১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

সিঙ্গার বিডির ৬১৫ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধি, ৩৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৩০০ বার দেখা হয়েছে

২০২৩ সালে ৬১৫ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্রস্তুতকারী বহুজাতীক কোম্পানী সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের। নানা বিধকারণে ২০২৩ সালে ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি সার্বিক ভাবে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে না পারলেও, সিঙ্গার বিগত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য ভাবে মুনাফা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। সিঙ্গারের পরিচালনা পর্ষদ সাধারণ সভায় নিরীক্ষিত ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের জন্য ৩৫% নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গ্রস প্রফিট মার্জিন পূর্ববর্তী বছরে ২৩.০% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে ২৮.৮%-এ উন্নিতহয়েছে। কৌশল গতভাবে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, উৎপাদন-ভিত্তিক ব্যবসায়িক নীতি গ্রহণ করার ফলে সিঙ্গার এই মুনাফা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, ট্যাক্স পরবর্তী মুনাফা ২০২২ সালে ৭৩ মিলিয়ন টাকা থেকে৬১৫% বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে ৫২২ মিলিয়ন টাকায় উন্নিত হয়েছে। কোম্পানীর শেয়ারপ্রতি আয় ০.৭৩ টাকা থেকে ৫.২৪ টাকায় উন্নিত হয়েছে। নেট অপারেটিং ক্যাশফ্লো ২০২৩ সালে ২২.৭৬ টাকায় উন্নিত হয়েছে,যা ২০২২সালে ছিল১৮.১৯ টাকা।সামগ্রিক ভাবে কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ১৭ বিলিয়ন টাকা রাজস্ব অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

বছর জুড়ে ইমার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, এলসি খোলা, ক্রমবর্ধমান আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চলমান বৈশ্বিকসংকট এবং জাতীয় নির্বাচনের সময়কালীন নানাবিধ চ্যালেঞ্জ কোম্পানি সফল ভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। তাস্বত্বেও, সিঙ্গার এই বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে থাকার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি বদ্ধছিল।

বিগত বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে কোম্পানীর সামগ্রীক অর্থায়ন সংক্রান্ত ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।বিগত বছরের তুলনায় অর্থায়ন ব্যয় ২% বৃদ্ধির কারণে ২০২৩ সালে কোম্পানীর তা সংক্রান্ত ব্যয় ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে।

পরিচালনা পর্ষদ জানিয়েছেন, সিঙ্গার হোমঅ্যাপ্লায়েন্স-এরবা জারে দৃঢ়ভাবে উপস্থিত থাকবে এবং মধ্যমও দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানীর কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করবে।বৈশ্বিকদক্ষতা, ব্যবসায়িক পরিধি এবং জ্ঞান কেকাজেলাগিয়ে, সিঙ্গার বাজারে তাঁর বর্তমান শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখে ব্র্যান্ড ইমেজ বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করে যাবে।

সিঙ্গার বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কনজ্যুমার ডিউরেবলস-এর খুচরা বিক্রেতা, যার ৪৫১টি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত আউটলেট রয়েছে।কোম্পানিটির ৫৭ শতাংশ শেয়ার নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক রিটেইল হোল্ডিংস বিহোল্ডবি.ভি.-এরমালিকানাধীন, যা তুরস্কের আর্চেলিক-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।আর্চেলিক কনজ্যুমার ডিউরেবলস-এর জন্য বিশ্বব্যাপী স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান। এটি বিশ্বের ৫৩টি দেশে ১৪টি ব্র্যান্ড পরিচালনা করে এবং ১৪৭টি দেশে এর কার্যক্রম বিস্তৃত রয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ৩০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে আর্চেলিকের ২৩০০জনেরও বেশি গবেষক নিযুক্ত রয়েছে।আর্চেলিকের ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড হল বেকো (BEKO), যাইউরোপের শীর্ষ ৩টি ব্র্যান্ডের একটি৷আর্চেলিক তুরস্কের একমাত্র ফরচুন ৫০০ কোম্পানি – কচহোল্ডিংয়ের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

সিঙ্গার বিডির ৬১৫ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধি, ৩৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা

আপডেট: ০৮:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

২০২৩ সালে ৬১৫ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্রস্তুতকারী বহুজাতীক কোম্পানী সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের। নানা বিধকারণে ২০২৩ সালে ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি সার্বিক ভাবে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে না পারলেও, সিঙ্গার বিগত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য ভাবে মুনাফা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। সিঙ্গারের পরিচালনা পর্ষদ সাধারণ সভায় নিরীক্ষিত ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের জন্য ৩৫% নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গ্রস প্রফিট মার্জিন পূর্ববর্তী বছরে ২৩.০% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে ২৮.৮%-এ উন্নিতহয়েছে। কৌশল গতভাবে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, উৎপাদন-ভিত্তিক ব্যবসায়িক নীতি গ্রহণ করার ফলে সিঙ্গার এই মুনাফা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, ট্যাক্স পরবর্তী মুনাফা ২০২২ সালে ৭৩ মিলিয়ন টাকা থেকে৬১৫% বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে ৫২২ মিলিয়ন টাকায় উন্নিত হয়েছে। কোম্পানীর শেয়ারপ্রতি আয় ০.৭৩ টাকা থেকে ৫.২৪ টাকায় উন্নিত হয়েছে। নেট অপারেটিং ক্যাশফ্লো ২০২৩ সালে ২২.৭৬ টাকায় উন্নিত হয়েছে,যা ২০২২সালে ছিল১৮.১৯ টাকা।সামগ্রিক ভাবে কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ১৭ বিলিয়ন টাকা রাজস্ব অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

বছর জুড়ে ইমার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, এলসি খোলা, ক্রমবর্ধমান আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চলমান বৈশ্বিকসংকট এবং জাতীয় নির্বাচনের সময়কালীন নানাবিধ চ্যালেঞ্জ কোম্পানি সফল ভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। তাস্বত্বেও, সিঙ্গার এই বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে থাকার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি বদ্ধছিল।

বিগত বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে কোম্পানীর সামগ্রীক অর্থায়ন সংক্রান্ত ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।বিগত বছরের তুলনায় অর্থায়ন ব্যয় ২% বৃদ্ধির কারণে ২০২৩ সালে কোম্পানীর তা সংক্রান্ত ব্যয় ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে।

পরিচালনা পর্ষদ জানিয়েছেন, সিঙ্গার হোমঅ্যাপ্লায়েন্স-এরবা জারে দৃঢ়ভাবে উপস্থিত থাকবে এবং মধ্যমও দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানীর কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করবে।বৈশ্বিকদক্ষতা, ব্যবসায়িক পরিধি এবং জ্ঞান কেকাজেলাগিয়ে, সিঙ্গার বাজারে তাঁর বর্তমান শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখে ব্র্যান্ড ইমেজ বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করে যাবে।

সিঙ্গার বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কনজ্যুমার ডিউরেবলস-এর খুচরা বিক্রেতা, যার ৪৫১টি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত আউটলেট রয়েছে।কোম্পানিটির ৫৭ শতাংশ শেয়ার নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক রিটেইল হোল্ডিংস বিহোল্ডবি.ভি.-এরমালিকানাধীন, যা তুরস্কের আর্চেলিক-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।আর্চেলিক কনজ্যুমার ডিউরেবলস-এর জন্য বিশ্বব্যাপী স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান। এটি বিশ্বের ৫৩টি দেশে ১৪টি ব্র্যান্ড পরিচালনা করে এবং ১৪৭টি দেশে এর কার্যক্রম বিস্তৃত রয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ৩০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে আর্চেলিকের ২৩০০জনেরও বেশি গবেষক নিযুক্ত রয়েছে।আর্চেলিকের ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড হল বেকো (BEKO), যাইউরোপের শীর্ষ ৩টি ব্র্যান্ডের একটি৷আর্চেলিক তুরস্কের একমাত্র ফরচুন ৫০০ কোম্পানি – কচহোল্ডিংয়ের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।

ঢাকা/টিএ