০৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

সোনালী পেপারের রাইট ইস্যুর শর্ত শিথিল করেছে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫০:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪১২১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোঁনালী পেপার বোর্ড মিলস লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাইট শেয়ার ইস্যু করার জন্য নিয়ম শিথিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। নিয়ম অনুসারে কোনও কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান বোর্ডে তালিকাভুক্তির তিন বছরের মধ্যে রাইট শেয়ার ইস্যু করতে পারে না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোম্পানিগুলোকে মূলধন বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের রাইট শেয়ার প্রদান সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করার অনুমোদন দিয়েছে। এতে করে কোম্পানিটির পক্ষে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো সহজতর হবে।

এই বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, কমিশন কোম্পানিটিকে রাইট শেয়ার ইস্যু করার নিয়ম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে কোম্পানিটি ৩০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পূরণ করতে পারে।

উল্লেখ্য, সোনালী পেপার মাত্র এক বছর আগে শেয়ারবাজারে পুনরায় তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। জানা গেছে, কোম্পানিটির প্রতি শেয়ার ১০ টাকায় ১:২ অনুপাতে ( দুইটি শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার) রাইট শেয়ার ইস্যু করে তার পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে চায়।

এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির দুই অর্থবছরের (২০২০ ও ২০২১ সালের ৩০ জুন) আর্থিক প্রতিবেদন পুনরায় বিশেষ নিরীক্ষা করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষ নিরীক্ষার জন্য আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে নিয়োগ দিয়েছে বিএসইসি।

এরা আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ক্রমাগত খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবরে কোম্পানিটিকে ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে স্থানান্তর করে। এরপর ২০২০ সালের জুলাইয়ে কোম্পানিটি ওটিসি মার্কেট থেকে অব্যাহতি নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান বোর্ডে পুনরায় তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির মূল কাজ হচ্ছে মিডিয়া, লাইনার, সিমপ্লেক্স, ডুপ্লেক্স পেপারবোর্ড এবং নিউজপ্রিন্টের মতো মানসম্পন্ন কাগজের উৎপাদন ও বিপণন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

সোনালী পেপারের রাইট ইস্যুর শর্ত শিথিল করেছে বিএসইসি

আপডেট: ১০:৫০:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোঁনালী পেপার বোর্ড মিলস লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাইট শেয়ার ইস্যু করার জন্য নিয়ম শিথিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। নিয়ম অনুসারে কোনও কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান বোর্ডে তালিকাভুক্তির তিন বছরের মধ্যে রাইট শেয়ার ইস্যু করতে পারে না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোম্পানিগুলোকে মূলধন বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের রাইট শেয়ার প্রদান সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করার অনুমোদন দিয়েছে। এতে করে কোম্পানিটির পক্ষে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো সহজতর হবে।

এই বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, কমিশন কোম্পানিটিকে রাইট শেয়ার ইস্যু করার নিয়ম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে কোম্পানিটি ৩০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পূরণ করতে পারে।

উল্লেখ্য, সোনালী পেপার মাত্র এক বছর আগে শেয়ারবাজারে পুনরায় তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। জানা গেছে, কোম্পানিটির প্রতি শেয়ার ১০ টাকায় ১:২ অনুপাতে ( দুইটি শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার) রাইট শেয়ার ইস্যু করে তার পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে চায়।

এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির দুই অর্থবছরের (২০২০ ও ২০২১ সালের ৩০ জুন) আর্থিক প্রতিবেদন পুনরায় বিশেষ নিরীক্ষা করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষ নিরীক্ষার জন্য আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে নিয়োগ দিয়েছে বিএসইসি।

এরা আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ক্রমাগত খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবরে কোম্পানিটিকে ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে স্থানান্তর করে। এরপর ২০২০ সালের জুলাইয়ে কোম্পানিটি ওটিসি মার্কেট থেকে অব্যাহতি নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান বোর্ডে পুনরায় তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির মূল কাজ হচ্ছে মিডিয়া, লাইনার, সিমপ্লেক্স, ডুপ্লেক্স পেপারবোর্ড এবং নিউজপ্রিন্টের মতো মানসম্পন্ন কাগজের উৎপাদন ও বিপণন।

ঢাকা/টিএ