০২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

হিজাববিহীন নারীদের ধরতে ইরানে ড্রোন ব্যবহার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • / ১০৩১১ বার দেখা হয়েছে

সংবিধান অনুযায়ী খোলা স্থানে ইরানের সব নারীর হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ হিজাব না পরে তাহলে তাকে গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরমধ্যে জানা গেলো, রাজধানী তেহরান ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ড্রোন উড়ানো হচ্ছে। যেগুলো দিয়ে চালানো হচ্ছে নজরদারি।

অর্থনীতি  শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নারীদের হিজাব পরতে বাধ্য করতে ড্রোনের পাশাপাশি ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম ও একটি অ্যাপও ব্যবহার করা হচ্ছে দেশটিতে। গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।

অ্যাপটির নাম হলো ‘নাজের’। এটি মোবাইলে ব্যবহার করা যায়। যদি কোনো নারী হিজাব না পরেন এবং তাকে কেউ দেখেন, তাহলে এই অ্যাপটির মাধ্যমে তার বিস্তারিত তথ্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে পাঠানো যায়। সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ যে কেউই এই অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে পারেন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপটির মাধ্যমে হিজাব না পরা নারীর গাড়ির লাইসেন্স প্লেট, অবস্থান, এবং ওই নারী কোন সময়টায় হিজাব না পরে ছিলেন তার সব জানানো যায়। এরপর অ্যাপটি তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশকে সতর্ক করে দেয়।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ৪১টি দেশের নাগরিক!

এছাড়া লাইসেন্স প্লেটের তথ্য সংগ্রহ করে ওই গাড়ির মালিককে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। এতে সতর্কতা দিয়ে বলা হয়, আপনার গাড়িতে হিজাব আইন লঙ্ঘন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদি আপনি সতর্কতা উপেক্ষা করেন তাহলে গাড়ি জব্দ করা হবে।

অ্যাপটির পরিধি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাড়ানো হয়। এটি ইরানের পুলিশের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এটি মূলত অ্যাম্বুলেন্স, ট্যাক্সি এবং গণপরিবহনে থাকা নারীদের টার্গেট করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

সূত্র: সিএনএন

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

হিজাববিহীন নারীদের ধরতে ইরানে ড্রোন ব্যবহার

আপডেট: ০৬:০৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

সংবিধান অনুযায়ী খোলা স্থানে ইরানের সব নারীর হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ হিজাব না পরে তাহলে তাকে গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরমধ্যে জানা গেলো, রাজধানী তেহরান ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ড্রোন উড়ানো হচ্ছে। যেগুলো দিয়ে চালানো হচ্ছে নজরদারি।

অর্থনীতি  শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নারীদের হিজাব পরতে বাধ্য করতে ড্রোনের পাশাপাশি ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম ও একটি অ্যাপও ব্যবহার করা হচ্ছে দেশটিতে। গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।

অ্যাপটির নাম হলো ‘নাজের’। এটি মোবাইলে ব্যবহার করা যায়। যদি কোনো নারী হিজাব না পরেন এবং তাকে কেউ দেখেন, তাহলে এই অ্যাপটির মাধ্যমে তার বিস্তারিত তথ্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে পাঠানো যায়। সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ যে কেউই এই অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে পারেন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপটির মাধ্যমে হিজাব না পরা নারীর গাড়ির লাইসেন্স প্লেট, অবস্থান, এবং ওই নারী কোন সময়টায় হিজাব না পরে ছিলেন তার সব জানানো যায়। এরপর অ্যাপটি তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশকে সতর্ক করে দেয়।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ৪১টি দেশের নাগরিক!

এছাড়া লাইসেন্স প্লেটের তথ্য সংগ্রহ করে ওই গাড়ির মালিককে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। এতে সতর্কতা দিয়ে বলা হয়, আপনার গাড়িতে হিজাব আইন লঙ্ঘন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদি আপনি সতর্কতা উপেক্ষা করেন তাহলে গাড়ি জব্দ করা হবে।

অ্যাপটির পরিধি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাড়ানো হয়। এটি ইরানের পুলিশের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এটি মূলত অ্যাম্বুলেন্স, ট্যাক্সি এবং গণপরিবহনে থাকা নারীদের টার্গেট করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

সূত্র: সিএনএন

ঢাকা/এসএইচ