১০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

সিরাজগঞ্জে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচে যমুনার পানি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪১৮৪ বার দেখা হয়েছে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবারও ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে। এ কারণে ইতোমধ্যে যমুনার শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনার পানি বেড়ে বিপৎসীমার মাত্র ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে যমুনার পানি আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।  

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

এদিকে জেলার অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি, বড়ালসহ অন্যান্য নদী ও খাল-বিলের পানিও বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে যমুনার বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চলের নিম্নভূমি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। তলিয়ে যাচ্ছে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলও। একই সঙ্গে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার রোববার (১৩ আগস্ট) জানান, সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১২.৪৫ মিটার) এবং কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে  বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১৪.৮০ মিটার)।

আরও পড়ুন: বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টের পানি

দ্রুত যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপু ও চৌহালী উপজেলার অভ্যন্তরীণ চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ফসলের মাঠ তলিয়ে বসতবাড়িতেও পানি উঠছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এলাকার মানুষ।

সদর উপজেলার যমুনার চ অধ্যুষিত কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী বলেন, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চরাঞ্চেলের নিম্নভূমি ও বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়িতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় গবাদি পশু নিয়ে বিপদে রয়েছে চরাঞ্চলের মানুষেরা।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার বলেন, কয়েকদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরও ৪ থেকে ৫ দিন পানি বাড়বে। এর মধ্যে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। স্বাভাবিক প্লাবন হলেও বন্যা বা আশংকাজনক অবস্থা সৃষ্টির সম্ভাবনা কম বলে তিনি জানান।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

সিরাজগঞ্জে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচে যমুনার পানি

আপডেট: ১২:৫১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবারও ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে। এ কারণে ইতোমধ্যে যমুনার শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনার পানি বেড়ে বিপৎসীমার মাত্র ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে যমুনার পানি আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।  

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

এদিকে জেলার অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি, বড়ালসহ অন্যান্য নদী ও খাল-বিলের পানিও বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে যমুনার বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চলের নিম্নভূমি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। তলিয়ে যাচ্ছে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলও। একই সঙ্গে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার রোববার (১৩ আগস্ট) জানান, সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১২.৪৫ মিটার) এবং কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে  বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১৪.৮০ মিটার)।

আরও পড়ুন: বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টের পানি

দ্রুত যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপু ও চৌহালী উপজেলার অভ্যন্তরীণ চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ফসলের মাঠ তলিয়ে বসতবাড়িতেও পানি উঠছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এলাকার মানুষ।

সদর উপজেলার যমুনার চ অধ্যুষিত কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী বলেন, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চরাঞ্চেলের নিম্নভূমি ও বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়িতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় গবাদি পশু নিয়ে বিপদে রয়েছে চরাঞ্চলের মানুষেরা।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার বলেন, কয়েকদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরও ৪ থেকে ৫ দিন পানি বাড়বে। এর মধ্যে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। স্বাভাবিক প্লাবন হলেও বন্যা বা আশংকাজনক অবস্থা সৃষ্টির সম্ভাবনা কম বলে তিনি জানান।

ঢাকা/টিএ