০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

স্বাস্থ্য বাজেটে জিডিপির তিন শতাংশ চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • / ৪১৯৮ বার দেখা হয়েছে

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সবকিছুই বন্ধ হয়ে যায়। অথচ আমরা দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ শতাংশ দিয়ে কাজ করি। আমরা যদি জিডিপির ২-৩ শতাংশ পেতাম, তাহলে তাহলে যেকোনো উন্নত দেশের চেয়ে আমরা ভালো এবং বেশি সেবা দিতে পারতাম।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নার্স ও মিডওয়াইফ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা খুব অল্প বাজেটে কাজ করি। আমাদের আশেপাশের দেশ ৩, ৪, ৮ এমনকি জিডিপির ১০ শতাংশ পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে, যেন স্বাস্থ্য সেবাটা ভালো হয়। কারণ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মাতৃ এবং শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে যে অর্জন করা হয়েছে, সেটাও সম্ভব হয়েছে আপনাদের (নার্সদের) কারণে। আপনারা সবাই কাজ করেছেন বিধায় এটা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ১৫-২০ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান: তথ্যমন্ত্রী

তিনি বলেন, আমাদের দেশে জনসংখ্যার হার কিছুটা কমে আসছে। আপনাদের সেবায় স্বাস্থ্য খাতের গুণগত মান আরও ভালো হবে আশা করি। সরকার আপনাদের উন্নয়নে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, নার্সিংয়ের কারিকুলামও আরও আপডেট করা হচ্ছে। আপনাদের গুণগত মান যেন আরও উন্নত হয়, সেদিকেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে যেন আপনারা চাকরি পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন, তা নিয়ে আমরা গর্ব করি। ভ্যাকসিন হিরো হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কাজ কারা করেছেন, এই নার্সরাই সেই কাজ করেছেন। একদিনে আমরা যে এক কোটি ২০ লাখ ভ্যাকসিন দিয়েছি, এর পেছনেও বিরাট ভূমিকা রয়েছে নার্সদের।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো স্বাস্থ্য সেবায় জনবল কম। আমরা হিসাব করে দেখেছি আমাদের ডাক্তার-নার্স এবং অন্যান্য জনবল মিলে প্রতি ১০ হাজার জনের জন্য ২০ জনও নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাহিদা হলো প্রতি ১৯ হাজার জনের জন্য ৪০ জন জনবল থাকবে। অর্থাৎ চাহিদার অর্ধেক জনবল নিয়ে আমরা কাজ করছি। সেই অর্ধেক জনবল নিয়েই আমরা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছি। পুরো জনবল দিলে আমরা বিশ্বে এক নম্বরে চলে যেতাম।

এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

স্বাস্থ্য বাজেটে জিডিপির তিন শতাংশ চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০৬:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সবকিছুই বন্ধ হয়ে যায়। অথচ আমরা দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ শতাংশ দিয়ে কাজ করি। আমরা যদি জিডিপির ২-৩ শতাংশ পেতাম, তাহলে তাহলে যেকোনো উন্নত দেশের চেয়ে আমরা ভালো এবং বেশি সেবা দিতে পারতাম।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নার্স ও মিডওয়াইফ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা খুব অল্প বাজেটে কাজ করি। আমাদের আশেপাশের দেশ ৩, ৪, ৮ এমনকি জিডিপির ১০ শতাংশ পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে, যেন স্বাস্থ্য সেবাটা ভালো হয়। কারণ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মাতৃ এবং শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে যে অর্জন করা হয়েছে, সেটাও সম্ভব হয়েছে আপনাদের (নার্সদের) কারণে। আপনারা সবাই কাজ করেছেন বিধায় এটা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ১৫-২০ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান: তথ্যমন্ত্রী

তিনি বলেন, আমাদের দেশে জনসংখ্যার হার কিছুটা কমে আসছে। আপনাদের সেবায় স্বাস্থ্য খাতের গুণগত মান আরও ভালো হবে আশা করি। সরকার আপনাদের উন্নয়নে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, নার্সিংয়ের কারিকুলামও আরও আপডেট করা হচ্ছে। আপনাদের গুণগত মান যেন আরও উন্নত হয়, সেদিকেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে যেন আপনারা চাকরি পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন, তা নিয়ে আমরা গর্ব করি। ভ্যাকসিন হিরো হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কাজ কারা করেছেন, এই নার্সরাই সেই কাজ করেছেন। একদিনে আমরা যে এক কোটি ২০ লাখ ভ্যাকসিন দিয়েছি, এর পেছনেও বিরাট ভূমিকা রয়েছে নার্সদের।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো স্বাস্থ্য সেবায় জনবল কম। আমরা হিসাব করে দেখেছি আমাদের ডাক্তার-নার্স এবং অন্যান্য জনবল মিলে প্রতি ১০ হাজার জনের জন্য ২০ জনও নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাহিদা হলো প্রতি ১৯ হাজার জনের জন্য ৪০ জন জনবল থাকবে। অর্থাৎ চাহিদার অর্ধেক জনবল নিয়ে আমরা কাজ করছি। সেই অর্ধেক জনবল নিয়েই আমরা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছি। পুরো জনবল দিলে আমরা বিশ্বে এক নম্বরে চলে যেতাম।

এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/টিএ