০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

সিঙ্গাপুরে লাইফ সাপোর্টে সেব্রিনা ফ্লোরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪১৭৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। তার বর্তমান অবস্থা অনেকটাই সঙ্কটাপন্ন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সমকালকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গত মাসে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় এ মাসের শুরুর দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানেই তার অস্ত্রোপচার হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার অগ্নাশয় এবং পিত্তনালী দুটো একসঙ্গে যুক্ত হয়ে খাদ্যনালীর ভেতরে ঢুকেছে। এই পিত্তরস এবং অগ্নাশয়ের রস একসঙ্গে খাবারের সঙ্গে মিশে হজমে সাহায্য করে। অগ্নাশয় এবং পিত্তনালীর রস যে পথে আসে তা সরু হয়ে গিয়েছিল। ফলে পিত্ত জমা হয়ে থাকছিল, জন্ডিস দেখা দিয়েছিল। এছাড়া পিত্তরসে অনেক ব্যাকটেরিয়া থাকে, ফলে কোলানজাইটিস হচ্ছিল। এজন্য ইআরসিপি (ওই মুখটা কেটে বড় করে দেওয়া) করা হয়েছিল। যেন পিত্তরস এবং অগ্নাশয়ের রস বাধাহীনভাবে আসতে পারে।

অস্ত্রোপচার করার পর মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার পিত্তনালী এবং অগ্নাশয়ে প্রদাহ শুরু হলে তাকে ওই হাসপাতালের এইচডিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তি থাকা অবস্থায় তার কিডনি বিকল হয়। তখন তাকে ডায়ালাইসিস করতে নিয়ে যাওয়া হয়। এটা করতে গেলে তার হার্টের সমস্যা বেড়ে যায়। হার্ট পাম্প করতে গিয়ে ফুসফুসে পানি জমে যায়। তাকে এখন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সুস্থ্যতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এদিকে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সুস্থতা কামনায় রোববার বাদ জোহর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে তার সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়েছে। এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা রোগতত্ত্ববিদ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দায়িত্ব পালনের আগে তিনি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে সংবাদ ব্রিফিং করে পরিচিতি পান আইইডিসিআরের তৎকালীন পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। ২০২০ সালের ১৩ অগাস্ট তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক করা হয়।

এই রোগতত্ত্ববিদ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ টিকাবিষয়ক কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করা ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল, নিপসমে কাজ করেছেন।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

সিঙ্গাপুরে লাইফ সাপোর্টে সেব্রিনা ফ্লোরা

আপডেট: ০৭:৩৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। তার বর্তমান অবস্থা অনেকটাই সঙ্কটাপন্ন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সমকালকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গত মাসে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় এ মাসের শুরুর দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানেই তার অস্ত্রোপচার হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার অগ্নাশয় এবং পিত্তনালী দুটো একসঙ্গে যুক্ত হয়ে খাদ্যনালীর ভেতরে ঢুকেছে। এই পিত্তরস এবং অগ্নাশয়ের রস একসঙ্গে খাবারের সঙ্গে মিশে হজমে সাহায্য করে। অগ্নাশয় এবং পিত্তনালীর রস যে পথে আসে তা সরু হয়ে গিয়েছিল। ফলে পিত্ত জমা হয়ে থাকছিল, জন্ডিস দেখা দিয়েছিল। এছাড়া পিত্তরসে অনেক ব্যাকটেরিয়া থাকে, ফলে কোলানজাইটিস হচ্ছিল। এজন্য ইআরসিপি (ওই মুখটা কেটে বড় করে দেওয়া) করা হয়েছিল। যেন পিত্তরস এবং অগ্নাশয়ের রস বাধাহীনভাবে আসতে পারে।

অস্ত্রোপচার করার পর মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার পিত্তনালী এবং অগ্নাশয়ে প্রদাহ শুরু হলে তাকে ওই হাসপাতালের এইচডিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তি থাকা অবস্থায় তার কিডনি বিকল হয়। তখন তাকে ডায়ালাইসিস করতে নিয়ে যাওয়া হয়। এটা করতে গেলে তার হার্টের সমস্যা বেড়ে যায়। হার্ট পাম্প করতে গিয়ে ফুসফুসে পানি জমে যায়। তাকে এখন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সুস্থ্যতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এদিকে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সুস্থতা কামনায় রোববার বাদ জোহর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে তার সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়েছে। এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা রোগতত্ত্ববিদ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দায়িত্ব পালনের আগে তিনি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে সংবাদ ব্রিফিং করে পরিচিতি পান আইইডিসিআরের তৎকালীন পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। ২০২০ সালের ১৩ অগাস্ট তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক করা হয়।

এই রোগতত্ত্ববিদ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ টিকাবিষয়ক কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করা ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল, নিপসমে কাজ করেছেন।

ঢাকা/এসএম