিত করে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ প্রতিবেদন আকারে বিএসইসিতে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমএসএফের চিফ অব অপারেশন ও অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সিএমএসএফের এ পর্যন্ত ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ড বাবদ সর্বমোট ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা সিএমএসএফে জমা হয়েছে। এর মধ্যে ক্যাশ ডিভিডেন্ড বাবদ এসেছে ৪৮০ কোটি টাকা। আর স্টক ডিভিডেন্ড বাবদ এসেছে ৬৬০ কোটি টাকা। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ আগস্ট পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও তারল্য সংকট দূর করতে ২০ হাজার কোটি টাকার ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ১১ সদস্যের বোর্ড অব গভর্নস অনুমোদন দেয় বিএসইসি। এ বোর্ড অব গভর্নসের মধ্যে চারটি পদ বিএসইসি কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে একটি চেয়ারম্যান পদ ও বাকি তিনটি সদস্য পদ।

ফান্ডটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিন জন সদস্য হলেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ তানজিলা দীপ্তি ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। 

সিএমএসএফের বোর্ড অব গভর্নসের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিক আমিন ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) স্বতন্ত্র পরিচালক এ কে এম নুরুল ফজলে বাবুল, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) পরিচালক ড. মোহাম্মদ তারেক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম জে চৌধুরী, দি ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সদস্য এ কে এম দেলোয়ার হোসেন। এছাড়া চিফ অব অপারেশন হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মনোয়ার হোসেনকে মনোনয় দেয় বিএসইসি।

আরো পড়ুন: অবণ্টিত ডিভিডেন্ড সিএমএসএফে স্থানান্তর না করার ব্যাখ্যা তলব

ঢাকা/এসএ