০২:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

সিডিবিএলের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ: পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৩২৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

সার্ভার থেকেতথ্য  পাচার ও জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশের (সিডিবিএল) বিরুদ্ধে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসান স্বাক্ষরিত নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ৩ জুলাই ইস‍্যু করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তদন্ত কমিটির সদস্য রাখা হয়েছে ৫ জনকে। তার মধ্যে সুপারভাইজ করবেন বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার। তদন্ত কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার, উপ-পরিচালক মো. বনি ইয়ামিন খান, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন, সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপক মো. দীন ইসলাম মোল্লা।

বিএসইসির জারি করা তদন্তের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পর্যবেক্ষণ করেছে যে, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কর্মকর্তাদের সিকিউরিটিজ ট্রেডিংয়ে জড়িত থাকা, তথ্য পাচার করা এবং জাল একাডেমিক সার্টিফিকেট ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার বিষয়ে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কমিশন মনে করে যে, বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে উল্লিখিত অপরাধগুলোর বিষয়ে সিডিবিএল’র সার্বিক কর্মকাণ্ড তদন্ত করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: সরকারি বন্ড উন্নয়নে বিএসইসি’র সঙ্গে বৈঠক করবে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডিপোজিটরি আইন, ১৯৯৯ এর ধারা ১৩ এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে বিএসইসি উপরোক্ত বিষয়গুলির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আর এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিএসইসি ও ডিএসইর কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়েছে। এ তদন্ত কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবেন বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার। তদন্ত কর্মকর্তারা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ই নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে শেয়ারের তথ্য পাচার ও জাল সনদ : চাকরিচ্যুত ৬ সিন্ডিকেটে জিম্মি সিডিবিএল শীর্ষক প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

সিডিবিএলের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ: পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট: ০৭:২৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

সার্ভার থেকেতথ্য  পাচার ও জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশের (সিডিবিএল) বিরুদ্ধে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসান স্বাক্ষরিত নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ৩ জুলাই ইস‍্যু করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তদন্ত কমিটির সদস্য রাখা হয়েছে ৫ জনকে। তার মধ্যে সুপারভাইজ করবেন বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার। তদন্ত কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার, উপ-পরিচালক মো. বনি ইয়ামিন খান, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন, সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপক মো. দীন ইসলাম মোল্লা।

বিএসইসির জারি করা তদন্তের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পর্যবেক্ষণ করেছে যে, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কর্মকর্তাদের সিকিউরিটিজ ট্রেডিংয়ে জড়িত থাকা, তথ্য পাচার করা এবং জাল একাডেমিক সার্টিফিকেট ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার বিষয়ে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কমিশন মনে করে যে, বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে উল্লিখিত অপরাধগুলোর বিষয়ে সিডিবিএল’র সার্বিক কর্মকাণ্ড তদন্ত করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: সরকারি বন্ড উন্নয়নে বিএসইসি’র সঙ্গে বৈঠক করবে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডিপোজিটরি আইন, ১৯৯৯ এর ধারা ১৩ এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে বিএসইসি উপরোক্ত বিষয়গুলির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আর এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিএসইসি ও ডিএসইর কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়েছে। এ তদন্ত কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবেন বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার। তদন্ত কর্মকর্তারা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ই নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে শেয়ারের তথ্য পাচার ও জাল সনদ : চাকরিচ্যুত ৬ সিন্ডিকেটে জিম্মি সিডিবিএল শীর্ষক প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।

ঢাকা/টিএ